ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য ‘ধ্বংস’ হবে: জর্ডান বাদশাহ আবদুল্লাহ – Bengali Online News Portal in Bangladesh
বিশ্ববার্তা
  • হোম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব সংবাদ
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • ক্যাম্পাস
  • চাকুরী বার্তা
  • অন্যান্য খবর
    • স্বাস্থ্য বার্তা
    • ধর্ম বার্তা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • কলাম
পাওয়া যায়নি
সকল অনুসন্ধানি তথ্য
  • হোম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব সংবাদ
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • ক্যাম্পাস
  • চাকুরী বার্তা
  • অন্যান্য খবর
    • স্বাস্থ্য বার্তা
    • ধর্ম বার্তা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • কলাম
পাওয়া যায়নি
সকল অনুসন্ধানি তথ্য
বিশ্ববার্তা

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য ‘ধ্বংস’ হবে: জর্ডান বাদশাহ আবদুল্লাহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
14/10/2025
ক্যাটাগরি বিশ্ব সংবাদ
ফটোকার্ড টি শেয়ার করুন

চলমান শান্তি প্রক্রিয়া ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে না হলে মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছেন জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা এই সমস্যার সমাধান না করি, যদি আমরা ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের নাগরিকদের জন্য একটি ভবিষ্যৎ এবং আরব ও মুসলিম বিশ্ব এবং ইসরাইলের মধ্যে একটি সম্পর্ক খুঁজে না পাই, তাহলে আমরা ধ্বংস হয়ে যাব। এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার অনেক ব্যর্থ প্রচেষ্টা অতীতেও দেখা গেছে।’

মিসরের শার্ম আল-শেখে, এই অঞ্চলের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার ওপর একটি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে, বিবিসি প্যানোরামার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেন। এমন একটি দিনে এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে যেদিন হামাস গাজায় আটক শেষ জীবিত ইসরাইলি জিম্মিদের ইসরাইলের হাতে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে মুক্তি দিয়েছে।

বাদশাহ আবদুল্লাহর মতে, একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান খোঁজার মাধ্যমে ইসরাইলের পাশাপাশি পশ্চিম তীর এবং গাজায় একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই এই পরিস্থিতির একমাত্র সমাধান।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা পরিস্থিতি ঠিক করতে পারব, কারণ যদি আমরা এর সমাধান না করি, তাহলে আমাদেরকে আবারও এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে।

বর্তমান ইসরাইলি সরকার বারবার দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান প্রত্যাখ্যান করেছে। গত মাসে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে, এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

তবে, একই জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার শান্তি পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরির জন্য বাদশাহ আবদুল্লাহ এবং অন্যান্য আঞ্চলিক নেতাদের একটি বৈঠকে ডেকেছিলেন।

বাদশাহ আবদুল্লাহ বলেন, আমাদের সবাইকে যে বার্তাটি দিয়েছিলেন তা হলো— ‘এটা বন্ধ করতে হবে, এটা এখনই বন্ধ করতে হবে’ এবং আমরা বলেছিলাম, আপনি জানেন (ট্রাম্প), যদি কেউ এটা করতে পারে তাহলে তিনি আপনি।

ইরানের সঙ্গে ইসরাইলের যুদ্ধ এবং কাতারে হামাস নেতাদের ওপর ইসরাইলি হামলাসহ গত দুই বছরের সহিংসতার কথা উল্লেখ করে আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা আঞ্চলিক, অথবা উত্তর-দক্ষিণে বিভাজিত হয়ে সংঘাতে জড়ানো, যা সমগ্র বিশ্বকেই প্রভাবিত করতো, যার কতটা কাছাকাছি পৌঁছে গেছি?’

নেতানিয়াহুর কথা বলতে গিয়ে জর্ডানের এই নেতা বলেন, তিনি ‘তার কথায় বিশ্বাস করেন না’। তবে তিনি বিশ্বাস করেন যে এমন কিছু ইসরাইলি আছেন যাদের সঙ্গে আরব নেতারা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে পারেন।

হামাস এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তাবলীর অধীনে গাজার শাসনভার একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি সংস্থার কাছে হস্তান্তরের বিষয়ে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে বাদশাহ বলেন, ‘কাতার এবং মিশরের মতো দেশগুলো তাদের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে, যারা মনে করে, যে এই চুক্তি সবাই মেনে চলবে। তারা খুবই আশাবাদী।

কিন্তু রাজা সতর্ক করে বলেন, ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা চুক্তির ‘বিষয়বস্তুর ভেতরেই শয়তান রয়েছে’ এবং গাজায় একবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের আলোচনায়, তিনি জানেন যে এটি কেবল গাজা নয়, এটি কেবল একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক বিষয় নয়। তিনি পুরো অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনার দিকে তাকিয়ে আছেন। ফিলিস্তিনিদের ভবিষ্যৎ না থাকলে যা ঘটবে না,’ বলেও মনে করেন আব্দুল্লাহ।

