প্রতিবন্ধীদের প্রতি ইসলামের সুমহান আদর্শ । বিশ্ববার্তা – WB । বিশ্ববার্তা
  • পরিচিতি
  • বিজ্ঞাপন
  • শর্তাবলী ও নীতি
  • যোগাযোগ
শনিবার, মে ২৮, ২০২২
মোবাইল অ্যাপ
WB । বিশ্ববার্তা
  • হোম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব সংবাদ
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • ক্যাম্পাস
  • চাকুরী বার্তা
  • অন্যান্য খবর
    • স্বাস্থ্য বার্তা
    • ধর্ম বার্তা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • কলাম
পাওয়া যায়নি
সকল অনুসন্ধানি তথ্য
  • হোম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব সংবাদ
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • ক্যাম্পাস
  • চাকুরী বার্তা
  • অন্যান্য খবর
    • স্বাস্থ্য বার্তা
    • ধর্ম বার্তা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • কলাম
পাওয়া যায়নি
সকল অনুসন্ধানি তথ্য
WB । বিশ্ববার্তা
  • বিশ্ববার্তা টিভি
  • মোবাইল অ্যাপ
  • যোগাযোগ

প্রতিবন্ধীদের প্রতি ইসলামের সুমহান আদর্শ । বিশ্ববার্তা

বিশ্ববার্তা ডেস্ক
২৫/১২/২০২১
ক্যাটাগরি ধর্ম বার্তা
বিজ্ঞাপন

ইসলাম শান্তির ধর্ম। এখানে ধনী -দরিদ্র, সবল -দূর্বল, সুস্থ- অসুস্থ, সবার জন্যে সমতার নীতি বজায় রাখতে আদেশ করেছে। একজন মানুষ কখনও শারীরিক বা মানসিক ভাবে স্বয়ং সম্পূর্ণ হয় না। কিছু না কিছু সমস্যা তার থাবেই। এই সমস্যা গ্রস্থ ব্যক্তিকে বলা হয় ‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তি’।

বিশেষ সমস্যা গ্রস্থ ব্যক্তিকে ইসলাম দিয়েছে আলাদা সম্মান। আমরা জানি প্রতিবন্ধী অক্ষম মানুষেরা চিরকালই সমাজে প্রতিটি ক্ষেত্রে উপেক্ষিত ও অবহেলিত হয়ে আসছে। কিন্তু ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের সঙ্গে সদাচরণ, সাহায্য-সহযোগিতা এবং অন্যদের ওপর তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। যেকোনো বিপদ আপদে তাদেরকে সাহায্য করাই একজন মুসলিমের ঈমানী দায়িত্ব।

লেখাপড়া, সামাজে বেচে থাকা, চাকরি প্রতিটি ক্ষেত্রে আজ ইসলামের কথা না মেনে চলার জন্য সমাজে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিগণ এতোটা অবহেলিত ও নির্যাতিত। যখন ইচ্ছে তখনই আমরা তাদের সাথে অসদাচরন করে ফেলি। কিন্তু আমরা ভুলেই জাই প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে অসদাচরণ, উপহাস, ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ বা ঠাট্টা-তামাশা করা সৃষ্টিকে তথা আল্লাহকে উপহাস করার শামিল।

একজন ব্যক্ত দুই ভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে পরে। হয় তা জন্মগত বা কোনো অনাকাক্সিক্ষত দূর্ঘটনা। আমরা যারা সুস্থ আছি তাদের জন্য কোরআন মাজিদে মহান আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেছেন, ‘তুমি তোমার সুমহান প্রতিপালকের নামের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো, যিনি সৃষ্টি করেন ও সুঠাম করেন এবং যিনি পরিমিত বিকাশ সাধন করেন ও পথনির্দেশ করেন।’ (সূরা আল-আ’লা, আয়াত : ১-৩)। অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তিনিই মাতৃগর্ভে যেভাবে ইচ্ছা তোমাদের আকৃতি গঠন করেন।’ (সূরা আলে ইমরান, আয়াত : ৬)।

ইসলাম আমাদের সর্বদা অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে শেখায়। আমাদের জন্য এই কাজ গুলোতেও রয়েছে অশেষ নেকি লাভের সুযোগ। প্রতিবন্ধীরা শারীরিক, মানসিক কিংবা আর্থসামাজিক অক্ষমতা বা অসুবিধার কারণে স্বাভাবিক ও স্বাবলম্বী জীবনযাপন করতে পারে না। প্রতিবন্ধীদের সীমাহীন দুঃখ-দুর্দশা উপলব্ধি করতে পারেন সেসব ধর্মপ্রাণ সংবেদনশীল মানুষ, যাঁরা অন্যের দুঃখ-বেদনাকে সহমর্মিতার দৃষ্টিতে দেখেন।

এ জন্য প্রতিবন্ধীদের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা, দয়া-মায়া, সেবা-যত্ন, সুযোগ-সুবিধা ও সাহায্য-সহৃদয়তার হাত সম্প্রসারিত করা ইসলামের অনুসারীদের অবশ্যকর্তব্য। মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার ন্যূনতম মৌলিক অধিকারগুলো তাদেরও ন্যায্যপ্রাপ্য। তাই প্রতিবন্ধীদের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা প্রদর্শন ও সহানুভূতিশীল হওয়া অত্যাবশ্যক। যেমনভাবে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা ক্ষুধার্তকে খাদ্য দাও, অসুস্থ (প্রতিবন্ধী) ব্যক্তির খোঁজখবর নাও এবং বন্দীকে মুক্ত করে দাও।’ (বুখারি)।

