ইরানের রাজধানী তেহরানে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়াহকে গত মাসে হত্যা করা হয়। এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ি করেছে ইরান। এবার ইরাকের প্রতিরোধ যোদ্ধারা জানিয়েছে, হানিয়া হত্যার প্রতিশোধ ইরান হিসেব নিকেশ করে জোরালোভাবেই নেবে। তাদেরকে তাদের পাওনা কড়ায়গণ্ডায় বুঝিয়ে দেয়া হবে।
ইরাকের আল-নুজাবা আন্দোলনের রাজনৈতিক কাউন্সিলের প্রধান শেখ আলী আল-আসাদি একটি সাক্ষাত্কারে এই বিবৃতি দিয়েছেন।
আসাদি বলেছেন, ‘ইরান এমন এক দেশ যারা সুদে আসলে শক্তিমত্তার সাথে প্রতিক্রিয়া জানানোর নীতিতে অটল।’ আসাদি বলেন, ‘ইরানের প্রতিক্রিয়া তার ভূখণ্ডে যেমন আগ্রাসন ঘটেছে তার সমানুপাতিক হবে, এবং তাই এটি একইভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং একই জায়গায়।’
এই ইরাকি প্রতিরোধ নেতা আরও বলেছেন, ইরাক যুদ্ধক্ষেত্র হতে চায় না। কিন্তু শত্রুরা সেদিকেই ইরাককে ধাবিত করছে। তিনি সাফ জানিয়েছেন, ইসমাইল হানিয়াহ এবং ফুয়াদ শুকরের হত্যার প্রতিশোধে ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধারা অংশ নেবে।
ইরাক থেকে মার্কিন সেনাদের বিতাড়িত করার ঘোষণাও দিয়েছেন আসাদি।
ইসরায়েলি গুপ্তচরকে আটক করল লেবাননের নিরাপত্তা বাহিনী
ইসরায়েলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে লেবাননের নিরাপত্তা বাহিনী। ওই ব্যক্তি লেবাননের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কাছে দিয়ে তাদেরকে সহযোগিতা করে আসছিলেন।
জানা গেছে, লেবাননের জেনারেল সিকিউরিটি ডাইরেক্টরেটের সদস্যরা এই ইসরায়েলি গুপ্তচরকে আটক করে। তবে তার পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
লেবাননের নিরাপত্তা বাহিনী ওই ব্যক্তির গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালালেও তাকে সেখান থেকে আটক করতে পারেনি। পরে তাকে রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চল থেকে আটক করা হয়।
তিন বছর আগে থেকে লেবাননে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের সাথে সহযোগিতা করার অভিযোগে লেবানন ১৮৫ ব্যক্তিকে আটক করেছে, যাদের মধ্যে কেউ কেউ ২৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।
আগে যেখানে ইসরায়েলের সাথে সহযোগিতা এবং ইসরায়েলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে বছরে ৪-৫ জন লেবাননে নাগরিক আটক হতো সেখানে এখন এ সংখ্যা দ্রুতগতিতে অনেক বেশি বেড়ে গেছে।