আল্লাহতায়ালার প্রতি এখন তার অশেষ শ্রদ্ধা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ– ইবাদত ও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করে প্রতিদিন কেটে যায় তার। কিন্তু আগে তিনি ছিলেন খ্রিস্টান। কলেজের দুই সহপাঠীর মাধ্যমে ইসলামের সঠিক দর্শন সম্পর্কে জানতে পারেন মার্কিন নাগরিক মালিক। ড. মরিস বুকাইলির ‘বাইবেল– কুরআন ও বিজ্ঞান’ বইটি পড়ে ইসলাম সম্পর্কে সংশয় দূর হয় এবং তিনি মুসলিম হয়ে যান। কিন্তু ইসলাম গ্রহণের পর ঘর ছাড়তে হয়েছিল এই নওমুসলিম নারীকে।
জীবনের সেই সংকটকাল সম্পর্কে তিনি বলেন– ’আমি একজন নওমুসলিম নারী। আমেরিকার ভার্জিনিয়া রিচমন্ডে বেড়ে উঠেছি। এক বছর আগেও কোনো মুসলিমের সাথে আমার পরিচয় ছিল না। আমি জানতাম না যে আমার শহরে ইসলামিক সেন্টার আছে। যাই হোক– ইসলামের প্রতি কৌতূহল ছিল– কিন্তু পড়ার মতো কিছু খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অবশ্য বিশ্বকোষসহ অন্য বই পড়েছিলাম। তবে তা ছিল অমুসলিমদের লেখা। তারা সবই মিথ্যা বলেছে।’
সৌজন্যে : আমরা সবাই (সমাজ ও মানব উন্নয়ন মূলক সংগঠন)
এরপর কলেজের দুই পাকিস্তানি সহপাঠীর সাথে সখ্যতার সূত্রে ইসলামকে নতুন করে চিনতে শুরু করেন মালিক।
এরপর শহরের ইসলামিক সেন্টার সম্পর্কে জানতে পারে সেখানে প্রত্যাহ একবার করে যেতে শুরু করেন এই নারী। এভাবে একদিন হঠাৎ এক মুসলিম নারীর সাথে পরিচয় হতেই মরিস বুকাইলির বইটি হাতে পান মালিক। বলেন– ’সুবহানাল্লাহ! একজন মুসলিম নারী আমাকে মরিস বুকাইলির ‘বাইবেল– কুরআন অ্যান্ড সায়েন্স’ বইটি উপহার দিলেন। বইটি পড়ার পর আমার ভেতর ইসলামগ্রহণের তাগিদ অনুভব করলাম। আমি নিশ্চিত হলাম যে কুরআনই আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো গ্রন্থ। পরের সপ্তাহে আমি মুসলিম হওয়ার ইচ্ছায় ইসলামিক সেন্টারে গেলাম।’
এ নিয়ে পারিবারিক অশান্তি শুরু হলেও মালিক থেমে থাকেননি। তিনি মুসলিম হওয়ার জন্য নিজের ঘর পর্যন্ত ত্যাগ করে টেনেশির ন্যাশভিলে চলে যান। এখন তার জীবন অনেক শান্ত– সাজানোগোছানো ও ইসলামি আলোকে আলোকিত।