জ্বালানি তেল বিপণনে কমিশন বৃদ্ধিসহ ছয় দফা দাবিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে খুলনা বিভাগসহ বৃহত্তর ফরিদপুরে ১৬ জেলায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাক দিয়েছে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। ধর্মঘট খুলনার খালিশপুরে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তেল ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে জ্বালানি তেল বিপণন ও ট্যাংকলরি চলাচল বন্ধ রাখা হবে। বাংলাদেশ তেল পরিবেশক সমিতি, বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা মেঘনা যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতি এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
এদিকে ছয় দফা দাবি সমর্থনে গতকাল খুলনায় দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। এ সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ট্যাংকলরি চলাচল ও ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়। ধর্মঘট চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শেখ ফরহাদ হোসেন।
সৌজন্যে : আমরা সবাই (সমাজ ও মানব উন্নয়ন মূলক সংগঠন)
বক্তৃতা করেন তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন, বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মীর মোকসেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. আলী আজিম, কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান মিজু।
সভায় বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)-এর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়লেও তেল পরিবহন ও উত্তোলনের সংশ্লিষ্টদের কমিশন বৃদ্ধি করা হয়নি। এ ছাড়া জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের কমিশন এজেন্ট হিসেবে গেজেট প্রকাশ, ট্যাংকলরি শ্রমিকদের ৫ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা চালু, ট্রেড ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতীত অন্য কোনো দফতর থেকে লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক ফিলিং স্টেশনের প্রবেশদ্বারে ভূমির ইজারা গ্রহণ প্রথা বাতিল ও সব তেল ডিপোতে ট্যাংকলরি শ্রমিকদের বিশ্রামাগার নির্মাণের দাবি জানানো হয়।