প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গণতান্ত্রিক যে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রয়েছে এটাকে যেকোনো মূল্যে অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি নির্বাচন কমিশনের ওপর সাংবিধানিকভাবে যে দায়িত্ব আরোপিত হয়েছে এবং সেখানে যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে আমরা সে অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে বদ্ধপরিকর।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীনের সঙ্গে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বঙ্গভবনের গেইটে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় নির্বাচন কমিশান মো. আলমগীর, আহসান হাবিব খান, মো. আনিছুর রহমান ও রাশেদা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, ‘আমরা উনাকে (রাষ্ট্রপতি) জানিয়েছি নির্বাচন কমিশনের উপর সাংবিধানিকভাবে যে দায়িত্ব আরোপিত হয়েছে এবং সেখানে যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, আমরা সে অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নির্ধারিত পদ্ধদিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে বদ্ধপরিকর। পাশাপাশি আমরা সকল রাজনৈতিক দল সরকার এবং জনগণের সহযোগীতা নিরবচ্ছিন্নভাবে কামনা করে যাচ্ছি বলেও উনাকে জানিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদরে আসার মূল উদ্দেশ্য ছিল আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতি গৃহিত হয়েছে সেটা অবহিত করা। আমরা মহামান্যকে আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেছি। উনি সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি আশা ব্যক্ত করেছেন যে, আসন্ন সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে, সুশৃঙ্খলভাবে হবে। এ ব্যাপারে কোনো সহযোগীতার প্রয়োজন হলে উনি তা করার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরাও বলেছি প্রয়োজনে আপনার সহযোগীতা কামনা করব। তিনিও আমাদেরকে আশ্বস্থ করেছেন অবাধ নির্বাচনে সব রকমের সাহাযো সহযোগীতা দিতে উনি প্রস্তুত থাকবেন। আমরাও রাষ্ট্রপতি আশ্বস্থ করেছি আমরা আশাবাদী সকলের সহযোগীতায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবিধানিক যে বাধ্যবাধকতা আছে তার আলোকে যথা সময়ে নিস্পৃন্ন করতে সমর্থ হবো।
নির্বাচনের সম্ভাব সময়সূচী সস্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমরা সম্ভাব্য সময়সূচি বিষয়ে উনাকে জানিয়েছি। নির্বাচনের শেষ সময়টার বিষয়ে উনি জানেন যে আগামী ২৯ জানুয়ারির আগেই নির্বাচন করতে হবে। আজকে উনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গেলাম। মত বিনিময় করে গেলাম। আমরা নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি ঘোষণা করব।’
তফসিল কি ১৫ নভেম্বরের আগে, না পরে হচ্ছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করব। কারণ নির্বাচনের সময় হয়ে গেছে। আর নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা আগে বলেছি, প্রথম সপ্তাহে বা দ্বিতীয় সপ্তাহের কথা, আমরা এখনো ওই অবস্থানে আছি। এটা যখন বসে চুড়ান্ত করব, তখন আপনাদের অবহিত করব।’
ভোটের মাঠে রাজনৈতিক বাস্তবতা নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এটা নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা হয়নি। আমরা আমাদের কথা বলেছি এবং প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছি যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হয়। সে বিষয়ে যেন সবাই সহযোগীতা করে।’
রাজনৈতিক বিরোধীতা এখনো রয়েছে, যারা ভোট দিবেন তাদের উদ্দেশ্যে কি কিছু বলবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এই মুর্হুতে আমি কিছু বলব না।’