নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে সার্চ কমিটি ১০ জনের নামের তালিকা জমা দিয়েছে। রাষ্ট্রপতি এই তালিকা থেকে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চারজন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ দেবেন।
শিগগিরই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইসি গঠন করা হবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সার্চ কমিটির সদস্যরা বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। এরপর তারা রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাত করে ১০ জনের নাম জমা দেন। তবে সার্চ কমিটির প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের জ্বর থাকায় তিনি বঙ্গভবনে আসেননি বলে জানা গেছে।
ইসি পুনর্গঠনে ১০ জনের নাম জমা দেওয়া হলেও আজ তাদের নাম ঘোষণা হবে না। শুধু দশ নাম রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি শুরুতেই এ বিষয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেন, যেখানে বিএনপি এবং কয়েকটি রাজনৈতিক দল সংলাপে অংশ নেয়নি। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ প্রায় সব রাজনৈতিক দল এবং জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) এই আলোচনায় অংশ গ্রহণ করে। তারা আগামী দিনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য ইসি নিশ্চিত করতে নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেন।
তবে দু’বার সুযোগ দেয়ার পরেও বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ইসি গঠনে সার্চ কমিটির কাছে কোনো নাম প্রস্তাব করেনি।
গত ২৭ জানুয়ারি তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে জাতীয় সংসদে ইসি গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে আইন পাস হয়। ৫ ফ্রেব্রুয়ারি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন- ২০২২’ অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়েছে।
সৌজন্যে : আমরা সবাই (সমাজ ও মানব উন্নয়ন মূলক সংগঠন)