জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবে ভোট দানে বিরত থাকাকে বাংলাদেশের ‘কৌশলগত কূটনীতি’র অংশ বলে মনে করছেন দেশের কূটনীতিকরা। তবে এতে পরাশক্তির কাছ থেকেই চাপ আসতে পারে বলে আশঙ্কা করে, বাস্তবতার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম বারের মতো বারুদের গন্ধ টের পাচ্ছে ইউরোপ। কৌশলগত কারণে দীর্ঘ সময় যুদ্ধ এড়িয়ে চলা এই অঞ্চল উত্তপ্ত করে তুলেছে রাশিয়ার হঠাৎ আক্রমণ। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এই আগ্রাসনকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে পাস হয়েছে নিন্দা প্রস্তাব। যেখানে ভোট দানে বিরত ছিলো দক্ষিণ এশিয়ার চার বড় দেশ। ভারত, পাকিস্তান আর শ্রীলংকার পাশাপাশি ভোট দেয়নি বাংলাদেশও।
সৌজন্যে : আমরা সবাই (সমাজ ও মানব উন্নয়ন মূলক সংগঠন)
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে নানা অসময়ে বাংলাদেশের পাশে থাকা সোভিয়েত ইউনিয়ন আর রাশিয়া এক নয় উল্লেখ করে সাবেক কূটনীতিক হুমায়ূন কবীর বলেন, চাপ আসবে স্বাভাবিক, তাকে সামালও দিতে হবে কৌশলী হয়ে।
ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘে বাংলাদেশ চুপচাপ থাকলেও প্রয়োজনে স্পষ্ট অবস্থান নিতে হতে পারে বলেও মনে করেন সাবেক এই রাষ্ট্রদূত।