আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিট খারিজ করেছে হাইকোর্ট।
আজ রবিবার হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির সময় রিটটি সরাসরি হাইকোর্ট বেঞ্চে করে দেওয়া হয়।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে করা রিটটি গত ২৭ আগস্ট খারিজ চান অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
ওইদিন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানিতে এমন আর্জি জানান অ্যাটর্নি জেনারেল। এরপর আদালত ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছিল।
মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া ১৯ আগস্ট এ রিট করেছিলেন।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের রিট খারিজ চাইলেন অ্যাটর্নি জেনারেল
ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলের নিবন্ধন বাতিল চাওয়া রিট শুনানি আগামী রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পরে সাংবাদিকদের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আওয়ামী লীগের গুটি কয়েক নেতার অপরাধের বিচার হবে। তবে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করা যাবে না।
এর আগে গত রবিবার (২৫ আগস্ট) শুনানির দিন পিছিয়ে আজকের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
এর আগে গত সোমবার (১৯ আগস্ট) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া।
রিটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল এবং বিদেশে পাচারকৃত ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জন বিভাগের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, আইনসচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিএফআইইউ প্রধান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কদের বিবাদী করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের রিট খারিজ চাইলেন অ্যাটর্নি জেনারেল
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান।
মঙ্গলবার বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের শুনানিতে অংশ নিয়ে রিট খারিজ চেয়েছেন তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নেই রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের। সংবিধানে রাজনৈতিক দল পরিচালনার যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তা খর্ব করবে না সরকার। বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের অনেক অন্যায়-অবিচারের শিকার হয়েছে মানুষ। সেগুলোর বিচারের জন্য আইন ও আদালত রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের যারা নেতাকর্মী রয়েছেন তারা দলের মতাদর্শ ধারণ করেন। এজন্য দল নিষিদ্ধ করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, যিনি রিট করেছেন তার কোনো এখতিয়ার নেই এটা করার। রিটে আওয়ামী লীগকে বিবাদী করা হয়নি। সারডা নামের সংগঠন যে রিট করেছে, তার গঠনতন্ত্রও এ ধরনের রিট করার অনুমোদন দেয় না।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, অতীতে অনেক রাজনৈতিক বিষয়কে কোর্টে টেনে আনা হয়েছে। যার মূল্য আমাদের দিতে হয়েছে। যে গণঅভ্যুত্থানটি হয়েছে, তা বিচার বিভাগের ওপরেও এসেছে। কোর্টে কোনো ঘটনা হলে আইনজীবী হিসাবে আমার ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়। এজন্য মাঠের রাজনীতি মাঠেই থাকুক।
পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলের নিবন্ধন বাতিল চাওয়া রিট শুনানি আগামী রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।
এর আগে, গত রবিবার (২৫ আগস্ট) শুনানির দিন পিছিয়ে আজকের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৯ আগস্ট) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া।