বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ ও সদস্য সচিব ফজলুর রহমান এক যৌথ বিবৃতি বলেছেন, চট্টগ্রামে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. সাইফুল ইসলাম হত্যাকে সন্ত্রাসবাদী ও জঙ্গী কার্যক্রম হিসাবে বিবেচনা করতে হবে। পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িত হয়ে জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি তৈরি করায় পতিত ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ ও বিদেশী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে বলা হয়।
বিবৃতি বলা হয়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরেও প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে অস্বাভাবিক সম্পর্কে স্বাভাবিক করতে ভূমিকা পালন করেনি। বিশেষ করে আদানী গ্রুপের বিদ্যুৎ সরবরাহসহ বিভিন্ন অন্যায্য চু্ক্তি সংশোধনে এগিয়ে আসেনি। উল্টা পতিত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের মতলবে সংখ্যালঘু হিন্দুদের মধ্যকার কিছু ব্যক্তি ও সংগঠনকে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা ও উত্তেজনা তৈরি করছে।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়না জারি করার পরেও সে বিভিন্ন সভা সমাবেশে উস্কানিমূলক বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছিল। এ অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করা স্বাভাবিক আইনী পদক্ষেপ যাকে সম্মান করতে হিন্দু সম্প্রদায়ও বাধ্য। কিন্তু গতকাল ইসকন ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা চিন্ময়কে ছাড়িয়ে নেওয়ার নাম করে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী যুদ্ধের সূচনা করা হয়েছে।
এ অবস্থায় বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ হিন্দুত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদীদের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণাকে পূর্ণ সমর্থন জানায় বলে বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ ও সদস্য সচিব ফজলুর রহমান উল্লেখ করেন।