বাংলাদেশ থেকে ইসলামকে পর্যায়ক্রমে ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন করার কাজে লিপ্ত হয়েছিল শেখ হাসিনা। খুনি হাসিনার হাত বাংলাদেশের হাজার হাজার আলেমের রক্তে রঞ্জিত। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনা হাজারো মানুষকে হত্যা করে। মানুষকে হত্যার মাধ্যমে তার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চেয়েছিল।
শেখ হাসিনার গডফাদার ভারতের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ থেকে তারা ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। সে কারণে বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় সব দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে কারাবন্দি করেছিল। কারাগার থেকে সুস্থ আল্লামা সাঈদীকে এনে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী।
গতকাল রাত ৯টায় পিরোজপুর পৌরসভার পশ্চিম শিকারপুর সাঈদী জামে মসজিদে ৪ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মাসুদ সাঈদী আরও বলেন, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার চার দিনের মাথায় আল্লাহ খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশ থেকে বিদায় করেছে।
তিনি বলেন, হাসিনা দেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে তিনি ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন । দেশের ব্যাংকগুলোকে লুটপাট করে তার দল ও আত্মীয়-স্বজন চেটেপুটে খেয়ে গিয়েছেন। দেশের মানুষকে তিনি আজকে বিপদে ফেলে গিয়েছেন।
শুধু তাই নয় তিনি তার দল আওয়ামী লীগকেও বিপদে ফেলে গেছেন। আমরা অন্যায় ভাবে কারো প্রতি জুলুম করতে বিশ্বাসী নই । তবে যারা হামলা-মামলা করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের জেল খাটিয়েছে- আল্লামা সাঈদীসহ সকল আলেমদের যারা বিনা কারণে অত্যাচার করেছে, জুলুম করেছে, নির্যাতন করেছে ইনশাআল্লাহ বাংলার মাটিতে তাদের বিচার হবেই।
মাওলানা সাঈদীর ইন্তেকাল
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ রাত ৮টা ৪০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান। আল্লামা সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদীও এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত রোববার গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আল্লামা সাঈদী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। শারীরিক জটিলতা বিবেচনা করে সাঈদীকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। পরে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করে।