ইউএনও’র বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, তদন্তে প্রশাসন । WB – Bengali Online News Portal in Bangladesh
বিশ্ববার্তা
  • হোম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব সংবাদ
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • ক্যাম্পাস
  • চাকুরী বার্তা
  • অন্যান্য খবর
    • স্বাস্থ্য বার্তা
    • ধর্ম বার্তা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • কলাম
পাওয়া যায়নি
সকল অনুসন্ধানি তথ্য
  • হোম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব সংবাদ
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • ক্যাম্পাস
  • চাকুরী বার্তা
  • অন্যান্য খবর
    • স্বাস্থ্য বার্তা
    • ধর্ম বার্তা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • কলাম
পাওয়া যায়নি
সকল অনুসন্ধানি তথ্য
বিশ্ববার্তা

ইউএনও’র বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, তদন্তে প্রশাসন । WB

বিশ্ববার্তা ডেস্ক
09/04/2022
ক্যাটাগরি বাংলাদেশ
ফটোকার্ড টি শেয়ার করুন

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন এক কলেজছাত্রী। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে আবেদনের পাশাপাশি মো. মনজুর হোসেনেকে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছেন।

অভিযুক্ত ইউএনও মো. মনজুর হোসেন (পরিচিতি নং-১৭৩০০) বর্তমানে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলায় নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। এ ঘটনা তদন্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র ও কলেজছাত্রীর লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ২০২১ সালে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মনজুর হোসেন দায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কথোপকথনের মাধ্যমে ওই কলেজছাত্রীর সাথে ইউএনও এর পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনজুর হোসেন ওই কলেজছাত্রীকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার বাসাইলস্থ সরকারি বাসভবনে নিয়ে যান। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজছাত্রীকে তিনি ধর্ষণ করেন।

এরই মধ্যে একাধিকস্থান থেকে ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব এলে ইউএনও মনজুর হোসেনের পরামর্শে তা প্রত্যাখ্যান করে দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে ওই কলেজ ছাত্রী ও ইউএনও মো. মনজুর হোসেন টাঙ্গাইল শহরের কুমুদিনী কলেজের পাশে পাওয়ার হাউজের পেছনে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে ভিন্ন পরিচয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস শুরু করেন। সেখানে তারা দুই মাস থাকার পর কলেজছাত্রী বিয়ের মাধ্যমে সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ইউএনও মো. মনজুর হোসেনকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। এসময় ইউএনও মো. মনজুর হোসেন ওই কলেজছাত্রীকে জানায়- তারা দুজন ভারত ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে বিয়ে করবেন।

২০২১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে সরকারি গাড়িতে তারা বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে চিকিৎসা ভিসায় ভারত যান। ওই বছরের ১২ অক্টোবর তারা ভারত থেকে দেশে ফিরে আসেন। ভারতে অবস্থানকালে তারা অধিকাংশ সময় নিজেদেরকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দেন। ভারতের হায়দারাবাদে হাসপাতালের কাছে একটি বাসা নিয়ে সেখানে অবস্থান করে তারা দুইজনই চিকিৎসা নেন। ওই সময় কলেজছাত্রী ইউএনও এর পার্সোনাল ব্যাগ থেকে পাসপোর্ট বের করে জানতে পারেন ইউএনও মো. মনজুর হোসেন বিবাহিত এবং তার দুইটি সন্তান রয়েছে। ইউএনও এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিয়ের বিষয়টি তিনি গোপন করেছেন বলে জানান।

১২ অক্টোবর ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার পর তারা যার যার বাড়িতে চলে যান। পরে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে তারা আবার দেখা করেন এবং ইউএনও মো. মনজুর হোসেন পুনরায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাসের প্রস্তাব দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও ইউএনও মো. মনজুর হোসেন তাকে বিয়ে না করায় পুনরায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাসের প্রস্তাব ওই কলেজ ছাত্রী প্রত্যাখ্যান করেন এবং প্রতিকার চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির পরিধি বা সদস্য সংখ্যা সম্পর্কে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। এ বিষয়ে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়িচালক বুলবুল হোসেন জানান, তিনি তৎকালীন বসের হুকুম পালন করেছেন। কাজের অংশ হিসেবে তিনি ওই কলেজ ছাত্রীসহ তিন জনকে বেনাপোল সীমান্তে নিয়ে গেছেন। এর আগেও ওই কলেজ ছাত্রী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরকারি বাসভবনে একাধিকবার এসেছেন বলেও জানান তিনি।

