সীমান্তে মৃত্যুর ঘটনা হত্যাকাণ্ড নয় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক বলেছেন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত কিছু না। এটি দুর্ঘটনা। এতে দুইপক্ষেরই দোষ থাকে।
মঙ্গলবার ডিসি সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তারিক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা চলছে এখনও। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আমরা কারও সঙ্গে আগ্রাসনে যাব না। তবে যেকোনও সমস্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে সেনাবাহিনী।
সম্প্রতি দেশে বারবার আগুন লাগার ঘটনা পরিকল্পিত কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিকল্পিত কি না, তা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। হঠাৎ করে পরপর আগুন লাগার ঘটনা কারও গাফিলতির কারণে হচ্ছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখতে ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দেশের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে। তবে সাম্প্রতিক বেইলি রোডসহ চট্টগ্রামের চিনির গুদামে আগুন লাগার ঘটনায় অর্থনীতির উপর আঘাত আসতে পারে। বিনিয়োগের উপর আঘাত আসতে পারে। তবে এখন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালোর দিকে। সংকট থেকে বের হওয়ার চেষ্টা চলছে।
বিএসএফ ২৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় সীমান্ত থেকে ২৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। গত সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৯৯ পিলার পূর্ব ছাগলনাইয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সোমবার রাতে ভারতের সমরগঞ্জ ও বাংলাদেশের ৯৯ পিলারের কাছে তারকাঁটা দিয়ে চিনির বস্তা বহনের কাজ করছিল শতাধিক শ্রমিক। এ সময় বিএসএফ তাদের ধাওয়া করে। অনেকে পালিয়ে আসতে পারলেও মহসিন, এমরান, রুবেল হোসেন, নুর করিমসহ ২৩ শ্রমিক বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে।
ভারতীয় সূত্র জানায়, ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরার সাবরুম মহকুমার মনুবাজার থানাধীন শ্রীনগর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার সমরগঞ্জ থেকে ২৩ বাংলাদেশিকে আটক করেছে ভারতীয় পুলিশ। মঙ্গলবার (০৬ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। ভারতের ওই অংশ বাংলাদেশের অংশে ফেনীর ছাগলনাইয়া।
ফেনী-৪ বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছেন বলে জানান। সত্যতা পেলে বিধি মোতাবেক আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগী অথবা ধরে নিয়ে যাওয়াদের স্বজনদের কেউ এখনো অভিযোগ করেননি। এদিকে বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে পূর্ব ছাগলনাইয়া বিজিবি ক্যাম্পে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধনের ফটোকপি জমা দিয়েছেন স্বজনরা।
আপনার মন্তব্য লিখুন