ইসরায়েলের সাথে জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের নেতৃবৃন্দের প্রতি সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
কায়রোয় যুদ্ধবিরতির আলোচনার প্রাক্কালে একজন মার্কিন কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।
গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুুক্তির বিনিময়ে হামাসের কাছে আটক জিম্মিদের ছেড়ে দেওয়া নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার কয়েকসপ্তাহ ধরে আলোচনা চালিয়ে আসছিল।
কিন্তু পবিত্র রমজানের আগে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে তারা ব্যর্থ হয়। এ প্রেক্ষিতে কায়রোতে নতুন করে আলোচনা শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়েছে, কায়রোতে সপ্তাহান্তে আলোচনা হবে। তবে এ আলোচনায় মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন আবদুল রহমান আল থানি এবং মিসরের গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কারমেলের সাথে সিআইয়ের পরিচালক বিল বার্নস যোগ দেবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়।
শুক্রবার মিসরের প্রেসিডেন্ট ও কাতারের আমিরের কাছে লেখা চিঠিতে একটি চুক্তিতে সম্মত হতে এবং তা মেনে চলার অঙ্গীকার হামাসের কাছ থেকে আদায় করার আহ্বান জানান বাইডেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে টেলিফোনে বাইডেন বলেছেন, হামাসের কাছে আটক জিম্মিদের মুক্তির জন্যে অবশ্যই সবকিছু করা হবে।
ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড় ধরনের হামলা চালায়। তাদের এ হামলায় প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলি নিহত হয়। এছাড়াও ২৫০ জিম্মিকে আটক করে হামাস। এখনও তাদের কাছে ১৫০ জিম্মি আটক রয়েছে।
এদিকে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস।
ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের রকেট হামলার ভয়ে বসতি ছেড়ে পালিয়েছে ইসরায়েলিরা
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের রকেট হামলার ভয়ে গাজা উপত্যকার আশপাশে বসবাসকারী ১২ হাজার ইসরায়েলি অবৈধ ইহুদি বসতি ছেড়ে পালিয়েছে। ইসরায়েলি সূত্রের বরাত দিয়ে লেবাননের আল-মানার টেলিভিশন চ্যানেল এই খবর দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর আগ্রাসনের মুখে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা রকেট হামলা শুরু করলে এসব ইসরায়েলি গাজার আশপাশ ছেড়ে পালিয়ে যায়।
কয়েকদিন আগে ইসরায়েলের হিব্রু ভাষার পত্রিকা ইয়েদিওথ অহরোনোথ এক রিপোর্টে জানিয়েছিল যে, সেদরোত শহর থেকে সাড়ে চার হাজার ইসরায়েলি পালিয়ে গেছে কারণ তারা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের রকেট হামলার ভয়ে চরমভাবে উদ্বিগ্ন ছিল।
এদিকে, ইসরায়েলের ভেতরে মঙ্গলবার পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী আশঙ্কা করছে, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা রকেট হামলা অব্যাহত রাখতে পারে। এরইমধ্যে মিশরের মধ্যস্থতায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
আপনার মন্তব্য লিখুন