দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন ‘সাগরদিঘি বা ভাঙ্গা দিঘী’। বিরামপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থান সৌন্দর্যে ভরপুর এ দিঘির। চারপাশের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ এর সৌন্দর্যকে আরও একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে।
দিঘিটির পাড়ে কিংবা পাশে অবকাঠামো গড়ে উঠলে দর্শনার্থীসহ পর্যটকদের কাছে হয়ে উঠবে আরও আকর্ষণীয়। স্থানীয়রা জানান, আকারে বড় ও পানি স্বচ্ছ হওয়ায় এর নামকরণ করা হয়েছে ‘সাগরদিঘি’। দিঘিসংলগ্ন দক্ষিণ দিকে আরও একটি ঐতিহ্যবাহী দিঘি রয়েছে-যা ‘ভাঙাদিঘি’ নামে পরিচিত।
বিরামপুর উপজেলা সদর থেকে ১২ কিমি দূরে জোতবানী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কসবা সাগরপুর গ্রামে সৌন্দর্যে ভরপুর ঐতিহ্যবাহী সাগরদিঘিটি অবস্থিত। এর আয়তন প্রায় ১৬০ বিঘা। কথিত আছে, ১৫০০ শতাব্দীর শুরুতে তৎকালীন জমিদাররা এই সাগরদিঘিতে গোসল করতেন। সম্ভবত তখন দিঘিটি খনন করা হয়েছে।
সে সময়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অধিকাংশ লোক সাগরদিঘিতে পূজা-অর্চনা দিতেন। স্থানীয় বাসিন্দা এবিএম মুছা, আবদুল কুদ্দুসসহ অনেকে বলেন, দিঘিটি এলাকার ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীনতম দিঘি। শুনেছি আমাদের বাপ-দাদারও জন্মের আগে এটি খনন করা হয়েছিল।
সংস্কার করে অবকাঠামো নির্মাণ করার পরামর্শ দেন স্থানীয়রা এবং বলেন সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেলে দর্শনার্থীদের সমাগম বাড়বে। জোতবানী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক মণ্ডল বলেন, সৌন্দর্যে ভরা সাগরদিঘির পাড়গুলো বাঁধাই কিংবা সংস্কার করা হলে এটি পিকনিক স্পষ্ট কিংবা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও গড়ে উঠতে পারে।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার জানান, দিঘিটি সৌন্দর্যে ভরপুর। পর্যটনের ব্যাপারে এখনো চিন্তাভাবনা করা হয়নি। বর্তমানে মাছ চাষের জন্য লিজ দেওয়া আছে।
আপনার মন্তব্য লিখুন