সিরিয়ায় তিন মার্কিন ঘাঁটিতে একযোগে মিসাইল হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার মার্কিন বাহিনীর এসব সামরিক ঘাঁটিতে এই হামলা চালানো হয়।
জানা গেছে, দেইর ইজ-জোরের আল-ওমর তেলক্ষেত্র এলাকার মার্কিন ঘাঁটিসহ আল-শাদ্দাদি ও আল-হাসাকার ঘাঁটিতে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এক্ষেত্রে ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে এসব তথ্য দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার পিকেকে/ওয়াইপিজি সন্ত্রাসী সংগঠনের দখলে থাকা আল-হাসাকার আল-মালিকিয়া এলাকায় একটি মার্কিন ঘাঁটিতে সশস্ত্র ড্রোন হামলা হয়।
একই দিন সকালে, দক্ষিণ সিরিয়ার আল-তানফ অঞ্চলে একটি ঘাঁটি, যেখানে মার্কিন বাহিনী রয়েছে, তিনটি সশস্ত্র ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিকে, আল মায়াদিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে- তারা সোমবার সকালে দক্ষিণ-পশ্চিম সিরিয়ায় মার্কিন ও কোয়ালিশন বাহিনীর কাছে দুটি একমুখী হামলার ড্রোন ধ্বংস করেছে। ড্রোনগুলো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন বাহিনী।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, আল মায়াদিন
ট্যাংক ফেলে পালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা?
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাহ ও খান ইউনিস শহর অভিমুখে সন্ত্রাসী ইসরাইলি সেনাদের আলাদা দু’টি স্থল অভিযান ব্যর্থ হয়েছে।ইরানের প্রেস টিভি এক প্রতিবেদনে এমনটিই দাবি করেছে।
একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে প্রেস টিভি বলেছে, ইসরায়েলি সেনারা রবিবার বিকালে রাফাহ শহরের কাছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের এক ‘অতর্কিত হামলার’ শিকার হয়ে ১০টি ট্যাংক ফেলে পালিয়ে গেছে। এছাড়া, ওই দিন রাতে খান ইউনিস সীমান্ত দিয়ে অন্তত ২০টি ট্যাংক গাজায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু প্রতিরোধ যোদ্ধারা তাদেরকে পিছু হঁটতে বাধ্য করে।
এর আগে রবিবার রাতে হামাস জানিয়েছিল, গাজা সীমান্তে তাদের হামলায় একটি ইসরায়েলি ট্যাংক ধ্বংস এবং একজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। এ সময় দু’টি ইসরায়েলি বুলডোজার ও একটি ট্যাংক ধ্বংস হয়। ফলে বাকি সেনারা বুলডোজার ও ট্যাংকগুলো গাজার মধ্যে রেখে পালিয়ে যায়। ওই সংঘর্ষে জড়িত হামাস যোদ্ধারা নিরাপদে তাদের ঘাঁটিতে ফিরে এসেছে।
তবে প্রেস টিভি যে ১০টি ট্যাংক ধ্বংস হওয়ার কথা বলেছে সে সম্পর্কে হামাস বা আল-কাসসাম ব্রিগেডস এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
গাজা উপত্যকার সীমান্তে এক লাখেরও বেশি সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে ইসরায়েল। এসব সেনা অচিরেই স্থল অভিযান চালাতে গাজা উপত্যকায় অনুপ্রবেশ করবে বলে তেল আবিব গত কয়েক দিন ধরে বারবার হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।
সূত্র: প্রেসটিভি
ফিলিস্তিন ইস্যু: ইসরায়েল ও আমেরিকাকে যেভাবে সতর্ক করলেন ওবামা
ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরায়েল ও আমেরিকাকে সতর্ক করলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
এক বিবৃতিতে তিনি ইসরায়েলের ‘আত্মরক্ষার অধিকারের’ প্রতি সমর্থন জানানোর পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা উপেক্ষা করার বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেন।
মতামত প্রকাশের উন্মুক্ত মাধ্যম মিডিয়াম-এ ওবামার বিবৃতিটি প্রকাশিত হয়।
বারাক ওবামা বলেন, “এমনকি আমরা যদি ইসরায়েলকে সমর্থনও করি, এরপরও হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েল এই লড়াই কীভাবে সম্পন্ন করবে, সে ব্যাপারে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।”
ওবামা আরো বলেন, “এই সংঘাতকে চলতে দেওয়ার মানে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশাকে উপেক্ষা করা। গাজা হোক বা পশ্চিম তীর, সেটা অন্যায্য।”
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের কিছু মূল কারণও তুলে ধরেন ওবামা। এর মধ্যে রয়েছে ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের গোড়াপত্তনের পর থেকে ফিলিস্তিনিদের অব্যাহতভাবে বাস্তুচ্যুত হওয়া।
