ভারত সফরে এসেছেন তালেবানের মন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। তাকে সাদর অভ্যর্থনা জানিয়েছে কেন্দ্র । এবার সেই ইস্যুতেই মোদি সরকারকে একহাত নিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। নেত্রী বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে লক্ষ্য করে বলেছেন, ‘ভারতের মুসলমানদের ‘লক্ষ্যবস্তু’ করে তালেবান-শাসিত আফগানিস্তানকে আলিঙ্গন করা দলের অভ্যন্তরীণ ভণ্ডামির স্পষ্ট উদাহরণ।’ তার এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন ভারত আফগানিস্তানের সাথে তার সম্পর্ক উন্নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ভারত সফর করছেন
মুফতি এক্সে একটি পোস্টে অভিযোগ করেছেন, ‘লাভ জেহাদ’, ‘ভূমি জেহাদ’, ‘ভোট জেহাদ’ এবং ‘গরু জেহাদের’ নামে, বিজেপি বারবার মুসলিম জনগোষ্ঠীকে নিশানা করে, অপমানজনক মন্তব্য করে। আর আজ সেই বিজেপির নেতৃত্বে গণতন্ত্রের পীঠস্থান ভারত, জিহাদের আশ্রয়দাতা তালেবানকে আলিঙ্গন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ভারত আফগানিস্তান পুনর্গঠনে সকল ধরনের সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মধ্যে আফগান শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদানও অন্তর্ভুক্ত। পিডিপি সভাপতির অভিযোগ, ‘যদিও আফগানিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, তবে একইসঙ্গে এটি একটি স্পষ্ট দ্বন্দ্বের উদ্রেক করে-ভারতের নিজস্ব মুসলিম জনগোষ্ঠী যারা জাতির স্বাধীনতা, পরিচয় এবং অগ্রগতিতে অবদান রেখেছেন, তাদের পদ্ধতিগতভাবে কেন প্রান্তিক করা হচ্ছে?’ তিনি বলেন, ‘বিজেপির মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রত্যাহার এবং মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া বিজেপির অভ্যন্তরীণ ভণ্ডামির স্পষ্ট স্মারক।’
জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা বলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু একটি স্থিতিশীল ও সম্প্রীতিপূর্ণ জাতির ভিত্তি তার নিজস্ব সীমান্তের মধ্যে, বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাথে আস্থা, শ্রদ্ধা এবং সমতা বৃদ্ধির উপর নিহিত।
উল্লেখ্য, ৬ দিনের সফরে ভারতে এসেছেন আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। গতকাল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকের পরে সংবাদ সম্মেলন করে আমির বলেন, তার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।
তার কথায়, উন্নয়নমূলক প্রকল্প ও আফগানিস্তানে নিজেদের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করার ভারতের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই।