জুলাই বিপ্লবের কাহিনি-গ্রাফিতি শিক্ষা কারিকুলামে – Bengali Online News Portal in Bangladesh
বিশ্ববার্তা
  • হোম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব সংবাদ
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • ক্যাম্পাস
  • চাকুরী বার্তা
  • অন্যান্য খবর
    • স্বাস্থ্য বার্তা
    • ধর্ম বার্তা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • কলাম
পাওয়া যায়নি
সকল অনুসন্ধানি তথ্য
  • হোম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব সংবাদ
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • ক্যাম্পাস
  • চাকুরী বার্তা
  • অন্যান্য খবর
    • স্বাস্থ্য বার্তা
    • ধর্ম বার্তা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • কলাম
পাওয়া যায়নি
সকল অনুসন্ধানি তথ্য
বিশ্ববার্তা
  • বিশ্ববার্তা টিভি
  • যোগাযোগ

জুলাই বিপ্লবের কাহিনি-গ্রাফিতি শিক্ষা কারিকুলামে

বিশ্ববার্তা ডেস্ক
ক্যাটাগরি ক্যাম্পাস
জুলাই বিপ্লব
2
শেয়ার করুন
শেয়ার করুনশেয়ার করুন

জুলাই বিপ্লবের পর শিক্ষা কারিকুলামের পাশাপাশি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্য বিষয়বস্তুও বদলে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন বছরের পঞ্চম থেকে অষ্টম, নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যবিষয়ক পাঠ্যবইয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে মওলানা ভাসানী, তাজউদ্দিন আহমদ, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও জেনারেল ওসমানীর অবদানের কথা ছাড়াও নতুন করে স্থান পাচ্ছে জুলাই বিপ্লবের বিষয়বস্তু ও গ্রাফিতি।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. একেএম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘আমাদের জাতি গঠনে অনেকের অবদান ছিল, বিগত দিনে তা অস্বীকার করে পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের সঠিক ইতিহাস জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। ফলে বিপ্লবের পর সরকার সবার অবদানের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে জানার সুযোগ করে দিচ্ছে। কারিকুলামে মহান মুক্তিযুদ্ধে মওলানা ভাসানী, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, তাজউদ্দিন আহমদ ও জেনারেল ওসমানীর অবদানের কথা, তা পাঠ্যপুস্তকে যথাযথভাবে তুলে ধরা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় পাঠ্যপুস্তক থেকে বিতর্কিত ‘জাতির পিতা’ শব্দটি বাদ দেওয়া হলেও শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা বহাল আছে। একইভাবে বিশেষ দলের প্রচারমূলক অংশগুলো এবং শেখ হাসিনাসহ কিছু গ্রাফিতি বাদ দিয়ে সেখানে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়েছে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এনসিটিবির সদস্য প্রফেসর ড. রিয়াদ চৌধুরীর বলেন, বিগত সময়ে একজনকে জাতির ‘দেবতা’ বানানো এবং বিশেষ দলের নীতি-আদর্শ প্রচারের লক্ষ্যে যে ধরনের কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা হয়েছিল তাতে জাতির বিশাল ক্ষতি হয়েছে, তা কোনোভাবেই পূরণ হওয়ার নয়। ফলে ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক পরিবর্ধন-পরিমার্জন করা সময়ের দাবি ছিল, আর সেটাই করা হচ্ছে।

শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এনসিটিবির কর্মকর্তারা জানান, নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে সাতটি গদ্য ও চারটি কবিতা বাদ দেওয়া হয়েছে।

আর নতুন করে যুক্ত হয়েছে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ওপর লেখা একটি সংকলিত গদ্যসহ মোট দুটি গদ্য। এ ছাড়া একটি উপন্যাস বাদ দিয়ে আরেকটি উপন্যাস যুক্ত করা হয়েছে। একই শ্রেণির ইংরেজি বই থেকে একটি অধ্যায় বাদ দেওয়া হচ্ছে। সেই বইয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি নিয়ে লেখাসহ মোট নতুন তিনটি অধ্যায় যুক্ত হচ্ছে।

