ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের এক যোদ্ধা ও তার পরিবারকে ফেরত পাঠিয়েছে ব্রাজিল।
যুক্তরাষ্ট্র ওই পরিবারটির ভ্রমণের ব্যাপারে ব্রাজিলের ফেডারেল পুলিশকে সতর্ক করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
ব্রাজিলিয়ান পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার গর্ভবতী স্ত্রী, ছেলে ও শাশুড়িকে নিয়ে সাও পাওলোর গুয়ারুলহোস বিমানবন্দরে প্রবেশ করার সময় আবু উমারকে আটক করা হয়। এর দু’দিন পর কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তাদের দোহায় ফেরত পাঠানো হয়।
একজন সিনিয়র ফেডারেল পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “অনুরোধটি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে এসেছে। একজন বিচারকের সামনে প্রমাণিত হয় যে, আবু উমার হামাসের সাথে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন।”
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাজিলের ফেডারেল পুলিশ মার্কিন দূতাবাসের মাধ্যমে একটি সতর্কতা পেয়েছিল যে, হামাস যোদ্ধা আবু ওমার কুয়ালালামপুর থেকে ব্রাজিলে পৌঁছাবেন।
আবু উমারের আইনজীবী ব্রুনো হেনরিক দে মউরার পিটিশন অনুযায়ী, ফিলিস্তিনি পরিবারটিকে গুয়ারুলহোস বিমানবন্দরে ওয়ারেন্ট ছাড়াই পুলিশ আটক করেছিল। তারা ব্রাজিলে বসবাসকারী তার ভাইয়ের সাথে দেখা করতে সেখানে যান।
তবে ব্রাজিলের পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, আবু ওমার সফরে না, বরং ব্রাজিলে থাকতে এবং সেখানে হামাসের মুখপাত্র হওয়ার জন্য গিয়েছিলেন। তিনি তার পরিবারের সাথে বিপুল পরিমাণ লাগেজ নিয়ে গিয়েছিলেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ৩৭ বছর বয়সী আবু ওমার এশিয়া মিডল ইস্ট সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক। তার স্ত্রী মালয়েশিয়ান।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, মিডল ইস্ট মনিটর
মার্কিন অস্ত্র নাদিলে প্রথম সপ্তাহে ধ্বংস হয়ে যেত ইসরায়েল
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা না করলে দখলদার ইসরায়েল প্রথম সপ্তাহেই ধ্বংস হয়ে যেত। গাজায় এখন যে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চলছে তা যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা তথা যুক্তরাষ্ট্রের হাতেই হচ্ছে।
বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের জাতীয় দিবস ও ছাত্র দিবসকে সামনে রেখে বুধবার সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন ইরানের একদল ছাত্র-ছাত্রী। এ সময় সর্বোচ্চ নেতা এসব কথা বলেন।
তিনি বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, মুসলিম সরকারগুলোর পক্ষ থেকে ইহুদিবাদী ইসরায়েলে জ্বালানি তেল এবং নিত্যপণ্য রপ্তানি বন্ধ করতে হবে। ইসরায়েলে তেল রপ্তানির পথগুলোও বন্ধ করে দিতে হবে। দখলদার সরকারের সাথে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বন্ধ করতে হবে। বিশ্বের সকল ফোরামে উচ্চস্বরে এই অপরাধযজ্ঞের নিন্দা করতে হবে। অবিলম্বে ইসরায়েলি অপরাধযজ্ঞ বন্ধের জন্য মুসলিম সরকারগুলোর পক্ষ থেকে জোরালো চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, পশ্চিমা রাজনীতিবিদদের নির্লজ্জ কাজগুলোর একটি হলো, মাতৃভূমি রক্ষায় সংগ্রামরত ফিলিস্তিনিদেরকে তারা সন্ত্রাসী বলে অভিহিত করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানরা এসে প্যারিস দখল করে নেয়। যে ফরাসিরা জার্মানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল তারা কি সন্ত্রাসী ছিল?