আমরা জানি প্রতিবন্ধীদের সম্মানে পবিত্র কোরআন মাজিদে আয়াত নাজিল হয়েছে। এই ক্ষেত্রে একটা ঘটনা বর্ণনা করা যায়, একদা রাসুলুল্লাহ (সা.) কুরাইশ নেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনারত ছিলেন। এমতাবস্থায় আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাক্তুম (রা.) নামক এক অন্ধ সাহাবি সেখানে উপস্থিত হয়ে মহানবী (সা.)-কে দ্বীন সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এতে আলোচনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হলে তিনি কিঞ্চিৎ বিরক্তি প্রকাশ করেন।

নবী করিম (সা.) মক্কার জাত্যভিমানী কুরাইশদের মন রক্ষার্থে প্রতিবন্ধী লোকটির প্রতি তখন ভ্রুক্ষেপ করলেন না। কিন্তু আল্লাহর কাছে এ বিষয়টি পছন্দনীয় হলো না। সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিবন্ধীদের অধিকারবিষয়ক পবিত্র কোরআনের আয়াত নাজিল হয়; যাতে তাদের প্রতি ইসলামের কোমল মনোভাবের প্রকাশ পেয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘সে ভ্রুকুঞ্চিত করল এবং মুখ ফিরিয়ে নিল, কারণ তার কাছে অন্ধ লোকটি এল। তুমি কেমন করে জানবে, সে হয়তো পরিশুদ্ধ হতো অথবা উপদেশ গ্রহণ করত। ফলে উপদেশ তার উপকারে আসত।’ (সূরা আবাসা, আয়াত: ১-৪)।

এরপর নবী করিম (সা.) প্রতিবন্ধীদের সর্বদাই অত্যন্ত ভালোবাসতেন ও বিশেষ গুরুত্ব দিতেন। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাক্তুম (রা.)-কে তিনি অপার স্নেহে ধন্য করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) যখনই তাঁকে দেখতেন, তখনই বলতেন, ‘স্বাগত জানাই তাঁকে, যাঁর সম্বন্ধে আমার প্রতিপালক আমাকে ভর্ৎসনা করেছেন।’ মহানবী (সা.) এ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সাহাবিকে দুবার মদিনার সাময়িক শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন।

সুতরাং প্রতিবন্ধীদের প্রতি ভালোবাসা ও সহমর্মিতা নবী করিম (সা.)-এর অনুপম সুন্নতও বটে। ঘটনাক্রমে রাসুলে করিম (সা.) যদি প্রতিবন্ধীকে অগ্রাধিকার না দেওয়ায় সতর্কীকরণের মুখে পড়তে পারেন, তাহলে ধর্মপ্রাণ মানুষ এমন কাজ করলে নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা অসন্তুষ্ট হবেন আর আল্লাহর অসন্তুষ্টি মানেই কঠোর শাস্তি। সুতরাং সবাইকে খুবই সতর্ক হতে হবে এবং প্রতিবন্ধীদের প্রতি অবহেলা নয়, ভালোবাসা আর সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।

প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়, তাদের মধ্যে রয়েছে আল্লাহ প্রদত্ত তীক্ষ্ণ মেধাসম্পন্ন অনন্য প্রতিভা। শারীরিক বা যেকোনো প্রতিবন্ধিতা অক্ষমতা নয়, বরং ভিন্ন ধরনের সক্ষমতা। সুযোগ পেলে প্রতিবন্ধীরাও দক্ষতা ও পারদর্শিতার মাধ্যমে অনেক কিছু করতে পারে। প্রতিবন্ধীদের মেধা ও প্রতিভাকে কাজে লাগাতে পারলে এরা মানবসম্পদে পরিণত হবে। সামর্থ্য অনুযায়ী বিভিন্ন যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে দক্ষতা গড়ে তাদের স্বাবলম্বী করে তোলা যায়।

সমাজের সব থেকে প্রান্তিক অংশ অসহায় প্রতিবন্ধীদের ইসলাম প্রদত্ত অধিকার সুরক্ষা হচ্ছে কি না, তা সবারই দেখা উচিত। মানবাধিকার, উপযুক্ত পরিচর্যা, অনুকূল পরিবেশ, আর্থিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও সমবেদনা পেলে তারা দেশ ও জাতি গঠনে যোগ্য অংশীদার হতে পারে। তাই আসুন না, আমরা প্রতিবন্ধীদের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সহমর্মিতা প্রকাশে অত্যন্ত যত্নবান হই এবং তাদের মানবাধিকার সুরক্ষার ব্যাপারে সচেতন হই!

বিজ্ঞাপন

সৌজন্যে : আমরা সবাই (সমাজ ও মানব উন্নয়ন মূলক সংগঠন)

শেয়ার করুনশেয়ার করুনসেন্ড
বিজ্ঞাপন

স্বল্প পোশাকে উত্তাপ ছড়ানো নায়িকাদের কিছু ছবি?

বিজ্ঞাপন
WB । বিশ্ববার্তা

Sponsor by AmraSobai

এডিটর ইন চিফ : মোঃ আজিজুল হক শাওন

  • পরিচিতি
  • বিজ্ঞাপন
  • শর্তাবলী ও নীতি
  • যোগাযোগ

অনুসরন করুন

পাওয়া যায়নি
সকল অনুসন্ধানি তথ্য
  • হোম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব সংবাদ
  • ক্যাম্পাস
  • বিনোদন
  • স্বাস্থ্য বার্তা
  • খেলাধুলা
  • চাকুরী বার্তা
  • ধর্ম বার্তা
  • অন্যান্য খবর

Sponsor by AmraSobai