নবম-দশম শ্রেণির পাশাপাশি, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজি পাঠ্যবইয়েও বিভিন্ন প্রবন্ধ ও কবিতা সংযোজন-বিয়োজন হচ্ছে। যেখানে নতুন করে স্থান পেয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিষয়বস্তু। তাই আগামী জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যে এসব পাঠ্যবই হাতে পাবে শিক্ষার্থীরা।

এনসিটিবর তথ্য মতে, চলতি বছর নাগাদ প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বছর চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালুর মধ্য দিয়ে মাধ্যমিক পর্যন্ত সব শ্রেণিতেই তা চালুর কথা ছিল; কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে নতুন শিক্ষাক্রম কার্যত বাতিল হয়ে গেছে।

তাৎক্ষণিকভাবে মন্দের ভালো হিসেবে ২০১২ সালে প্রণয়ন করা পুরোনো শিক্ষাক্রমের আলোকে পাঠ্যবই পরিমার্জন করে কিছু সংযোজন-বিয়োজন করে ছাপানোর উপযোগী করা হয়েছে। পাঠ্যবই পরিমার্জনের জন্য ৪১ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছেন। তারা সব কাজ সম্পন্ন করে এনসিটিবির হাতে সরবরাহ করার পর তা এখন মুদ্রণশেষে বিতরণ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকে সুনির্দিষ্টভাবে যেসব বিষয় বাদ ও যুক্ত হচ্ছে

এনসিটিবি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এনসিটিবির সদস্য প্রফেসর ড. রিয়াদ চৌধুরীর বলেন, যদিও কনটেন্ট সংশোধন-পরিমার্জনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, কিন্তু মুদ্রণ ও বিতরণে সঙ্গে জড়িত থাকায় যতটুকু জেনেছি তাতে- নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সাহিত্য নামের পাঠ্যবইয়ে জহির রায়হানের ‘একুশের গল্প’ এবং জুলাই বিপ্লবের ওপর লেখা ‘আমাদের নতুন গৌরবগাঁথা’ নামে একটি সংকলিত গদ্য যুক্ত করা হচ্ছে।

তবে এরই মধ্যে বইয়ে থাকা জহির রায়হানের ‘বাঁধ’ গদ্যসহ মোট সাতটি গদ্য বাদ যাচ্ছে। বাদ দেওয়া বাকি ছয়টি গদ্য হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দেনাপাওনা’, মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ‘লাইব্রেরি’, কবীর চৌধুরীর ‘পয়লা বৈশাখ’, সেলিনা হোসেনের ‘রক্তে ভেজা একুশ’, হুমায়ূন আহমেদের ‘নিয়তি’ এবং ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘তথ্যপ্রযুক্তি’। অবশ্য একই পাঠ্যবইয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সুভা’ ও ‘লাইব্রেরি’ গদ্য দুটি আগের মতোই রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ‘লাইব্রেরি’ গদ্যটি বাদ গেলেও তার লেখা ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ গল্পটি রয়েছে। আর হুমায়ূন আহমেদের ‘নিয়তি’ গদ্য বাদ দেওয়া হলেও তার উপন্যাস ‘১৯৭১’ যুক্ত করা হচ্ছে পাঠ্যবইয়ে। বাদ দেওয়া হচ্ছে সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসটি।

অন্যদিকে চারটি কবিতা বাদ দেওয়া হচ্ছে। অবশ্য নতুন কবিতা যুক্ত করা হচ্ছে না। যে চারটি কবিতা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলো হলো কাজী নজরুল ইসলামের ‘আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে’, সৈয়দ শামসুল হকের ‘আমার পরিচয়’, নির্মলেন্দু গুণের ‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ এবং কামাল চৌধুরীর ‘সাহসী জননী বাংলা’। কাজী নজরুল ইসলামের অপর দুটি কবিতা ‘মানুষ’ ও ‘উমর ফারুক’ রাখা হচ্ছে।