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ইসরায়েল হতবুদ্ধি ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছে। এই দখলদার শক্তি তার নিজের লোকদের কাছেও মিথ্যা বলছে। ইসরায়েলি বন্দীদের বিষয়ে যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করছে সেটাও মিথ্যাচার। বোমাবর্ষণ করে তারা তাদের নিজেদের বন্দীদেরও হত্যা করছে।
সূত্র : পার্সটুডে
গাজা সীমান্তে দুটি ট্যাংক ধ্বংস, একদিনে নিহত ১৬ ইসরায়েলি সেনা
ফিলিস্তিনের গাজায় দুটি ইসরায়েলি ট্যাংক ধ্বংস করেছে স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা।
‘ইয়াসিন-১০৫’ রকেটের সাহায্যে সেটিকে ধ্বংস করা হয় বলে বুধবার জানিয়েছে হামাসের ইজ্জাদ্দিন কাসাম ব্রিগেড।
ইজ্জাদ্দিন কাসাম ব্রিগেড বলেছে, গাজা উপত্যকার সীমান্তের হাজার-আলদিক এলাকায় একটি ট্যাংক ধ্বংস করা হয়েছে। সেখানে একের পর এক রকেটের আঘাতে দখলদার বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। গাজায় স্থল অভিযান চালাতে গিয়ে মঙ্গলবার ইসরায়েলের ১৬ সেনা নিহত হয়েছে বলে টাইমস অব ইসরায়েল বুধবার জানায়।
গাজার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে দখলদার বাহিনী। ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় হামাসের একটি রকেটের আঘাতেই একটি সাজোয়া যান ধ্বংস ও ৭ দখলদার সেনা প্রাণ হারিয়েছে
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, টাইমস অব ইসরায়েল
যেকোনো মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়তে যুদ্ধের আগুন: ইরান
নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আগুন যেকোনো মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ইরান।
তুরস্ক সফররত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সেরকম কিছু ঘটলে তার পুরো দায় আমেরিকা ও ইসরায়েলকেই নিতে হবে।
এ সময় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধ বন্ধে ‘অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা’ গ্রহণের জন্য মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। একইসঙ্গে এই অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ছোট উপত্যকায় মানবিক ত্রাণ পাঠানোরও আহ্বান জানিয়েছে ইরান।
বুধবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাতে এ আহ্বান জানান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি গাজাবাসীর প্রতি সমর্থন জানানোর পাশাপাশি তুরস্কব্যাপী ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিশাল বিশাল বিক্ষোভ আয়োজনের জন্য প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
কাতার সফর শেষ করে তুরস্কে যাওয়া ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজা পরিস্থিতি নিয়ে মুসলিম দেশগুলোর একটি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করারও আহ্বান জানান।
আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ শক্তিগুলো তেহরানকে একথা জানিয়েছে যে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দীর্ঘকাল ধরে যুদ্ধ করার সামরিক সক্ষমতা তাদের রয়েছে।
অন্যান্য দেশকে গাজা পরিস্থিতির ব্যাপারে নীরব থাকার যে আহ্বান ওয়াশিংটন জানিয়েছে তার তীব্র সমালোচনা করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে আমেরিকা ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা পরিচালনার জন্য তেল আবিবকে সর্বাত্মক পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে তার পক্ষে এ ধরনের আহ্বান জানানোর কোনো অধিকার নেই।
তিনি বলেন, “গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে আমেরিকা। কাজেই অপর পক্ষগুলোকে ধৈর্য ধরতে বলার জায়গায় আমেরিকা নেই।”
সাক্ষাতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল পক্ষকে কাজ করতে হবে। গাজার ওপর হামলা বন্ধ, এই উপত্যকার ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার এবং সেখানে মানবিক ত্রাণ পাঠানোর লক্ষ্যে আঙ্কারা কাজ করছে বলে তিনি দাবি করেন।
সূত্র: প্রেসটিভি
ভয়াবহ যুদ্ধের মধ্যেই ইসরায়েলকে নতুন যে হুমকি দিলেন শীর্ষ হামাস নেতা
ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলার পাশাপাশি সেখানে স্থলঅভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে ইসরায়েলের নৃশংস আগ্রাসনে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আট হাজার ৮০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৩,৬০০ জনের বেশি শিশু।
যুদ্ধের এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে নতুন হুঁশিয়ারি দিল হামাস।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতা গাজি হামাদ বলেছেন, ইসরায়েল ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত হামাসের হামলা চলবে।
লেবাননের এলবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের এই নেতা বলেন, “গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা যে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছেন, এটি ‘সবেমাত্র শুরু’। ইসরায়েল ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত একই ধরনের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ হামলা একের পর আসতেই থাকবে।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের ভূমিতে ইসরায়েলের কোনো স্থান নেই। আমরা এই অবৈধ রাষ্ট্রকে নিশ্চিহ্ন করে দেব কারণ, এটি নিরাপত্তাগত, সামরিক ও রাজনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি করছে।”
