মস্কোর বাইরে গাড়ি বিস্ফোরণে কন্যা দায়রা দুগিনা হত্যা নিয়ে মুখ খুলেছেন বাবা আলেকাজান্ডার দুগিন। ঘটনার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন তিনি।
তবে কন্যাহারা এই বাবা প্রতিশোধ চান না, তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বিজয় দেখতে চান।
শনিবার মস্কোর বাইরে একটি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে গাড়ি বিস্ফোরণে নিহত হন দায়রা দুগিনা (৩০)। পেশায় দায়রা ছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাংবাদিক। তার বাবা আলেকাজান্ডার দুগিন দার্শনিক এবং কট্টোর রুশ জাতীয়তাবাদের সমর্থক।
সোমবার দায়রার বাবা আলেকজান্ডার দুগিন এক বিবৃতিতে বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকায় তাকে টার্গেট করা হয়েছে। কিন্তু গাড়ি তিনি না থাকায় বেঁচে গেছেন, তার কন্যা নিহত হয়েছেন। দায়রা সহিংসতাবিরোধী ছিলেন উল্লেখ করে দুগিন বলেন, দায়রা কখনো যুদ্ধের পক্ষে কথা বলেনি। সে ভুল টার্গেটের শিকার।
রাশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী সোমবার দাবি করে, ঘটনার জন্য ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী দায়ী। আজভ রেজিমেন্টের সঙ্গে সম্পৃক্ত এক নারীর মাধ্যমে ইউক্রেন দুগিনের গাড়িতে বোমা রেখে রিমোর্ট কন্ট্রোলে বোমার বিস্ফোরণে তাকে হত্যা করেছে। যদিও ইউক্রেন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সোমবার দায়রার বাবা আলেকজান্ডার দুগিন আরও বলেন, ইউক্রেনের নাৎসি কর্তৃক দায়রা আমার চোখের সামনে নিহত হয়েছে। দায়রা সুন্দরী অর্থডক্স তরুণী, একজন দেশপ্রেমিক, সামরিক করেসপন্ডেন্ট, টেলিভিশন বিশেষজ্ঞ এবং দার্শনিক ছিলেন উল্লেখ করে আলেকজান্ডার দুগিনের বিবৃতিতে বলা হয়, তার (দায়রা) বক্তব্য, রিপোর্টিং সর্বদা গভীর এবং ভিত্তিমূলক ছিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দায়রা দুগিনা কখনো যুদ্ধের সহিংসতা চায়নি। জীবনের পথপরিক্রমায় সে বিকাশমান তারকা ছিল। কিন্তু রাশিয়ার শত্রুরা অসম্মানজনকভাবে তাকে হত্যা করেছে।
সূত্র: আরটি
আপনার মন্তব্য লিখুন