জান্নাতে নবীজির সঙ্গে থাকার আমল – Bengali Online News Portal in Bangladesh
বিশ্ববার্তা
  • হোম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব সংবাদ
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • ক্যাম্পাস
  • চাকুরী বার্তা
  • অন্যান্য খবর
    • স্বাস্থ্য বার্তা
    • ধর্ম বার্তা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • কলাম
পাওয়া যায়নি
সকল অনুসন্ধানি তথ্য
  • হোম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব সংবাদ
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • ক্যাম্পাস
  • চাকুরী বার্তা
  • অন্যান্য খবর
    • স্বাস্থ্য বার্তা
    • ধর্ম বার্তা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • কলাম
পাওয়া যায়নি
সকল অনুসন্ধানি তথ্য
বিশ্ববার্তা

জান্নাতে নবীজির সঙ্গে থাকার আমল

বিশ্ববার্তা ডেস্ক
20/01/2025
ক্যাটাগরি ধর্ম বার্তা
ফটোকার্ড টি শেয়ার করুন

প্রতিটি মুমিন হূদয়ে নবিপ্রেম আছে, আছে প্রিয় নবীকে দেখার ও তাঁর সঙ্গ পাওয়ার অধীর বাসনা। এই সুপ্ত কামনা একজন সাধারণ মুমিনও হূদয়ে লালন করে। মদিনায় রওজা জিয়ারতে হজযাত্রীদের এই আকুলতা আরো তীব্র হয়ে ওঠে। জান্নাতে তাঁর সান্নিধ্য গ্রহণের প্রবল ইচ্ছা জাগে।

পৃথিবীতে নবীর সঙ্গী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন একমাত্র সাহাবায়ে কিরাম। দুনিয়ার জীবনে আর কোনো মুমিনের এ সৌভাগ্য ললাটে আসবে না। তবে নবীজি (সা.) এমন কিছু আমল বর্ণনা করেছেন, যা পালন করলে মুমিন ব্যক্তি জান্নাতে তাঁর সান্নিধ্য লাভ করবে। যার কয়েকটি হলো—

বেশি বেশি সিজদা করা : রাবিআহ ইবনে কাব (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে রাতযাপন করতাম। একদা আমি তাঁর অজু ও ইস্তিঞ্জা করার জন্য পানি আনলাম। তখন তিনি আমাকে বললেন, তোমার কিছু চাওয়ার থাকলে চাইতে পারো। তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি আপনার সঙ্গে জান্নাতে থাকতে চাই। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ওটা ছাড়া আর কিছু চাও কি? আমি বললাম, এটাই চাই। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তাহলে বেশি বেশি সিজদার দ্বারা তুমি এই ব্যাপারে আমাকে সাহায্য কোরো। (মুসলিম, হাদিস : ৪৮৯)

এতিমের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করা : সাহাল বিন সাদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি ও এতিম প্রতিপালনকারী জান্নাতে এভাবে থাকব (তিনি তর্জনী ও মধ্যমা অঙ্গুলি দিয়ে ইঙ্গিত করেন এবং এই দুটির মধ্যে তিনি সামান্য ফাঁক রাখেন)। (বুখারি, হাদিস : ৫৩০৪)

কন্যাসন্তান লালন করা : আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন, একদিন রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি দুটি কন্যাসন্তানের ভরণপোষণ করবে আমি এবং সে এভাবে জান্নাতে থাকব। (মধ্যমা ও শাহাদাত আঙুল যেমন পাশাপাশি থাকে)। (তিরমিজি, হাদিস : ১৯১৪)

বোনদের প্রতিপালন করা : আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন, একবার রাসুল (সা.) মধ্যমা ও শাহাদাত অঙ্গুলির দিকে ইশারা করে বলেন, যে ব্যক্তি দুই কন্যা বা দুই বোনের ভরণপোষণ করবে কিংবা তিন কন্যা বা তিন বোনের ভরণপোষণ করবে, যতক্ষণ না তাদের বিয়ে হবে কিংবা সে মৃত্যুবরণ করবে, আমি এবং সে জান্নাতে এভাবে (পাশাপাশি) থাকব। (ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৪৪৭)

উত্তম চরিত্রের অধিকারী হওয়া : আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, একবার রাসুল (সা.) বললেন, আমি কি তোমাদের ওই ব্যক্তি সম্পর্কে অবগত করব না যে কিয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে প্রিয় এবং সর্বাধিক নিকটবর্তী হবে? সাহাবায়ে কিরাম চুপ রইলেন। রাসুল (সা.) একই প্রশ্ন করলেন দুই বা তিনবার। তখন তাঁরা বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! অবশ্যই বলুন। তিনি বললেন, সে হলো ওই ব্যক্তি, যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৬৭৩৫)

