ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউক থেকে ৩০ কাঠা প্লট গ্রহণের পৃথক তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বোন শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিকসহ ৫৩ বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের দেওয়া চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন। পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
প্রকাশিত: ১২:৩৬, ১০ এপ্রিল ২০২৫
শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
পূর্বাচলে রাজউকের প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, তদন্ত প্রাপ্তে আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন এবং গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১০ কাঠার ছয়টি প্লট বরাদ্দ প্রদান ও গ্রহণ করেন; যা দুর্নীতি হিসেবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। প্লট বরাদ্দ প্রক্রিয়ায় জড়িতদের বিরুদ্ধেও পর্যায়ক্রমে মামলা করা হবে।
উল্লেখ্য, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পূর্বাচলে হাসিনা পরিবারের জন্য ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় এ মামলা করা হয়। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে গঠিত কমিশনের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা।
সাবেক ৮ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির অনুরোধ
পলাতক সাবেক ৮ জন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলকে অনুরোধ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তাজুল ইসলাম বলেছেন, গণহত্যা ও গুমের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে এখন পর্যন্ত ৩৩৯টি অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে ৩৯টি অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে। মামলা হয়েছে ২২টি। এসব মামলায় মোট ১৪১ জন আসামি রয়েছে। তাদের মধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন ৫৪ জন এবং পলাতক রয়েছেন ৮৭ জন। এ সময় বিচার প্রক্রিয়াকে সহজ করতে আগামী সপ্তাহে ট্রাইব্যুনাল আইনে কয়েকটি সংশোধনী আসতে পারে।
যেসব আসামির বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করতে সুপারিশ করা হয়েছে, তারা হলেন— সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক,
সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিকী।
আপনার মন্তব্য লিখুন