চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের জন্য একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে অঞ্চলটির দুই রাজনৈতিক পক্ষ হামাস ও ফাতাহ। যুদ্ধ-পরবর্তী জোট সরকার গঠনেও একমত হয়েছে তারা। চীনের মধ্যস্থতায় তারা এ ঘোষণা দিয়েছে।
এমন এক সময় বিষয়টি সামনে এল যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বৈঠকের খবর শোনা যাচ্ছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে বেইজিংয়ে এ বৈঠকে বসে হামাস ও ফাতাহ। সব মিলিয়ে ১৪টি ফিলিস্তিনি পক্ষ বৈঠক শেষে ‘বেইজিং ঘোষণা’য় স্বাক্ষর করে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রুদ্ধদ্বার এ বৈঠকে ফাতাহ, হামাসসহ অন্য দলগুলোর বিদ্যমান বিভক্তি ও বর্তমান ফিলিস্তিন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে আলোচনার বিস্তারিত প্রকাশ করা না হলেও বলা হচ্ছে, নিজেদের সম্পর্কোন্নয়নে একমত পোষণ করেছে তারা। একই সঙ্গে স্বাধীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন উভয় সংগঠনের নেতারা।
ফিলিস্তিন প্রশ্ন ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দিক থেকে ফাতাহ ও হামাসের অবস্থান আলাদা। দেড় দশক আগে নির্বাচনে জেতার পর থেকে পশ্চিম তীর নিয়ন্ত্রণ করছে ফাতাহ। অন্যদিকে গাজা রয়েছে হামাসের নিয়ন্ত্রণে। ভিন্ন দুটি অঞ্চলে নির্বাচনে আলাদা ফলের পর বিভিন্ন দাবি নিয়ে পক্ষ দুটির মধ্যে বিভক্তি বড় আকার ধারণ করে। বিষয়টি সমাধানে একাধিকবার আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরে তা ভেস্তে যায়। তবে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলায় হামাসের সঙ্গে বৈরিতাকে সামনে না এনেই আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিবাদ জানিয়েছে ফাতাহ।
বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তিনি জানান, উভয়পক্ষ সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে এগিয়ে নিতে চায়। ‘বেইজিং ঘোষণা’ অনুসারে স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবি আদায় ও শান্তি প্রক্রিয়ায় একসঙ্গে কাজ করবে হামাস ও ফাতাহ।
সূত্র: আল-জাজিরা, সিএনএন, সিজিটিএন
সেভ প্যালেস্টাইন, টেরোরিস্ট ইসরায়েল উদযাপনে বাংলাদেশ
শেষের বাঁশি বাজতেই বাঁধনহারা উদযাপনের শুরু রাকিব-ফাহিমদের। উদযাপন অবশ্য বাড়তি মাত্রা পেল খেলোয়াড়দের হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা থাকায়। পরে ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় গোলদাতা রাকিব হোসেন জানালেন, ফিলিস্তিনের পতাকা উঁচিয়ে উৎসবের কারণ।
হামাসের হামলার পাল্টা জবাব দিতে ইসরায়েলের আগ্রাসনে গাজার ফিলিস্তিনিদের এখন জেরবার অবস্থা। প্রতি মুহূর্তেই আসছে প্রাণহানির খবর।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় মঙ্গলবার মালদ্বীপের বিপক্ষে রাকিব-বিশ্বনাথরা ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি খেলতে নেমেছিলেন অনেক চাওয়া নিয়ে। প্রিলিমিনারি রাউন্ডে পেরিয়ে বাছাইয়ে গ্রুপ পর্বে খেলার লক্ষ্য পূরণের পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানানোর উদ্দেশ্যও ছিল বলে জানালেন রাকিব।
“অস্ট্রেলিয়ার মতো বিশ্বকাপে খেলা দলের সঙ্গে খেলাটা আমাদের জন্য বড় সুযোগ। ওরা বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলেছে; চেষ্টা করবো ওদের বিপক্ষে ভালো ফুটবল খেলতে। আর ফিলিস্তিন একটা মুসলিম দেশ। আমাদের বিশ্বনাথ (ঘোষ) আছে, বিশ্বনাথও বলেছে, আমরা সবাই মিলে আলোচনা করেছি, গোল করতে পারলে, জিততে পারলে ওদের আমরা সমর্থন দেব। আমরা দেখেছি, আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে সবাই ওদেরকে সমর্থন দিচ্ছে, তাই আমরাও ওদেরকে সমর্থন করেছি।”
রাকিব ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের গোলে মালদ্বীপকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে বাছাইয়ের দ্বিতীয় ধাপে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। দুই লেগেই সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন রাকিব। তবে সুযোগগুলো নষ্ট না হলে দ্বিতীয় লেগের ফল আরও ভালো হত বলে মনে করেন তিনি।
“আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর ওপর ভরসা ছিল। পরিশ্রম করলে মানুষ তার ফল পাবেই। আমরা দীর্ঘদিন এক সঙ্গে পরিশ্রম করেছি। আমাদের দলে কিন্তু বড় কোন তারকা নেই। আমরা একটা দল হয়ে খেলেছি। মাঠে ১১জন যুদ্ধ করেছি। বাইরে যারা ছিলো, তারাও সমর্থন দিয়েছে। বিশ্বাস ছিল এক সঙ্গে ভালো কিছু করব। মালেতে ড্র করে আসার পর আত্মবিশ্বাস ছিল। মালেতেও আমরা ভালো ফুটবল খেলেছি। দু-একটা ভুল না হলে হয়তো আরও ভালো হতো।”
“এটা ছিল একটা ট্যাকটিক্যাল গেম। ওরা যেভাবে খেলেছে। আমরাও সেভাবেই পরিকল্পনা করে খেলেছি। আসলে প্রথম গোল করার পর আমরা আরও কিছু চান্স পেয়েছিলাম। যেগুলো আমি মিস করেছিলাম। এটা ছিল আমাদের ঘরের মাঠে খেলা। আমরা চেষ্টা করেছি ঘরের মাঠে ৯০ মিনিট এমন ফুটবল খেলতে যাতে দর্শকরা নিরাশ না হয়। প্রতিটি পজিশনেই আমরা সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছি।”