প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের পর এবার পাকিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় পরিষদে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
এ উপলক্ষে পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে। জাতীয় পরিষদ এবং সিনেট সদস্যরা এই নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। নির্বাচনে শক্তিধর প্রার্থী পাকিস্তান পিপলস পার্টির সহ-সভাপতি আসিফ আলি জারদারি। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোটের মেহমুদ খান আচাকজাই।
কিন্তু পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক আবহ বলছে, নির্বাচনে জারদারির বিজয়ী হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
নির্বাচনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার কথা মাওলানা ফজলুর রেহমানের দল জমিয়তে উলেমায়ে ইসলাম ফজল (জেইউআইএফ) এবং জামায়াতে ইসলামীর (জেআই) পার্লামেন্ট সদস্যদের। ফলে পিপিপির নেতা জারদারি প্রায় ৪০০ ভোট পেতে পারেন।
অন্যদিকে আচাকজাই দুই শতাধিক ভোট পাবেন বলে মনে হয় না।
সূত্র: ডন নিউজ, জিও নিউজ
অনাস্থা ভোটে ১৭৪ রানে বিদায় ইমরান
অনাস্থা ভোটে হেরে গেলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিছুক্ষণ আগে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে ইমরানের বিপক্ষে ১৭৪ ভোট পড়েছে। ৩৪২ আসনের জাতীয় পরিষদে ইমরানকে ঠেকাতে প্রয়োজন ছিল ১৭২ ভোট।
শনিবার দেশটির জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে নানা নাটকীয়তার পর রাত ১২টা বাজার কিছুক্ষণ আগে অনাস্থা ভোট দিতে রাজী হন স্পিকার আসাদ কায়সার।
তবে ভোট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে পদত্যাগে করেন তিনি।
পরে বিরোধীদল পিএমএলের (এন) নেতা আয়াজ সাদিক প্যানেল সভাপতি হিসেবে স্পিকারের আসনে বসেন। রাত ১২টার পর শুরু হয় ভোটগ্রহণ।
অনাস্থা ভোটে ইমরান খানের হার নিশ্চিত ছিল। কারণ জোটসঙ্গীরা ছেড়ে যাওয়ায় ইমরানের দল পিটিআইয়ের এককভাবে আসন ছিল ১৫৬টি।
এ কারণেই নানা কৌশলে অনাস্থা ভোট পেছানোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছিল ইমরানের দল পিটিআই।
আপনার মন্তব্য লিখুন