প্রতারণার শিকার কলেজছাত্রী জানান, ইউএনও মো. মনজুর হোসেন তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া করে বসবাস করেছেন। মনজুর হোসেন বিবাহিত হয়েও তিনি অবিবাহিত পরিচয় দিয়েছেন। তিনি সরল মনে তার কথা বিশ্বাস করেছেন। তিনি শুধু তাকে ব্যবহারই করেছেন। তাকে সামাজিক স্বীকৃতি বা স্ত্রীর মর্যাদা দেননি।

এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রীর মা জানান, ইউএনও মো. মনজুর হোসেন তার মেয়ের সাথে প্রতারণা করেছেন। একাধিক পাত্র পক্ষ বিয়ের প্রস্তাব পাঠালেও ইউএনও এর পরামর্শে তারা ফিরিয়ে দিয়েছেন। এখন বিয়ের স্বীকৃতি না দেওয়ায় তারা সামাজিকভাবে হেয় হয়ে পড়েছেন। তার মেয়ে কলেজে যেতে পারছেনা। মেয়ের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তিনি এর প্রতিকার চান।

অভিযোগের বিষয়ে ইউএনও মনজুর হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম জানান, ইউএনও মো. মনজুর হোসেন বাসাইল থেকে চলে যাওয়ার পর তাকে একদিন ফোন করে জানান- একটি মেয়ে তার বিরুদ্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তিনি দেখার জন্য তাকে অনুরোধ করেন। তিনি ওই মেয়েটির সাথে কথা বলে মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসনক (রাজস্ব) ও তদন্ত কমিটির সদস্য সোহানা নাসরিন জানান, এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত চলছে। আগামি বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) এর মধ্যে তদন্ত কমিটির শুনানী হওয়ার কথা রয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।

ট্যাগ : বিশ্ববার্তা
শেয়ার করুন14শেয়ার করুনসেন্ড
AmraSobai
পূর্ববর্তী পোস্ট

ইইউয়ের ১৮ কূটনীতিককে বহিষ্কার করল মস্কো । WB

পরের পোস্ট

যে দুই শর্তে এ বছর ১০ লাখ মানুষ হজ করতে পারবে । WB

সম্পর্কিত পোষ্ট

নাহিদ ইসলাম
বাংলাদেশ

চুপ্পু জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলে সংস্কারের কফিনে পেরেক মারা হবে

02/11/2025
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বাংলাদেশ

হাসিনাকে ফেরত চাইলেন মির্জা ফখরুল

01/11/2025
হাসু আপা
বাংলাদেশ

হাসু আপা আর ফিরছেন না, নেতৃত্বের বাইরে শেখ পরিবার

30/10/2025
ঐকমত্য কমিশন
বাংলাদেশ

অনৈক্য রেখেই ঐকমত্য কমিশনের বিদায়

29/10/2025
আরো দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Worldbartatv
বিজ্ঞাপন

World Barta

প্রকাশক ও সম্পাদক : এইচ এম বায়েজিদ বোস্তামী

আমাদের অনুসরণ ও যোগাযোগ করুন

Organization by AmraSobai Foundation

পাওয়া যায়নি
সকল অনুসন্ধানি তথ্য
  • হোম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব সংবাদ
  • ক্যাম্পাস
  • বিনোদন
  • স্বাস্থ্য বার্তা
  • খেলাধুলা
  • চাকুরী বার্তা
  • ধর্ম বার্তা
  • অন্যান্য খবর

Sponsor by AmraSobai Foundation