৫০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের তেলবাহী একটি মার্কিন কার্গো জাহাজ আটক করল ইরান। মার্কিন অমানবিক নিষেধাজ্ঞার কারণে বিরল চর্ম রোগে আক্রান্ত রোগীদের দায়ের করা মামলার রায়ের জেরে ইরান এই পদক্ষেপ নিল।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো বিশেষ করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে একটি সুইডিশ কোম্পানিকে ইরানের কাছে ওষুধ বিক্রিতে বাধা দিয়েছে। এতে বিরল চর্ম রোগে আক্রান্ত রোগীরা গুরুতর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এর ফলে এপিডার্মোলাইসিস বুলোসা বা ইবি আক্রান্ত রোগীরা তাদের ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তেহরানে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আইন আদালতে মামলা দায়ের করে।
ইরানের আদালত এপিডার্মোলাইসিস বুলোসা বা ইবি আক্রান্ত রোগীদের পক্ষে ক্ষতিপূরণের জন্য রায় দেয় এবং তার জের ধরে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের পতাকাবাহী মার্কিন তেলবাহী কার্গো জাহাজ এডভান্টেজ সুইটকে আটক করা হয়। তেলবাহী এই জাহাজটিতে ৫০ মিলিয়ন বা ৫ কোটি ডলার মূল্যের তেল রয়েছে বলে জানা গেছ।
এপিডার্মোলাইসিস বুলোসা বা ইবি ত্বকের টিস্যুতে একটি বংশগত রোগ যা ত্বক এবং শ্লেষ্মা ঝিল্লিতে ফোস্কা সৃষ্টি করে। এই রোগটিকে একটি প্রজাপতির ডানার সাথে তুলনা করা হয়। ত্বক পাতলা হয়ে যাওয়া এবং তা ক্রমে দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে এটি ইরানে ‘প্রজাপতি’ রোগ হিসেবে পরিচিত।
ইরানের মানবাধিকার কর্মী এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মার্কিন সরকারের একতরফা এবং অবৈধ নিষেধাজ্ঞাকে ইরানের জনগণের বিরুদ্ধে একটি নীরব এবং গোপন অপরাধ বলে মনে করেন। সাম্প্রতিক সময়ে এসব অন্যায় নিষেধজ্ঞা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে বিশেষ করে ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীরর ক্ষেত্রে অব্যাহত থাকার কারণে রোগীরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
ইরান এবং ছয় জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ২০১৫ সালে পরমাণু সমঝোতা সইয়ের পর তেহরানের বিরুদ্ধে কিছু নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করা হলেও ২০১৮ সালের মে মাসে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর সেই চুক্তি বাতিল করে দেন এবং ইরানের বিরুদ্ধে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন।
সূত্র: প্রেসটিভি
ইরানের সঙ্গে সব আরব দেশ সম্মানজনক সুন্দর সম্পর্ক চায় : জর্ডান
জর্দানসহ সব আরব দেশ ইরানের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে এবং সৎপ্রতিবেশী সুলভ নীতি অনুসরণ করে কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়ন চায়। জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি এ কথা বলেছেন।
সৌদি আরবের মালিকানাধীন আশশার্ক টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বর্তমান উত্তেজনা নিরসনের সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে সংলাপ। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্মান যেমন থাকতে হবে তেমনি একে অপরের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষ্কার করে বলেন, এ অঞ্চলে যথেষ্ট সংকট রয়েছে, নতুন করে আর কোনো উত্তেজনার প্রয়োজন নেই। আমরা ইরানের সঙ্গে যে সুন্দর সম্পর্ক চায় তা অর্জন করতে হলে উত্তেজনা সৃষ্টির কারণগুলোর সত্যিকার সমাধান হতে হবে।
আয়মান সাফাদি মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্তিতে ন্যাটোর আদলে সামরিক জোটের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন।
আপনার মন্তব্য লিখুন