বারাক ওবামা বলেছেন, এর মানে স্বীকার করে নেওয়া যে ফিলিস্তিনিরাও প্রজন্মের পর প্রজন্ম বিতর্কিত এলাকায় বসবাস করে আসছে। ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের সময় তাদের অনেকে কেবল বাস্তুচ্যুতই হয়নি, দিনের পর দিন জোরপূর্বক তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। এমন কর্মকাণ্ডেও ইসরায়েল সরকারের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ সমর্থন ছিল।
ইসরায়েল ২০১৪ সালে যখন অবরুদ্ধ গাজায় স্থল অভিযান চালায়, তখন ওবামা নিজেই প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ওই সময় তিনি একইভাবে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডে সমর্থন দিয়েছিলেন। অবশ্য একই সঙ্গে যুদ্ধবিরতিরও আহ্বান জানিয়েছিলেন। ওই সময় ওবামাকে পাশ কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রভাণ্ডার থেকে ইসরায়েল অস্ত্র নিতে গেলে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়।
ওবামা বলেছেন, এই অঞ্চলের ঘটনাপ্রবাহের দিকে বিশ্ব নিবিড়ভাবে নজর রাখছে। মানবিক ক্ষয়ক্ষতি উপেক্ষা করে, এমন যেকোনো ইসরায়েলি সামরিক কৌশল শেষ পর্যন্ত হিতে বিপরীত হতে পারে।
সূত্র: রয়টার্স, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল
ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তি প্রমাণ করে ‘হামাস সমঝোতায় আগ্রহী’ : বিশ্লেষক
আরও দুইজন ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এ নিয়ে মোট চারজন বন্দীকে শর্তহীন মুক্তি দিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।
মধ্যপ্রাচ্যের এক বিশ্লেষক বলেছেন, হামাসের আরও দুই ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ‘ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সমঝোতায় আলোচনার আগ্রহের ইঙ্গিত দেয়’। যদিও আলোচনার জন্য বর্তমান পরিবেশ উপযুক্ত নয়। কারণ, প্রতিনিয়ত ইহুদি বাহিনী গাজা উপত্যকায় বোমা বর্ষণ করছে।
সান ফ্রান্সিসকো বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির অধ্যাপক স্টিফেন জুনেস আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বন্দীদের মুক্তি প্রদানকে ‘ভালো বিষয়’ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা, হামাস ইসরায়েলিদের জানানোর জন্য এটিকে সদিচ্ছা হিসেবে ব্যবহার করছে যে, তারা আলোচনা করতে ইচ্ছুক। ইসরায়েল অবশ্যই হাজার হাজার (ফিলিস্তিনি) রাজনীতিককে বন্দী রেখেছে। তাদের একটি বড় অংশ অহিংস তবুও ইসরায়েল তাদের আটক রেখেছে।
স্টিফেন জুনেস বলেন, এটা সম্ভব যে কিছু বন্দী বিনিময় হতে পারে এবং হামাস স্পষ্টত চেষ্টা করছে এই অঞ্চলে ইসরায়েলি স্থল আক্রমণ এড়াতে। তবে তিনি আরও বলেন, বর্তমান ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের কারণে আলোচনা কঠিন হতে পারে। তার মতে এখন ‘আলোচনার জন্য খুব কমই আদর্শ পরিবেশ।
যে শঙ্কা থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি চায় না আমেরিকা
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিন প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস। এতদিন ইসরায়েলের বিপক্ষে শুধুমাত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েছে ফিলিস্তিন। ওই দিনই প্রথমবারের মতো আগে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের এই প্রতিরোধ গোষ্ঠী। ২০২১ সালের জুন মাসের যুদ্ধবিরতির পর প্রায় ২ বছর ধরে প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা শেষে এই হামলা চালায় হামাস।
অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তিতে সজ্জিত ইসরায়েলের সীমান্ত দেয়াল তথা ‘স্মার্ট ফেন্স’-কে ফাঁকি দিয়ে হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। এই হামলায় হতভম্ব হয়ে পড়ে ইসরায়েল। প্রথমে বুঝেই উঠতে পারেনি কীভাবে হামাস যোদ্ধাদের সামাল দেবে তারা। আর সে কারণেই মূলত তারা হামাসকে আর কোনো সুযোগ দিতে চায় না।
হামাসের অতর্কিত হামলায় তিন শতাধিক ইসরায়েলি সেনাসহ মোট এক হাজার চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়। আহত হয় সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ।
তাই গাজায় এখন ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি কার্যকর করলে হামাস উপকৃত হবে বলে সতর্ক করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ সতর্কতা উচ্চারণ করেন।
ম্যাথিউ মিলার বলেন, যুদ্ধবিরতি হামাসকে বিশ্রামের সুযোগ দেবে, পুনরায় গুছিয়ে ওঠার সুযোগ দেবে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হওয়ার ক্ষমতা দেবে।
