গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ নামে আগ্রাসন শুরু করে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া।
এরপর সরাসরি ইউক্রেনের পক্ষ নেয় বিশ্বের প্রধান পরাশক্তি আমেরিকা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় মিত্র দেশগুলোও।
কিন্তু সম্প্রতি ফাঁস হওয়া গোপন নথি থেকে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গোপন নথি থেকে জানা যায়, ইউক্রেনের অভ্যন্তরে কয়েকটি দেশের সামরিক বিশেষ বাহিনী কাজ করছে, যার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স। অনলাইনে ফাঁস হওয়া নথি অনুসারে এই তথ্য জানা গেছে।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিষয়টি নিয়ে জল্পনা ছিল। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া কয়েক ডজন নথির মধ্যে একটিতে বিশেষ বাহিনীর তথ্যটি পাওয়া যায়। সন্দেহ নেই, এই ঘটনায় ন্যাটোর সঙ্গে মস্কোর নতুন উত্তেজনা তৈরি হতে যাচ্ছে।
‘টপ সিক্রেট’ হিসেবে চিহ্নিত নথিতে ইউক্রেনের যুদ্ধের বিশদ বর্ণনা রয়েছে। সংবেদনশীল তথ্যের আরেকটি হল, বসন্ত পাল্টা আক্রমণের জন্য ইউক্রেনের প্রস্তুতির খবর।
গত ২৩ মার্চের নথি অনুসারে, ইউক্রেনে বিশেষ বাহিনীর সবচেয়ে বড় দলটি যুক্তরাজ্যের (৫০)। তারপরই রয়েছে ন্যাটোর অন্য সহযোগীরা- লাটভিয়া (১৭), ফ্রান্স (১৫), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (১৪) ও নেদারল্যান্ডস (১)। তবে নথিতে বাহিনীগুলোর অবস্থান বা কাজ সম্পর্কে বলা নেই।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও এক টুইটে পাঠকদের সতর্ক করে বলেছে, ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অভিযোগের বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত।
যুক্তরাজ্যের বিশেষ বাহিনী কয়েকটি অভিজাত সামরিক ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত। বিশেষ বিশেষ দক্ষতার অধিকারী এই সেনা দল বিশ্বের সবচেয়ে সক্ষম বাহিনী বলে বিবেচিত।
ইউক্রেনের সমর্থনে শুরু থেকেই সোচ্চার যুক্তরাজ্য। কিয়েভকে সামরিক সাহায্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই দেশটি দ্বিতীয় বৃহত্তম দাতা।
কোনও নির্দিষ্ট নথির উল্লেখ করে মন্তব্য আসেনি। তবে পেন্টাগন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, নথিগুলো আসল। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেছেন, বিচার বিভাগ একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছে। তারা ফাঁসের উৎস খুঁজে পেতে বদ্ধপরিকর।
সূত্র: বিবিসি