আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘টার্গেট শিক্ষার্থী ও বিরোধীরা’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এলাকা ভাগ করে সন্দেহভাজনদের আটক করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ খবরে বলা হয়েছে – আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মূলত দুটি অংশে অভিযান চালায়। একাংশ অভিযান চালায় বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর নেতা-কর্মীদের ধরতে।
অন্য অংশের পুলিশ কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্রেফতারে অভিযান চালায়।
খবরে ঢাকায় শাহীনবাগ এলাকায় গত বৃহস্পতিবার পুলিশের ‘ব্লক রেইড’-এর সময় তৈরি হওয়া ভীতিকর পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে এভাবে – রাত ১১টা। আকাশে হেলিকপ্টারে টহল। সাইরেন বাজিয়ে হঠাৎ মহল্লার চারপাশ ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
হ্যান্ডমাইকে পুলিশের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালাবে। কেউ বাসা থেকে বের হবেন না।’ ঘোষণা শেষ হতেই সড়কের বাতি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তারপর দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ। বাসায় ঢুকেই পুলিশের প্রশ্ন—আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে সহিংসতা চালিয়েছে, এমন কেউ বাসায় আছেন কি না। এরপর প্রশ্ন চলে একের পর এক, সঙ্গে চালানো হয় ঘরের প্রতিটি কোনায় তল্লাশি। জবাবের হেরফের হলেই গ্রেফতার।
অভিযানসংশ্লিষ্টদের দাবি, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকায় যারা সহিংসতা চালিয়েছে এবং তাদের যারা মদদ দিয়েছেন, তাদের ধরতেই এই অভিযান।
আপনার মন্তব্য লিখুন