মুসলিম উম্মাহর দরজায় পবিত্র রমজান মাস। আর মাত্র ৫ দিন পরেই শুরু হবে রোজা। মুমিন মুসলমানকে মনে রাখতে হবে, রমজান ভোগ, পণ্য মজুত বা বাড়তি মুনাফায় ব্যবসা-বাণিজ্যের মাস নয়। বরং রমজান কোরআন নাজিলের মাস, সংযমের মাস এবং ত্যাগের মাস। এ মাস ইবাদত-বন্দেগির মাস। আল্লাহর রহমত, বরকত মাগফেরাত নাজাত ও যাবতীয় কল্যাণ লাভের মাস।
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ। কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত। মুসলমানদের জন্য অনন্য উপহার হচ্ছে রমজানুল মোবারক। তাই রোজা আগমনের আগে মুমিনের বিশেষ কিছু করণীয় রয়েছে। রহমত, বরকত, মাগফেরাত ও নাজাতের মর্যাদাপূর্ণ মাসটি পেতে একটি দোয়া বেশি বেশি পড়া জরুরি।
রমজানের আগের সব গোনাহ থেকে তাওবাহ-ইসতেগফার করতে হবে। কোনো অন্যায়কারী যদি ভাবে রমজান চলে এসেছে, আর আমার সব গোনাহ এমনিতেই ক্ষমা হয়ে যাবে বাস্তবে বিষয়টি এমন নয়। বরং আগে থেকে তাওবাহ-ইসতেগফার করে রমজানের যাবতীয় কল্যাণ লাভে নিজেকে প্রস্তুত করা খুবই জরুরি। আর তাতে আল্লাহ তাআলা ওই বান্দার আগের সব গোনাহ মাফ করে দিয়ে রমজানের যাবতীয় কল্যাণ দিয়ে জীবন সুন্দর করে দেবেন। তা হলো—
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফিরলি,
হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দিন।
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা বাল্লিগনা রামাদান’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাদের জন্য রমজান কবুল করুন।’
অর্থাৎ রমজান পর্যন্ত আমাদের হায়াত দিন। রমজানের রহমত, বরকত, মাগফেরাত ও নাজাত পেতে আমাদের রমজানে পৌঁছে দিন।
ছোট্ট দোয়াটির পাশাপাশি আরেকটি দোয়াও বেশি বেশি পড়া যেতে পারে। তা হলো-
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি শাবান ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য শাবান মাসকে বরকতময় করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন। অর্থাৎ রমজান পর্যন্ত হায়াত দান করুন। তথ্য সূত্র: আরটিভি নিউজ।
আপনার মন্তব্য লিখুন