তিনি আরো বলেন, আপনি স্পষ্ট বুঝতে পারেন কেন এটি ইসরায়েলের জন্য অসহনীয় পরিস্থিতি। এ ধরনের নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার শিকার যেকোনো দেশের জন্য একটি অসহনীয় পরিস্থিতি তৈরি করবে এবং যে দেশ তার সীমান্তে অব্যাহত সন্ত্রাসী হামলার হুমকির মুখে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র আলাদাভাবে গাজায় মানবিক ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিতে কাজ করছে উল্লেখ করে ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, এ ক্ষেত্রে তাদের প্রতিনিধি ডেভিড স্যাটারফিল্ড ‘নিবিড়ভাবে’ কাজ করছেন।
সূত্র: ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট
ইসরায়েলকে নিঃশর্ত হত্যার ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়া উচিত নয় : কাতারের আমির
গাজা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন কাতারের আমির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। তিনি বলেন, ‘উত্তেজনার এই ভয়াবহ বৃদ্ধি মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল এবং বিশ্বকে হুমকির মধ্যে ফেলছে। ইসরায়েলকে নিঃশর্ত হত্যার ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়া উচিত নয়।
গাজা ইসরায়েল যুদ্ধে মধ্যস্থতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ কাতার। তাদের মধ্যস্থতায় হামাস অন্তত চারজন ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় খাদ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছে কাতার।
ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৪০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। অন্যদিকে গত ১৭ দিন ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় গাজায় নিহত হয়েছেন ৫ হাজার ৮৭ জন। নিহতদের মধ্যে শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা ২ হাজার ৫৫ জন এবং নারী রয়েছেন ১ হাজার ১১৯ জন
সব দেশের আত্মরক্ষার অধিকার আছে, মানতে হবে আইন: চীন
সব দেশের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছেন এবং এক্ষেত্রে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন মানতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। গাজায় বেসামরিক লোকদের রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। এদিকে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন চীনের এই শীর্ষ কূটনীতিক। খবর বিবিসি ও দ্য টাইম অব ইসরাইল।
ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন ও ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকির সঙ্গে গতকাল সোমবার (২৩ অক্টোবর) গভীর রাতে ফোন আলাপে এ আহ্বান জানান চীনের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটাই তাদের মধ্যে প্রথম আলাপ।
বেইজিংয়ের বরাত দিয়ে দ্য টাইম অব ইসরাইল জানায়, কোহেনের সঙ্গে আলাপচারিতায় ওয়াং বলেন, ‘চলমান সংঘাত বেড়ে’ যাওয়ায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন চীন।
ওয়াং ই বলেন, ‘সব দেশেরই আত্মরক্ষার অধিকার আছে, কিন্তু তাদের উচিত আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলা এবং বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষা করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো পরিস্থিতিকে আরও বৃদ্ধি পাওয়া থেকে এবং আরও গুরুতর মানবিক বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাওয়া থেকে প্রতিরোধ করা।’
এছাড়া ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকির সঙ্গে আলাপকালে গাজায় হতাহতের ঘটনায় ‘গভীরভাবে সহানুভূতি প্রকাশ করেন’ ওয়াং ই। তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধ, অস্ত্র ও গোলাবারুদ নয় গাজার জনগণের বর্তমানে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হলো নিরাপত্তা, খাদ্য ও ওষুধ।’
এদিকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) থেকে রোববার (২৯ অক্টোবর) পর্যন্ত ওয়াশিংটন সফরে যাবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
এই সফরের সময় ইসরাইল এবং ইউক্রেনের ‘পরিস্থিতি’ নিয়ে বেইজিংকে ‘আরও গঠনমূলক অবস্থান নিতে’ চাপ দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের সঙ্গে ওয়াং বসবেন কি না তা স্পষ্ট নয় বলে বিবিসি’র প্রবিবেদনে বলা হয়।
হামাস ও ইসরাইলের চলমান সংঘাতের সময় চীনা কর্মকর্তাদের কূটনীতির দৌড়ঝাপের মধ্যে এই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হলো। এই সপ্তাহের শুরুতে বেইজিং তার মধ্যপ্রাচ্য দূত ঝাই জুন’কে এই অঞ্চলে পাঠিয়েছে আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য।