জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নির্বিচারে মানুষ হত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বিচার কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন আহত ও নিহতের পরিবাররা।
মঙ্গলবার দুপুর তিনটায় বৈসষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে আগত নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা এই দাবি জানান।
‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে গত ৪ আগস্ট রাজধানীর মিরপুরে পুলিশের গুলিতে শহীদ শাহরিয়ার আসাদ আলভির বাবা আবুল হাসান বক্তব্যে বলেন, আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের দুঃখ শুধু তারাই বুঝবে যারা তাদের মূল্যবান সন্তান হারিয়েছে। আমরা আজকে যারা সন্তানহারা হয়েছি, তারা প্রতিটা মুহূর্তে সন্তানকে অনভূব করি। আমাদের এই কান্না থামবে না। আমাদের বেদনা ও শোক কোনোদিন যাবে না।
শেখ হাসিনার বিচার দাবি করে বলেন, খুনি হাসিনা পাখির মতো মানুষকে হত্যা করেছে, তার মন্ত্রীপরিষদ ও হেলমেট বাহিনী এই কাজগুলো করেছে। শেখ হাসিনাকে দ্রুত দেশে এনে ফাঁসি দেওয়া হোক।
বর্তমান সরকারের কাছে তিনি দ্রুত বিচার দাবি করে বলেন, শহীদের রক্তের উপরে বর্তমান দাঁড়ানো সরকার গত পাঁচ মাসেও বিচারের কোনো প্রক্রিয়া দেখিনি। আমরা বিচারের দাবিতে প্রহসন চাই না। আমাদেরকে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য করবেন না। আমাদের সন্তানদের হত্যার বিচার করুন।
এদিকে ছেলে হত্যার বিচার দাবি করে শহীদ মিনারে মার্চ ফর জাস্টিসে যোগ দিয়েছেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা জহুরা খাতুন। গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় জহুরার ১৩ বছরের সন্তান যোবায়েদ হোসেন ইমন। ইমন মোহাম্মদপুরে একটি মাদ্রাসায় চতুর্থ শেণির শিক্ষার্থী ছিলেন বলে দাবি করেন তার মা জহুরা।
এসময় কাঁদো কাঁদো গলায় তিনি বলেন, আমার ছেলে মোহাম্মদপুরে আন্দোলনে যায়। আমি তাকে যেতে বাঁধা দিলেও সে জোর করেই বাসা থেকে বের হয়ে আন্দোলনে যোগদান করে। এরপরে পুলিশ তাকে গুলি করে যা মাথার ডান পাশ থেকে ঢুকে মুখের বা পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়।
আমি আমার ছেলেকে যে বা যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই। এসময় ইমন হত্যাসহ দেশের সকল শহীদ ও আহতদের সুষ্ঠু বিচার চান জহুরা।
আপনার মন্তব্য লিখুন