ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটে আজ অংশ নিচ্ছে ফরাসি ভোটাররা। এই দফায় ১২ জন প্রার্থীর মধ্যে থেকে দু’জনকে বেছে নেবেন তারা।
বিবিসি জানায়, এই নির্বাচনে ১২ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪ জন নারী এবং ৮ জন পুরুষ। নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ডানপন্থী মেরিন লে পেন।
ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে নির্বাচনী প্রচারণার তুলনায় যুদ্ধরত দেশে কূটনৈতিক বিষয়ে বেশি সময় দিয়েছেন ম্যাত্রোঁ। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী লে পেন চমকদার নির্বাচনী প্রচারণার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন অনেকের কাছে।
এই নির্বাচনে অন্য যেকোনো বিষয়ের চেয়ে যে বিষয়গুলো বেশি প্রাধান্য পেয়েছে তা হলো জ্বালানি বিল এবং জীবনযাত্রার খরচ।
মেরিন লে পেনের জন্য এই খরচের সংকটও একটি বড় সুযোগ নির্বাচনে এগিয়ে যাওয়ার। তাই তিনি তার প্রচারণায় জাতীয়তাবাদ নিয়ে কথা বলার পরিবর্তে কম মজুরির উপর বেশি মনোযোগ দিয়েছেন। তিনি ৩০ বছরের কম বয়সীদের জন্য আয়কর মওকুফ করবেন।
কিন্তু মেরিন লে পেন এখনও অভিবাসন সীমাবদ্ধ করার জন্য একটি গণভোট চান, এছাড়াও প্রকাশ্যে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করতে চান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমূল পরিবর্তন চান।
পাশাপাশি তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ২০১৭ সালে দেখা করলেও তার চিন্তা, মতাদর্শ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে এনেছে।
বিপরীতে, ভোটাররা ম্যাক্রোঁ সরকারের মার্কিন ফার্ম ম্যাককিন্সির মতো পরামর্শদাতাদের উপর করের অর্থ ব্যয় করায় অসন্তুষ্ট হয়েছে।
অন্যান্যদের মধ্যে সমাজতান্ত্রিক প্রার্থী অ্যান হিডালগো, অন্যদিকে ভ্যালেরি পেক্রেস দক্ষিণপন্থী রিপাবলিকানদের হয়ে লড়াই করছেন।
ম্যাক্রোঁর কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো লে পেন এবং জিন-লুক মেলেনচন এই দুজনকে টপকে সামনে এগিয়ে আসা।
ম্যাক্রোঁ ভোটের ৮ দিন আগে একটি সমাবেশের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণায় যোগ দেন। তার প্রতিপক্ষরা যখন ফ্রান্সকে এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছিলো, তখন তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে কূটনৈতিক সমাধান নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
কারো কারো ভাষ্য মতে এবারের নির্বাচনে হারতে পারেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। প্রথম দফার এই ভোটের মাধ্যমে দুজন প্রতিনিধিকে বাছাই করে নিবে ফরাসি ভোটাররা।
আপনার মন্তব্য লিখুন