নবম-দশম শ্রেণির ‘ইংলিশ ফর টুডে’ নামের ইংরেজি বইয়ে একটি অধ্যায় বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেটি হলো ইউনিট ওয়ান হিসেবে থাকা ‘ফাদার অব দ্য নেশন’। অন্যদিকে ‘সেন্স অব সেলফ’, ‘লোনলিনেস’ এবং ‘গ্রাফিতি (জুলাই বিপ্লবের ওপর লেখা)’ নামে নতুন তিনটি অধ্যায় যুক্ত হচ্ছে। এভাবে পঞ্চম থেকে নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজি বইয়ে কিছু প্রবন্ধ বা গদ্য ও কবিতা পাঠ্য হিসেবে সংযোজন ও বিয়োজন হচ্ছে।

এ ছাড়া এত দিন ধরে চলা পাঠ্যবইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে থাকা ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট শাসক শেখ হাসিনার ছবি ও তার উদ্ধৃতি বাদ যাচ্ছে। একই সঙ্গে ইতিহাসনির্ভর বিষয়েও অনেক পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক একেএম রিয়াজুল হাসান আমার দেশকে বলেন, দশম শ্রেণি পর্যন্ত ইতিহাসবিষয়ক পাঠ্যপুস্তকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পর্যন্ত বিষয়বস্তু স্থান পেয়েছে। তাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিষয়বস্তু সাহিত্যের ধাঁচে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ ছাড়া বইয়ের পেছনের পৃষ্ঠায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি যুক্ত করা হচ্ছে। আর পাঠ্যবইয়ে দলীয় প্রচার-প্রোপাগান্ডার বিষয়গুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান আরও বলেন, সরকারে যারাই থাকুক না কেন, জাতীয় পাঠ্যপুস্তককে দলীয় প্রচারণার মাধ্যম বানানো থেকে সবাইকে বিরত থাকা জরুরি। কেননা, এর ফলে নতুন প্রজন্ম জাতির সঠিক ইতিহাস জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।

উৎস : আমার দেশ
ট্যাগ : এসএসসিকোটা সংস্কার আন্দোলনক্যাম্পাসজুলাই বিপ্লববাংলাদেশবিশ্ববার্তাবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনশিক্ষা
শেয়ার করুন2শেয়ার করুনসেন্ড
AmraSobai
পূর্ববর্তী পোস্ট

শুধু নির্বাচনের জন্য এত মানুষ জীবন দেয়নি: আসিফ মাহমুদ

পরের পোস্ট

গেরুয়া সন্ত্রাসী চন্দন থেকে যেভাবে চিন্ময়!

সম্পর্কিত পোষ্ট

হিজাবকে ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতীক ঘোষণা ঢাবিতে
ক্যাম্পাস

আরএসসি : হিজাবকে ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতীক ঘোষণা ঢাবিতে

25/05/2025
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ
ক্যাম্পাস

ছাত্রদল নেতা হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবি বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের

20/04/2025
কাল থেকে শুরু এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। WB
ক্যাম্পাস

কাল থেকে শুরু এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা

09/04/2025
গাজায় সেটেলার ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
ক্যাম্পাস

গাজা গণহত্যা: সারাদেশে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের

06/04/2025
আরো দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Worldbartatv
বিজ্ঞাপন

বিশ্ববার্তা

Publisher & Editor H M Bayjid Bustami

Call +8809638387766 +8801991807060
eMail [email protected]
Organization by AmraSobai Foundation

 world_barta_google_news world_barta_youtube world_barta_telegram world_barta_facebook world_barta_twitter

পাওয়া যায়নি
সকল অনুসন্ধানি তথ্য
  • হোম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব সংবাদ
  • ক্যাম্পাস
  • বিনোদন
  • স্বাস্থ্য বার্তা
  • খেলাধুলা
  • চাকুরী বার্তা
  • ধর্ম বার্তা
  • অন্যান্য খবর

Sponsor by AmraSobai Foundation