রবিবার দেশটির জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের ভোটে দেশের ২৪তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন তিনি।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন প্রভাবশালী শরিফ পরিবারের এই সদস্য।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পিএমএল-এন সভাপতি শেহবাজ শরিফ ২০১ ভোট পেয়ে পাকিস্তানের ২৪তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন বলে জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে পিটিআইয়ের প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী ওমর আইয়ুব খান পেয়েছেন ৯২ ভোট।
এরপর আয়াজ সাদিক শেহবাজকে সংসদ নেতার আসনে ডেকে নেন। ঘোষণার পর বড় ভাই নওয়াজকে জড়িয়ে ধরেন শেহবাজ।
দলীয়ভাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য শেহবাজ শরিফকে মনোনয়ন দেয় পিএমএল-এন। পিএমএল-এন ছাড়াও শেহবাজের পেছনে রয়েছে পিপিপি, এমকিউএম-পি, পিএমএল-কিউ, বিএপি, পিএমএল-জেড, আইপিপি এবং এনপি।
পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে শেহবাজ শরিফের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী পিটিআই-মনোনীত ওমর আইয়ুব খান নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে শেহবাজ শরিফের প্রার্থিতার বিরুদ্ধে আপত্তি জানালেও পরে তা খারিজ হয়ে যায়।
সূত্র: ডন নিউজ
শপথ নিলেন পাকিস্তানের নতুন এমপিরা
শপথ নিলেন পাকিস্তানের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। বৃহস্পতিবার এক ঘণ্টা বিলম্বে দেশটির ১৬তম জাতীয় পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশন শুরু হয়। এরপর নবনির্বাচিত এমপিদের শপথ পাঠ করান বিদায়ী স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ।
আগামীকাল শুক্রবার (১ মার্চ) স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করা হবে। আর ৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে জাতীয় পরিষদ।
প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভির অনিচ্ছা সত্ত্বেও গত সোমবার পরিষদের সচিবালয় আজকের উদ্বোধনী অধিবেশন আহ্বান করে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন হুঁশিয়ারি দেয় রাজনৈতিক দলগুলো। বলা হয়, তাকে অভিশংসন করা হবে। এমন হুমকির পর প্রেসিডেন্ট শেষ পর্যন্ত জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন।
সূত্র: ডন নিউজ
বিশেষ বিলে সই করেননি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, ক্ষেপেছে আইন মন্ত্রণালয়
অফিশিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট ও পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্ট নামের দুই বিশেষ বিলে সই করেননি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। প্রেসিডেন্টের এমন আচরণে চটেছে প্রধানমন্ত্রী শহবাজ শরীফের আইন মন্ত্রণালয়।
প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) লিখেছেন, ‘সৃষ্টিকর্তা দেখছেন, আমি অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২৩ এবং পাকিস্তান আর্মি অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২৩-এ স্বাক্ষর করিনি। কারণ আমি এই আইনগুলোর সঙ্গে একমত না।’
প্রেসিডেন্ট আলভি জানান, অকার্যকর করতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আইনসভায় স্বাক্ষরবিহীন বিলগুলো ফেরত দিতে তিনি তার কর্মীদের বলেছেন। তবে আরিফের দাবি, তার কর্মীরা তার ইচ্ছা ও আদেশকে অবমূল্যায়ন করেছে।
পাকিস্তানের আইন মন্ত্রণালয়ের দাবি, তার নিজের কাজের দায় তাকেই নিতে হবে।
বিল দুইটি পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উভয় কক্ষেই অনুমোদন পেয়েছে। তবে ইমরান খানের দল পিটিআই’র সদস্য আলভি বিল দুটি পাস করতে অক্ষমতা প্রকাশ করেছেন।
আপনার মন্তব্য লিখুন