বৈবাহিক সূত্রে ভারতীয় নাগরিক ইস্তাফন খাতুন (৬৪) বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, রাতের আঁধারে সীমান্তের কাঁটাতার পার হয়ে বাংলাদেশে ভাইয়ের কাছে আসার সময় তাকে গুলি করা হয়। নদীয়া জেলার তেহট্ট থানার ৮নং বিএসএফ ব্যাটালিয়ান নাটনা ক্যাম্পের সদস্যরা গুলি চালায়।
ইস্তাফন খাতুন মেহেরপুর সদর উপজেলার শালিকা গ্রামের মৃত কোমর আলীর মেয়ে।
রবিবার (৩০ জুন) মধ্যরাতে মেহেরপুরের নবীনগর খালপাড়া সীমান্তের ১১৬ নাম্বার মেইন পিলারের কাছে কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টাকালে ভারতের নাটনা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা গুলি করে হত্যা করে ইস্তাফনকে। পরে তার মরদেহ নিয়ে যায় তারা।
বুড়িপোতা বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার মন মোহন বলেন, ঘটনাটি ভারতের অভ্যন্তরে ঘটেছে। তাই এ বিষয়ে বিএসএফ আমাদের কিছুই জানায়নি।
ইস্তাফন খাতুনের বড় ভাই হাসেম আলী এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ৩০ বছর আগে আমার বোন ভারতে পাড়ি জমায়। দেশটির বিহারের বাসিন্দা রহমত আলীর সঙ্গে বিয়ে করে সেখানে বসবাস করে আসছিল। সে ওই দেশের নাগরিক হয়েছে। কিছু দিন আগে তার স্বামী রহমত আলী মারা গেছে। স্বামী মারা যাওয়ার পর ইস্তাফন খাতুন একাকি জীবন কাটাচ্ছিল। কয়েক সপ্তাহ আগে সীমান্তের কাঁটাতার পার হয়ে আমাদের বাড়িতে কয়েক সপ্তাহ থেকে আবারও ফিরে গেছে সেখানে। ওখানে তার দেখাশোনার কেউ নেই। সেজন্য বাকি জীবনটা আমাদের পরিবারে সঙ্গে কাটানোর কথা ছিল তার।
হাসেম আলী জানান, স্বজনদের কাছে স্থায়ীভাবে ফিরতে তিন দিন ধরে সীমান্তের ওপারে ভারতের নদীয়া জেলার তেহট্র থানার নবীনগরে অবস্থান করছিলেন ইস্তাফন। রবিবার দিবাগত রাতে এ দেশে থাকা স্বজনদের সঙ্গে তার শেষ কথা হয় মোবাইল ফোনে। বলেছিলেন, সুযোগ পেলেই কাঁটাতার পেরিয়ে চলে আসবেন।
হাসেম আলী বলেন, মধ্যরাতে খবর পাই কাঁটাতার পেরিয়ে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি ভেবে তাকে নাটনা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা ভারতের অভ্যন্তরে গুলি করে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ নদীয়া জেলার তেহট্র থানার ৮৪ নং বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নাটনা ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
বুড়িপোতা বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার মন মোহন বলেন, খালপাড়া সীমান্তে নারীর নিহত হওয়ার ঘটনা ভারতের অভ্যন্তরে ঘটেছে। এ বিষয়ে বিএসএফ আমাদের কিছু জানায়নি। নিহত নারীর জন্ম বাংলাদেশে, তার ভাইসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা সীমান্তবর্তী গ্রাম শালিকাতে বসবাস করেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের কাছে অবৈধভাবে আসতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটেছে।
03/04/2024
চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোকনপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে সাইফুল ইসলাম (৩০) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে বিজিবি কথা না বললেও রাধানগর ইউনিয়নের পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত ব্যক্তি হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের নগোরপাড়া গ্রামের মৃত হাসান আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম। নিহতের লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ।
আহত ব্যক্তি হলেন, একই ইউনিয়নের মো. ভোলার ছেলে রাজু। আহত ব্যক্তিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাধানগর ইউনিয়নের পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কয়েকজন গরু চোরাচালানী গরু আনার জন্য মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে রোকনপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে যায়। এসময় বিএসএফ সদস্যরা গুলি ছুড়লে সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং অন্য একজন আহত হন। এঘটনার পর সাইফুলের লাশ বিএসএফ নিয়ে যায়। তবে বিজিবি বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
23/10/2023
জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রত্নাই সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকালে আমজাখোর ইউপি চেয়ারম্যান আকালু মোহাম্মদ ডোঙ্গা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত নুরুজ্জামান (৩৮) বালিয়াডাংগী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের রত্নাই মৃর্দাবস্তি গ্রামের মৃত তসলিম উদ্দীনের ছেলে। তিনি চোরাকারবারীর সঙ্গে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানায়, গতকাল রোববার (২২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে রত্নাই সীমান্তে একটি চোরাকারবারী গ্রুপ কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে গরু আনতে গেলে বিএসএফ’র গুলিতে নুরুজ্জামান নিহত হন। এ সময় চোরাকারবারি দলের নেতা আব্দুল মান্নানসহ বাংলাদেশের প্রায় ৮-১০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে ভারতের প্রায় পাঁচজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়রা আরও জানায়, ওই চোরাকারবারীর সদস্যরা গরু, মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও-৫০ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল তানজির আহম্মদ বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার পর আমরা তদন্ত করছি।’
11/06/2023
রাণীশংকৈল উপজেলার ভারতীয় সীমান্তে বিএসএফে’র গুলিতে এক বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১০ জুন) দুপুরে উপজেলার জগদল সীমান্তে বিজিবি ক্যাম্পের ৩৭৩/৭৪ পিলারের মাঝামাঝি বাংলাদেশ ভূখণ্ডের নাগর নদীর পূর্ব পাশে এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সীমান্তবর্তী ধর্মগড় কলোনি এলাকার মফিজ উদ্দীনের ছেলে জিন্নাত (৬০) নাগর নদীতে গোসল করছিলেন। এসময় ভারতীয় গোয়ালপুর থানার কুকরাদহ ক্যাম্পের বিএসএফে’র সদস্যরা তাকে গুলি করে। স্থানীয়রা আহত জিন্নাতকে দিনাজপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
স্বজনরা জানান, জিন্নাত ঢাকায় নিরাপত্তা প্রহরি পদে চাকরি করতেন। তিনি ছুটিতে গ্রামের বাড়ি এসেছিলেন। শনিবার দুপুরে নাগর নদীতে গোসল করতে যান। এসময় তাকে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা গুলি করে।
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভির আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুপুরে বাংলাদেশি নাগরিক জিন্নাত বাংলাদেশের সীমান্ত পার হয়ে যাওয়ার সময় ভারতীয় বিএসএফ তাকে গুলি করে। পরে লোকজন চিকিৎসার উদ্দেশে তাবে ঠাকুরগাঁও নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে তিনি মারা যান।
05/06/23
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ (৬১ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ইউসুফ আলী পাটগ্রাম উপজেলার জগৎবেড় ইউনিয়নের মেসেরডাঙ্গা গ্রামের শাহ জামালের ছেলে।
সীমান্ত সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার গভীর রাতে ইউসুফ আলীসহ আরও কয়েকজন গরু পারাপারের জন্য সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে পাটগ্রাম উপজেলার ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন আওতাধীন কালীরহাট বিওপি সীমান্তের মেইন পিলার নাম্বার ৮৫৭ সাব-পিলার ১৩ পেরিয়ে ভারতের ২০০ গজ অভ্যন্তরে সরকারপাড়ায় প্রবেশ করে।
পরে ভারতীয় অংশের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার ১৬৯ রানীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়ন মীররাপা ক্যাম্পের টহল দল তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে সেখানেই ইউসুফের মৃত্যু হয়। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে বিএসএফের সহযোগিতায় মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে বিজিবি-বিএসএফ পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করে মরদেহ নিয়ে আসা হবে।
22/05/23
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ভজনপুর বগুলা হাগি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত পাথর শ্রমিক পলাশ হোসেনের মৃত্যু হয়েছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তেঁতুলিয়ার ভজনপুর ইউনিয়নে নদীতে নুড়ি পাথর সংগ্রহ করতে
17 /05/ 2023
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মো. মঞ্জুরুল ইসলাম (২২) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত আনুমানিক ১২টার দিকে উপজেলার শাহাপুর কামারপাড়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মঞ্জুরুল উপজেলার পূনট্রি ইউনিয়ের কামারপাড়া গামের মজিবর রহমানের ছেলে।
চিরিরবন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাজেদুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে কামারপাড়া শাহপুর সীমান্তের আনুমানিক ৫০ মিটার দূরে বিএসএফের গুলিতে নিহত মন্জুরুলের মরদেহ পড়ে ছিল। পরে পরিবারের লোকজন মরদেহটি বাসায় নিয়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, নিহত মঞ্জুরুল পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। এলাকার মানুষ ভালো ছেলে হিসেবে চিনতো তাকে। কিন্তু কী কারণে রাতে সীমান্তে তারকাঁটার কাছে গিয়েছিল এ বিষয়ে পরিবারসহ স্থানীয়রা কিছু বলতে পারছে না।