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ঢুকে নজিরবিহীন অভিযান চালায় হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের যোদ্ধারা। ওই অভিযানে সাড়ে তিনশ’র বেশি সেনাসহ দেড় হাজারের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা প্রায় আড়াইশ’ ইসরায়েলিকে বন্দি করে নিয়ে গাজায় ফিরে যান।
গাজি হামাদ ওই ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, “আমরা ইসরায়েলকে একটি শিক্ষা দিয়েছি এবং এই শিক্ষার পুনরাবৃত্তি হতে থাকবে।”
অভিযানে ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি করার কোনো ইচ্ছা হামাসের ছিল না বলে তিনি উল্লেখ করেন। গাজি হামাদ বলেন, “হামাস বেসামরিক নাগরিকদের কোনো ক্ষতি করতে চায়নি। কিন্তু বাস্তবে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তবে যা হয়েছে তার পুরোটাই ছিল ন্যায়সঙ্গত।”
এদিকে, হামাসের এই অভিযানের প্রতিশোধ নিতে ৭ অক্টোবর থেকেই ফিলিস্তিনে নির্বিচারে বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আট হাজার ৮০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৩,৬০০ জনের বেশি শিশু।
ইসরায়েলি সেনারা বর্তমানে গাজায় স্থল অভিযান চালাচ্ছে। ওই অভিযানে তারা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের প্রচণ্ড প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে। মঙ্গলবার একদিনেই অন্তত ১৬ ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে তেল আবিব।
ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা বেশ কিছু ইসরায়েলি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান ধ্বংস করার কথা ঘোষণা করেছে। তবে ইসরায়েল এখনও বুধবারের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ প্রকাশ করেনি। ইসরায়েল নিজের নিহত সেনাদের সংখ্যা কমিয়ে প্রচার করছে বলেও ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দাবি করেছেন।
সূত্র: এলবিসি, ডেইলি মেইল, ফক্সনিউজ, নিউ ইয়র্ক পোস্ট
ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে না ফেরার নির্দেশ জর্ডানের
জর্ডানে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত— জর্ডানে না ফেরার নির্দেশনা দিয়েছে দেশটি। একই সঙ্গে ইসরায়েলে নিযুক্ত নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে জর্ডান।
জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরমান সাফাদি বুধবার ইসরায়েলকে নিজেদের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
তিনি ইসরায়েলকে এ ব্যাপারে অবহিত করে বলেছেন, তারা না বলা পর্যন্ত ইসরায়েল যেন তাদের দূতকে আর জর্ডানে না পাঠায়।
আরমান সাফাদি জানিয়েছেন, যতদিন গাজায় যুদ্ধ এবং মানবিক বিপর্যয় শেষ না হবে ততদিন পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধ বাধার পর নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে জর্ডান ছেড়ে চলে যান ইসরায়েলি দূত।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় টানা ২৫ দিন ধরে চলা ইসরায়েলে বিরামহীন হামলায় প্রায় ৯ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
সূত্র: আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরায়েল
নিজ বন্দিদের ছাড়িয়ে নিতে হামাস নেতাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা থাইল্যান্ডের
নিজ বন্দিদের ছাড়িয়ে নিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস নেতাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেছেন থাইল্যান্ডের কর্মকর্তারা।
থাই প্রতিনিধি দলের কর্মকর্তারা, ইরানে হামাস সদস্যদের সাথে দুই ঘণ্টব্যাপী বৈঠক করেছেন।
থাই প্রতিনিধি দলের প্রধান আরেপেন উত্তরাসিন ব্যাংককে সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ২৪ অক্টোবর ইরানের রাজধানী তেহরানে থাই কর্মকর্তারা হামাস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় হামাস নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, থাই বন্দিদের “সঠিক সময়ে” মুক্তি দেওয়া হবে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামাসের হাতে থাইল্যান্ডের ২২ নাগরিক বন্দি আছেন।
জানা গেছে, থাই পার্লামেন্টের স্পিকার কর্তৃক নিযুক্ত তিন সদস্যের দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন আরেপেন।
আরেপেন বলেন, “আমি তাদের ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছি। বলেছি তারা নির্দোষ।”
তিনি আরো বলেন, “তারা (হামাস নেতারা) আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, তারা তাদের ভাল যত্ন নিচ্ছে, কিন্তু তারা আমাকে মুক্তির তারিখ বলতে পারেননি। তারা বলেছেন, তারা সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করছেন।”
আরেপেন বলেন, “তারা (হামাস নেতারা) আমাদের উদ্বেগ স্বীকার করেছে। কারণ তারা জানেন- থাইল্যান্ড মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি মহানুভবতা দেখিয়েছে ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে… তারা থাইল্যান্ডকে সম্মান করে।”
থাই শ্রম মন্ত্রণালয়ের অনুসারে, প্রায় ৩০ হাজার থাই নাগরিক ইসরায়েল কাজ করেন। ৎ তাদের বেশিরভাগই কৃষি খাতে নিয়োজিত।
জানা গেছে, গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ৩২ জন থাই নাগরিক নিহত হয়। আহত হয় আরো ১৯ জন। ওই দিন হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলের অভ্যন্তরে দেড় হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে তিনশ’ সেনা বাহিনীর সদস্য। এছাড়াও প্রায়ে আড়াইশ’ জনকে ইসরায়েল ধরে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা।
সূত্র: ব্যারন, টাইমস অব ইসরায়েল