নবীজির প্রতি ভালোবাসা : আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করল, কিয়ামত কখন হবে? তিনি বলেন, তুমি কিয়ামতের জন্য কী জোগাড় করেছ? সে বলল, কোনো কিছু জোগাড় করতে পারিনি, তবে আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে ভালোবাসি। তখন তিনি বলেন, তুমি তাঁদের সঙ্গেই থাকবে, যাঁদের তুমি ভালোবাসো। আনাস (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.)-এর কথার দ্বারা আমরা এত আনন্দিত হয়েছি যে অন্য কোনো কথায় এত আনন্দিত হইনি। আনাস (রা.) বলেন, আমি নবী করিম (সা.)-কে ভালোবাসি এবং আবু বকর, ওমর (রা.)-কেও। আশা করি তাঁদের প্রতি আমার ভালোবাসার কারণে তাঁদের সঙ্গে জান্নাতে বসবাস করতে পারব, যদিও তাঁদের আমলের মতো আমল আমি করতে পারিনি। (মুসলিম, হাদিস : ২৬৩৯)

বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা : আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, শুনে রাখো, যে আমার ওপর বেশি পরিমাণে দরুদ পাঠ করবে নিশ্চয় কিয়ামতের দিন সে আমার সর্বাধিক নৈকট্যপ্রাপ্ত হবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস : ৩২৪৪৭)

আল্লাহভীতির জীবন অবলম্বন করা : মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) যখন তাকে ইয়েমেনে পাঠান তখন তিনি তাকে বিদায় দিতে বের হন। মুয়াজ (রা.) সওয়ারিতে চলছেন, রাসুল (সা.) পায়ে হাঁটছেন আর অসিয়ত করছেন। অসিয়ত করা শেষ হলে রাসুল (সা.) বললেন, হে মুয়াজ! সম্ভবত এই বছরের পর আমার সঙ্গে তোমার আর দেখা হবে না। হয়তো তুমি আমার মসজিদের পাশ দিয়ে হাঁটবে, আমার কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে! (কিন্তু আমার দেখা পাবে না) এই কথা শুনে রাসুল (সা.) এর আসন্ন বিচ্ছেদ-বিরহে মুয়াজ (রা.) অঝোরে কাঁদতে শুরু করলেন। এরপর রাসুল (সা.) মদিনার দিকে ফিরে তাকালেন এবং বললেন, আমার পরিবারের এই লোকেরা মনে করে, তারা আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ। অথচ বিষয়টা এমন না; আমার সর্বাধিক নৈকট্যপ্রাপ্ত হলো ওই ব্যক্তি, যে আল্লাহভীতির জীবন অবলম্বন করে। সে যে কেউই হোক এবং যেখানেই অবস্থান করুক। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২২০৫২)

আল্লাহ তাআলা আমাদের এই আমলগুলো যথাযথ পালনের মাধ্যমে নবী (সা.)-এর সান্নিধ্য অর্জন করার তাওফিক দান করুন।

উৎস : মুফতি আব্দুল্লাহ আল ফুআদ
ট্যাগ : ইসলামপরামর্শবিশ্ববার্তামুসলিম
শেয়ার করুন1শেয়ার করুনসেন্ড
AmraSobai
পূর্ববর্তী পোস্ট

মুক্তি পেল ফিলিস্তিনের ৯০ বন্দি

পরের পোস্ট

মেটা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠকে যা প্রাধান্য পেতে পারে

সম্পর্কিত পোষ্ট

গীবত জিনার চেয়েও মারাত্মক গুনাহ!
ধর্ম বার্তা

গীবত জিনার চেয়েও মারাত্মক গুনাহ!

26/06/2025
পবিত্র হজ আজ
ধর্ম বার্তা

পবিত্র হজ আজ

05/06/2025
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
ধর্ম বার্তা

হজের গুরুত্ব ও ফজিলত

04/06/2025
প্রতিবন্ধীদের প্রতি ইসলামের সুমহান আদর্শ
ধর্ম বার্তা

প্রতিবন্ধীদের প্রতি ইসলামের সুমহান আদর্শ

17/05/2025
আরো দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Worldbartatv
বিজ্ঞাপন

World Barta

প্রকাশক ও সম্পাদক : এইচ এম বায়েজিদ বোস্তামী

আমাদের অনুসরণ ও যোগাযোগ করুন

Organization by AmraSobai Foundation

পাওয়া যায়নি
সকল অনুসন্ধানি তথ্য
  • হোম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব সংবাদ
  • ক্যাম্পাস
  • বিনোদন
  • স্বাস্থ্য বার্তা
  • খেলাধুলা
  • চাকুরী বার্তা
  • ধর্ম বার্তা
  • অন্যান্য খবর

Sponsor by AmraSobai Foundation