জর্ডানের অনেকের বিরোধিতা সত্ত্বেও ১৯৯৪ সাল থেকে ইসরাইলের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি রয়েছে। দেশটির জনসংখ্যার ৫০ শতাংশেরও বেশি ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। এছাড়া কিছু নিরাপত্তা ইস্যুতেও দেশ দুটি সহযোগিতা করে।

বর্তমান রাজার প্রয়াত পিতা বাদশাহ হুসেন এবং ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিন এই শান্তি চুক্তিতে সম্মত হন। পরের বছর এক ইহুদি চরমপন্থি রবিনকে হত্যা করে।

নিজের জীবদ্দশায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রসহ একটি চূড়ান্ত শান্তি চুক্তি দেখতে পাবেন, এটি বিশ্বাস করেন কিনা? বিবিসির এমন প্রশ্নের জবাব দেন আব্দুল্লাহ।

তিনি বলেন, আমাকে করতেই হবে, কারণ বিকল্পের অর্থ সম্ভবত এই অঞ্চলের শেষ হবে। আমার মনে আছে, আমার বাবা তার জীবনের শেষের দিকে বলতেন, ‘আমি আমার সন্তানদের এবং তাদের সন্তানদের জন্য শান্তি চাই।’ আমার দুই নাতি-নাতনি আছে; তারা সেই শান্তির যোগ্য। তাদের জন্য কতই না খারাপ হবে যদি তারা বড় হয়ে একই কথা বলে যা আমার বাবা বহু বছর আগে বলেছিলেন?

‘এবং আমি মনে করি এটাই আমাকে এবং এই অঞ্চলে আমাদের অনেককে উৎসাহিত করে যে, শান্তিই একমাত্র বিকল্প। কারণ যদি তা না ঘটে, তাহলে পশ্চিমারা, বিশেষ করে আমেরিকা, কতবার এতে জড়িয়ে পড়ে? ৮০ বছর হয়ে গেছে। এবং আমার মনে হয় আমাদের সকলের এখন বলার সময় এসেছে যে যথেষ্ট হয়েছে।’

হামাস-নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, ২০২৩ সালের সাতই অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হাতে ৬৭ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

যুদ্ধ বন্ধ ও শান্তি স্থাপনের এই প্রক্রিয়াকে একটি প্রকৃত সম্ভাবনার মুহূর্ত বলেই মনে করেন বাদশাহ আবদুল্লাহ। যদিও, এক্ষেত্রে ইতিহাস আশার খুব বেশি কারণ দেয় না।

উৎস : বিবিসি বাংলা
ট্যাগ : আমেরিকাইসরায়েলপ্যালেস্টাইনবিশ্ব সংবাদমোসাদযুদ্ধহামাস
শেয়ার করুন3শেয়ার করুনসেন্ড
AmraSobai
পূর্ববর্তী পোস্ট

আয়ুর্বেদিক যে ৮ উপায়ে দ্রুত ওজন কমাবেন

পরের পোস্ট

হংকং চায়নার বিপক্ষে বাংলাদেশের শুরুর একাদশে আছেন যারা

সম্পর্কিত পোষ্ট

পাকিস্তান ও আফগানিস্তান তীব্র উত্তেজনা
বিশ্ব সংবাদ

দোহা আলোচনায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তান তীব্র উত্তেজনা

18/10/2025
মুসলমানদের টার্গেট করে তালেবান কে আলিঙ্গন বিজেপির ভণ্ডামি
বিশ্ব সংবাদ

মুসলমানদের টার্গেট করে তালেবান কে আলিঙ্গন বিজেপির ভণ্ডামি

13/10/2025
আফগান ১৯ সীমান্ত পোস্ট দখলের দাবি পাকিস্তানের
বিশ্ব সংবাদ

আফগান ১৯ সীমান্ত পোস্ট দখলের দাবি পাকিস্তানের

12/10/2025
ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে সৌদি আরব ও পাকিস্তান
বিশ্ব সংবাদ

ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে সৌদি আরব ও পাকিস্তান

18/09/2025
আরো দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Worldbartatv
বিজ্ঞাপন

World Barta

প্রকাশক ও সম্পাদক : এইচ এম বায়েজিদ বোস্তামী

আমাদের অনুসরণ ও যোগাযোগ করুন

Organization by AmraSobai Foundation

পাওয়া যায়নি
সকল অনুসন্ধানি তথ্য
  • হোম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব সংবাদ
  • ক্যাম্পাস
  • বিনোদন
  • স্বাস্থ্য বার্তা
  • খেলাধুলা
  • চাকুরী বার্তা
  • ধর্ম বার্তা
  • অন্যান্য খবর

Sponsor by AmraSobai Foundation