দেশের সংকট নিরসনে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সাথে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিকেলে সেনা সদর দপ্তরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, জাতীয় পার্টির জিএম কাদের, মুজিবুল হক চুন্নু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ; হেফাজতে ইসলামের মাওলানা মামুনুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, খেলাফত মজলিসের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, হামিদুর রহমান আজাদ প্রমুখ।
আলোচনায় রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাতপূর্বক ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’ গঠনের প্রক্রিয়া ও রূপরেখা প্রণয়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আলোচনা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনী প্রধান দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, সকল হত্যাকাণ্ড ও অন্যায়ের বিচার করা হবে, আপনারা সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা রাখুন।
সহিংসতার পথ ছেড়ে তিনি সকলকে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান এবং ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। একই সাথে তিনি অতি শীঘ্রই ছাত্র-শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকে বসবেন বলে জানান।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি অচিরেই স্বাভাবিক হয়ে আসবে। সেনাবাহিনী প্রধান ছাত্র-ছাত্রীসহ দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
দেশ ছাড়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। সোমবার (৫ আগস্ট) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানায়, চলমান পরিস্থিতিতে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। বেলা আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে শেখ হাসিনা উড্ডয়ন করেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। শেখ হাসিনা যাওয়ার আগে একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন। তিনি সে সুযোগ পাননি।