তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে এক বৈঠক হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার ইস্তাম্বুলে এরদোয়ান-জেলেনস্কির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে এরদোয়ান জানিয়েছেন, যুদ্ধ বন্ধ করতে ইউক্রেন ও রাশিয়াকে নিয়ে সম্মেলনের আয়োজন করতে তুরস্ক প্রস্তুত।
দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধপরিস্থিতিতে মস্কো ও কিয়েভের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখছেন এরদোয়ান। দুই দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনায় তুরস্ক কি ধরনের সুবিধা সরবরাহ করতে পারে সে বিষয়ও উল্লেখ করেছেন এরদোয়ান।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে আমাদের একাত্মতা অব্যাহত রাখলেও আলোচনার ভিত্তিতে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাব।
জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা এক পোস্টে বলেন, ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। যদিও এরদোয়ানের শান্তি আলোচনার প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
তাছাড়া রাশিয়ায় ইউক্রেনের বন্দি সেনাদের মুক্তির ক্ষেত্রে এরদোয়ান যে চেষ্টা করেছেন তার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
সূত্র : রয়টার্স
যুদ্ধ বন্ধ করতে নিরপেক্ষ থাকার ঘোষণা ও রুশ ভাষাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে হবে
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি স্থাপনের শর্ত আবার ঘোষণা করেছে রাশিয়া। রুশ উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল গালুজিন বলেছেন, সবার আগে ইউক্রেনকে ‘নিরপেক্ষ’ থাকার ঘোষণা দিতে এবং ‘নয়া ভৌগলিক বাস্তবতা’ মেনে নিতে হবে। পাশাপাশি ইউক্রেনে রুশ ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিতে হবে।
তাস বার্তা সংস্থাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। গালুজিন আরও বলেন, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী যদি শত্রুতা বন্ধ করে এবং দেশটিতে পশ্চিমা দেশগুলো সমরাস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তাহলে একটি শান্তি চুক্তি সম্ভব। তিনি আরো বলেন, একটি টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ থাকার ঘোষণা দিতে হবে। এর অর্থ হচ্ছে, কিয়েভ একথা স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করবে যে, দেশটি কখনও ন্যাটো জোট কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেবে না।
রুশ উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘নয়া ভৌগলিক বাস্তবতা’ বলতে গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের যে চারটি অঞ্চল রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তা মেনে নেয়ার কথা বুঝিয়েছেন। গালুজিন আরো বলেন, এছাড়া কিয়েভকে ইউক্রেনের রুশ ভাষাভাষি নাগরিকদের পাশাপাশি অন্যান্য সংখ্যালঘু নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করতে হবে। রাশিয়ার এই শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক বলেন, রুশ ভাষাকে ইউক্রেনের রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিতে হবে।
আপনার মন্তব্য লিখুন