সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ দাবিতে উপাচার্য ও সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
সেখানে বলা হয়েছে, “বিগত সরকার আমলের ফ্যাসিস্ট নীতি ছিল গণবিরোধী ও জনতার মনোবাঞ্ছাকে উপেক্ষা করার নীতি। সে নীতির একটুও এদিক-সেদিক হয়নি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের সময়। রংপুরের মানুষের দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল ছিল ‘রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়’। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নিজের নামফলক ও নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা দাবি করতে সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে বিশ্ববিদ্যালের নাম পরিবর্তন করে মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়ার নামে নামকরণ করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চরম অস্বস্তিতে পড়ে।”
আরও বলা হয়েছে, “একই শহরে ১৯৬৩ সালে বেগম রোকেয়ার নামে প্রতিষ্ঠিত আরেকটি প্রতিষ্ঠান (বেগম রোকেয়া সরকারি মহিলা কলেজ) রয়েছে, যেখানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়া হয়। এরপরও বিশ্ববিদ্যালয়টি ফ্যাসিজমের দূরদর্শিতায় পরিবর্তিত নাম মহীয়সী রোকেয়ার নামে করা হয়, যাতে এ নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে নারী বিদ্বেষীসহ নানা ট্যাগ লাগিয়ে সহজে কন্ঠরোধ করা যায়।”
পরিকল্পিতভাবে বদলে ফেলা প্রতিষ্ঠাকালীন নাম পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, “রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে আমরা শ্রদ্ধা করি। তিনি সর্বজন স্বীকৃত জাতীয় ও বৈশ্বিক ব্যাক্তিত্ব। যার নির্দেশে পুলিশ আমাদের ভাই আবু সাঈদের বুকের তাজাপ্রাণ কেড়ে নিয়েছে, তার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল হতে পারে না। তাই নির্মাণাধীন হলের নাম পরিবর্তন করে ‘বেগম রোকেয়া হল’ করার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী রহমত আলী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই ‘রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়’ নাম পুর্নবহাল চান, আর সেটা তারা গণসাক্ষরের মাধ্যেমে প্রমাণ করেছেন। আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শিক্ষাথীদের চাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’
আপনার মন্তব্য লিখুন