ভারতের লোকসভায় বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাসকে মুসলমানদের অ্যাথনিক ক্লিনজিং বা জাতিগত নিধনের পদক্ষেপ আখ্যা দিয়েছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।
শুক্রবার জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
দলটি এ ঘটনাকে ভারতের অভ্যন্তরীণ ঘটনা মনে করে চুপ না থেকে সারা বিশ্বের মুসলমানদের উপর আঘাত বিবেচনা করে বাংলাদেশসহ সব মুসলিম দেশকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের উগ্রবাদী মোদি সরকার সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর পরিচালিত জাতিগত নিধন মূলক হত্যা-ধর্ষণ-নির্যাতন ও বুলডোজার অভিযানের ধারাবাহিকতায় এবার ভয়াবহ ষড়যন্ত্রমূলক বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাস করেছে।
এর মাধ্যমে ভারতীয় মুসলমানদের ওয়াকফ করা মসজিদ-মাদরাসা ও এতিমখানাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দখল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি ফিলিস্তিনের মুসলমানদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদে ইসরাইলি দখলদারদের কৌশলেরই ভারতীয় সংস্করণ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতে প্রায় ৪০ কোটি মুসলমান বসবাস করে, যা বিশ্বের দুইশ কোটি মুসলমানের এক পঞ্চমাংশ। ফলে ভারতীয় মুসলমানদের মাতৃভূমিতে থেকে বিতাড়িত করার ষড়যন্ত্রস্বরূপ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস, মুসলমানদের ধর্মীয় বিধান তিন তালাক নিষিদ্ধ, বুলডোজার দিয়ে মসজিদ ও বসতবাড়ি ভাঙার ঘটনা এবং কথায় কথায় মুসলমানদের হত্যা ধর্ষণ নিপীড়ন মোটেই অভ্যন্তরীণ ঘটনা নয়। বরং উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের এসব জাতিগত নিধনমূলক অপরাধ সমগ্র বিশ্ব মুসলমানের বিরুদ্ধে পরিচালিত মানবতা বিরোধী ধর্মযুদ্ধেরই অংশ যা রুখে দাঁড়ানো মুসলিম দেশগুলোর পরিহার্য কর্তব্য।
বিবৃতিতে ভারতে সরকারের মুসলিম বিরোধী বিল পাশের প্রতিবাদে দেশটির হাইকমিশনারকে তলব করতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