জাতিগত নিধন বন্ধ করতে জাতিসংঘ কর্তৃক ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের ঘোষণা দিতে শান্তিতে নেবেল জয়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।
মঙ্গলবার বাদ আসর শরীয়তপুর জেলার সখিপুরে বায়তুল মায়মানাহ জামে মসজিদ থেকে ইসরায়েলের গাজা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে এ দাবি জানায় দলটির নেতারা। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা দখলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ্রাসনের হুমকির পর ফিলিস্তিনে বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গাজা দখল রুখে দিতে বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।
নেতারা বলেন, দেড় বছর ধরে গণহত্যার শিকার গাজার বাসিন্দাদের উচ্ছেদে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা দেওয়ার পর ঘুমন্ত রোজাদার ফিলিস্তিনি মুসলামনের ওপর হামলা চালিয়ে ৪১৩ জনকে হত্যা করা ইতিহাসের জঘন্যতম পৈশাচিকতা ছাড়া আর কিছুই না। এ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শুধু মুখে প্রতিবাদ করলেই হবে না, বরং সর্বাত্মক উপায়ে ফিলিস্তিনের পাশে থাকতে হবে।
আসর নামাজের পরপরই জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সহকারী সদস্য সচিব গালীব ইহসান ও সদস্য ওয়াসিম আহাম্মদের নেতৃত্বে নেতাকর্মী ও মুসল্লিরা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’ ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’ ‘বিশ্ববাসী এক হও, গাজা আগ্রাসন রুখে দাও’, ‘বিশ্ববাসী এক হও, গাজা দখল রুখে দাও’, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দবাদ’, ইত্যাদি স্লোগান দেন। বিক্ষোভ মিছিলটি মোল্লা মার্কেটের বায়তুল মায়মানাহ জামে মসজিদ থেকে সখিপুর থানার সামনে দিয়ে ঘুরে বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে সরকার মার্কেট গিয়ে শেষ হয়। এসময় জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সহকারী সদস্য সচিব গালীব ইহসান সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
গালীব ইহসান বলেন, ফিলিস্তিন হলো মজলুমদের কেবলা। ফিলিস্তিন স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলছে এবং চলবে। ফিলিস্তিন স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ব মানবতা মুক্তি পাবে না। বাংলাদেশের মুসলমানদের ইতিহাস হচ্ছে ফিলিস্তিনের যুদ্ধ করে শহীদ হওয়ার ইতিহাস। যতদিন না পর্যন্ত ফিলিস্তিন স্বাধীন না হয় ততদিন আমাদের ফিলিস্তিনের মুক্তির আন্দোলনে বাংলাদেশের মুসলমানরা পাশে থাকবে।তিনি প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তার প্রভাব খাটিয়ে জাতিসংঘের মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দিতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা তাশরিফুল ইসলাম, আবু সাঈদ সুমন, মোহাম্মদ ফারুক আালম, ইলিয়াস হোসেন, মো. সাদ্দাম রাড়ি, মো. আফজাল হোসেন, মো. আল-আমিন, মো. মানুন অর রশিদ, মোহাম্মদ শাজাহান ও রুহুল আমিন শিমুল, বিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা মৌলভী আবা খালেদ (এক) আব্দুর রহমানের (রহ.) উত্তরসূরী মাশরাফি বিন মঞ্জু লাবিব, ওবাদুর রহমান তারিফ, আব্দুল্লাহ আল-রাজি, জারির বিন মারুফ, ফারহান আকরাম তানজিম, সাইয়েদ হাসান আল-বান্না তাশফিন, জুনায়েদ আহমেদ জুয়েল, মোহাম্মদ রুবেল ও মোহাম্মদ সোহেল, মোবারক হোসেন, মোহাম্মদ বাদশা ফরাজী ও সখিপুর বাজারের ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনকে বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে সব সময় প্রাসঙ্গিক রাখতে স্থায়ীভাবে প্রতি শুক্রবার বাদ জুমা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আসছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।