মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ছাত্রলীগের এক নেতার দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৬০ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২০ নভেম্বর) গাজীপুরের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক পাভেল সুইট দীর্ঘদিন শুনানি শেষে ২৪৭ ধারার বিধান মতে এ রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম দ্বীপ বাদী হয়ে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে মন্তব্য করায় গাজীপুরের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।
শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি মো. মাহবুবুর রহমান এবং বিবাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ড. সহিদুজ্জামান, অ্যাডভোকেট জাকিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আরমানসহ বিপুলসংখ্যক আইনজীবী।
আরো একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
নোয়াখালীতে ২০১৪ সালের রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রায়ে তারেক রহমানকে নির্দোষ প্রমাণ করে খালাস দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার বিশেষ জজ আহসান তারেক এ রায় দেন।
নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে নোয়াখালী জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক একরামুল হক বিপ্লব এ মামলা দায়ের করেছিলেন।
বিস্তারিত আসছে…
দীর্ঘ ৯ বছর পর মানহানি মামলা থেকে খালাস তারেক রহমান
দীর্ঘ ৯ বছর পর ২০ কোটি টাকার মানহানি মামলা থেকে খালাস পেলেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সোমবার (১২ আগষ্ট) পটুয়াখালীর কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ রায়ের আদালত ফৌজদারী কার্যবিধির ২৪৭ ধারায় তাকে খালাসের আদেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কাইউম এ আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১৫ জানুয়ারি ২০১৫ কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. হাবিবুল্লাহ রানা বাদী হয়ে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০ কোটি টাকার এই মানহানি মামলাটি (সিআর-২/২০১৫) দায়ের করেন। তখন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বপন রায় এর আদালত মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের আদেশ না দিয়ে সরাসরি মামলাটি আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। বাদী পক্ষে মামলার কৌসুলি ছিলেন প্রয়াত অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন তালুকদার।
মামলায় বলা হয়, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ইস্ট লন্ডনের অস্ট্রিয়ামে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শেখ মজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও তার পরিবারবর্গকে নিয়ে তারেক রহমানের ওই বক্তব্যে দেশ, জাতি তথা বাংলাদেশের সুনাম, সুখ্যাতিসহ বর্হিবিশ্বে সাবেক রাষ্ট্রপতি সহ বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সকলের মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে, এতে ২০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে বাদী তার মামলায় উল্লেখ করেন।
এদিকে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দেওয়ার পর উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, এ মামলাটি ছিল উদ্দেশ্য প্রনোদিত একটি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা। মামলার বাদী দীর্ঘ ৯ বছরে আদালতে অনুপস্থিত ও নিযুক্ত থাকা কৌসুলির কোনো ধরনের তদ্বির ছাড়াই মামলাটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আদালতকে ব্যবহার করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল রেখেছিল।
তারেক জিয়া ও জোবাইদার ১২ বছরের কারাদণ্ড
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় রায় দিয়েছেন আদালত। পৃথক ধারায় তারেক রহমানের ৯ বছর ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২ আগস্ট) বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে তাদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য বিচারক এজলাসে ওঠেন। এরপর ৩টা ২২ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেছেন। ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এই রায় ঘোষণা করবেন।
এর আগে, ২৭ জুলাই সন্ধ্যায় দুদকের পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ রায় ঘোষণার জন্য এই তারিখ ধার্য করেন।
গত ২৪ জুলাই মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করেছেন আদালত। মামলায় এখন পর্যন্ত ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। শুরু থেকে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এই মামলায় পলাতক রয়েছেন।
গত বছর ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর গত ১৯ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবাইদা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। পরবর্তীতে আবারও মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।