জান্নাতে মুমিনের জন্য সবচেয়ে বড় পুরস্কার হবে মহান আল্লাহর সাক্ষাৎ। একাধিক বিশুদ্ধ হাদিসে সে সাক্ষাতের বিবরণ এসেছে। নিম্নে এমন কিছু বর্ণনা তুলে ধরা হলো—
আল্লাহকে দেখা যাবে নির্বিঘ্নে : জারির ইবনু আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার পূর্ণিমার রাতে নবী (সা.) আমাদের কাছে বের হয়ে এলেন। অতঃপর তিনি বললেন, শিগগিরই তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে কিয়ামতের দিন দেখতে পাবে, যেমন এই চাঁদটিকে তোমরা দেখছ এবং একে দেখতে তোমাদের অসুবিধা হচ্ছে না। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৪৩৬)
আল্লাহ কথা বলবেন : আদি ইবনু হাতিম (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেকের সঙ্গে শিগগিরই তার প্রতিপালক কথা বলবেন, তখন প্রতিপালক ও তার মধ্যে কোনো অনুবাদক ও আড়াল করে এমন পর্দা থাকবে না। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৪৪৩)
আদন জান্নাতে সাক্ষাৎ হবে : কায়স (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, দুটি জান্নাত এমন হবে, সেগুলোর পানপাত্র ও তার ভেতরের সব কিছুই হবে রুপার। আর দুটি জান্নাত এমন হবে, সেগুলোর পানপাত্র ও তার ভেতরের সব কিছুই হবে সোনার। জান্নাতি আদনে তাদের ও তাদের রবের দর্শনের মধ্যে তাঁর চেহারার ওপর অহংকারের চাদর ছাড়া আর কোনো কিছু আড়াল থাকবে না। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৪৪৪)
জান্নাতিরা কৃতজ্ঞতায় সিজদা করবে : আলি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, (সব ধরনের নিয়ামত লাভের পর) জান্নাতিরা বলবে, আমাদের প্রভুর মুখদর্শন ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। তখন আল্লাহ তাদের সামনে আত্মপ্রকাশ করবেন এবং জান্নাতিরা সিজদায় পড়ে যাবে। তাদের বলা হবে, তোমরা আমল করার স্থানে নেই, তোমরা রয়েছ প্রতিদান লাভের স্থানে। (জামিউল উলুম ওয়াল হিকাম : ২/৮৮৭)
আল্লাহ কোরআন তিলাওয়াত করবেন : বুরাইদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, নিশ্চয়ই জান্নাতিরা প্রতিদিন দুইবার মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর কাছে প্রবেশ করবে। অতঃপর তিনি তাদের সামনে কোরআন তিলাওয়াত করবেন। (জামিউস সগির, হাদিস : ২২৩৪)
আপনার মন্তব্য লিখুন