শুক্রবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হয়। সকাল ৭ টায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ, চলে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত। দেশটির ৫৪৩ আসনের মধ্যে প্রথম দফায় ২১ টি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের ১০২টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে সাত দফার নির্বাচনে এই দফাতেই সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয়।
দেশটির নির্বাচন কমিশন প্রাথমিক রিপোর্টে জানিয়েছে, গোটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে ত্রিপুরায়, ৭৯.৯০ শতাংশ। এরপরেই সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এরাজ্যে ভোট দানের শতকরা হার ৭৭.৫৭ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে বিহারে, মাত্র ৪৭.৪৯ শতাংশ। গোটা দেশে গড় ভোটদানের হার ৬৪ শতাংশ।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় এক বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গোটা দেশে তাপপ্রবাহের মধ্যেও এত বেশি সংখ্যায় ভোট দানের ঘটনা নজিরবিহীন।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এত বেশি সংখ্যায় ভোট প্রদানের ঘটনায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, প্রথম দফায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট’ (এনডিএ) এর পক্ষেই একতরফাভাবে এই ভোট পড়েছে।
শনিবার মহারাষ্ট্রের নানডের এলাকায় এক নির্বাচনী প্রচারণা থেকে ভোটারদের উদ্দেশ্যে মোদি বলেন, ‘যারা গতকাল (শুক্রবার) ভোট দিয়েছিলেন, বিশেষ করে প্রথম ভোটারদের- আমার তরফ থেকে তাদেরকে অনেক ধন্যবাদ। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ভোট প্রদানের পর বুথ লেভেল থেকে যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে এবং আমি যে তথ্য পাচ্ছি তাতে আমার বিশ্বাস মজবুত হচ্ছে যে প্রথম দফায় এনডিএ’এর পক্ষেই একতরফাভাবে ভোট দান হয়েছে। এনডিএ’এর জয় নিশ্চিত করায় আমি মাথানত করে আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসবে দেশবাসীকে আরও বেশি সংখ্যায় শামিল হওয়ার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কিন্তু যারা প্রথম দফায় ভোট দেননি, তাদেরকে বলবো ভোট প্রদান গণতন্ত্রের শক্তিশালী মাধ্যম। আপনি যাকেই ভোট দিন না কেন, ভোট অবশ্যই দেবেন। ভোট দেওয়া নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনোরকম উদাসীনতা থাকা উচিত নয়। এটা ঠিক যে প্রচণ্ড গরম পড়েছে ফলে অনেক সমস্যা মুখোমুখি হতে হচ্ছে, তারপর একদিকে বিয়ের মৌসুম, অন্যদিকে চাষিরাও মাঠে কাজ করছেন। তারপরেও আমরা যখন দেশের সেনা সদস্যদের দিকে তাকাই, তখন দেখব যেকোনো মৌসুমেই জওয়ানরা নিজেদের কর্তব্যে অবিচল থাকে, কারণ দেশের জন্য তারা এই কাজ করে। আমার মনে হয় ভোটারদের মধ্যেও এরকম মনোভাব থাকা উচিত। তাদের ভাবা উচিত যে ভোট দিয়ে আমি কারো উপকার করছি না বরং আমি ভোট দিয়ে আমার দেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করছি।’
বিরোধীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা- আজ না হলে কাল, কাল না হলে পরশু- আপনারা নিশ্চয়ই সুযোগ পাবে। তাই আমি বিরোধীরা- যাদের পরাজয় নিশ্চিত- তাদের দলের কর্মীদের বলতে চাই, ভোটারদের ভোট দিতে আপনারাও উদ্বুদ্ধ করুন। কেননা আগামী ২৫ বছর ভারতের মহত্ত্ব প্রমাণ করবে আর যার জন্য ভোটের শতকরা বৃদ্ধি করাটা খুবই জরুরি।
বিরোধীদলের জোট ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী এটাও বলেছেন, নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতেই বিরোধীরা এই জোট গঠন করেছে। ফলে প্রথম দফার নির্বাচনে ভোটাররা সম্পূর্ণভাবে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। নির্বাচনে লড়াই করার মত প্রার্থী তাদের নেই। জোটের নেতারাই একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, যারা নিজেরাই একে অপরকে বিশ্বাস করেন না, আপনারা কি তাদের বিশ্বাস করে ভোট দেবেন?
প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরে পাল্টা তাকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরা। তার প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী কীভাবে বলতে পারেন, প্রথম দফার ভোটে ভোটাররা কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়া জোটকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
এদিন কেরালার ত্রিশূরে একটি নির্বাচনী প্রচারণার ফাঁকে প্রিয়াঙ্কা প্রশ্ন তোলেন, নির্বাচনের ফলাফল এখনও বের হয়নি, তার আগেই তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কীভাবে এটা জানলেন? আমি জানি না তারা এতটা আত্মবিশ্বাসী কীভাবে হলেন?
কংগ্রেস নেত্রী এটাও প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি দাবি করে, এই নির্বাচনে তারা ৪০০ আসন পাবেন? আমরা যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই মানুষ বলছে তারা পরিবর্তন চায়। আমি নিশ্চিত যে পরিবর্তন এবার আসবেই।
উল্লেখ্য, মোট সাত দফার এই লোকসভার নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট গ্রহণ ২৬ এপ্রিল, তৃতীয় দফায় ৭ মে, চতুর্থ দফায় ১৩ মে, পঞ্চম দফায় ২০ মে, ষষ্ঠ দফায় ২৬ মে এবং সপ্তম শেষ দফার ভোট ১ জুন। ভোট গণনা আগামী ৪ জুন।
ভারতের লোকসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে কাল
ভারতে জাতীয় নির্বাচনের প্রথম দফা ভোটগ্রহণ শুরু হচ্ছে আগামীকাল ১৯ এপ্রিল (শুক্রবার)। নির্বাচনে ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার ৫৪৩টি আসনের সদস্য নির্বাচিত হবেন। যে দল বা জোট লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাবে তারাই পরবর্তী সরকার গঠন করবে।
ইতিহাসে সবচেয়ে বৃহত্তম গণতান্ত্রিক চর্চা হতে যাচ্ছে ভারতের এই নির্বাচন। দেশটির নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা প্রায় ৯৭ লাখ- যা বিশ্বের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে সর্বোচ্চ। সাত ধাপে ৪৪ দিনে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনে ব্যবহার হবে ৫৫ লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) । ভোট গণনা শেষে ফল প্রকাশ হবে ৪ জুন।
বহুদলীয় গণতন্ত্র হিসেবে ভারতের নির্বাচনে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দল ভোটের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। কিন্তু সর্বভারতীয় পর্যায়ে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দল দুটি। ক্ষমতাসী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও প্রধান বিরোধীদল জাতীয় কংগ্রেস। এই দুই দল পৃথক দুটি জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
বিজেপি নেতৃতে দিচ্ছে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ)। এটি ২৬টি দলের একটি জোট। প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব দিচ্ছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলোপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (ইন্ডিয়া)। এই জোটে আছে অন্তত ৪১টি দল।
আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে দেশটির ২১টি রাজ্যের বিভিন্ন আসনে। তামিলনাডুর সবকটি অর্থাৎ ৩৯টি রাজ্যে কাল ভোটগ্রহণ হবে। রাজস্থানের ২৫টি আসনের ১২টি, উত্তর প্রদেশের ৮০টি আসনের ৮টি, মধ্যপ্রদেশের ৪৮টি আসনের ৬টিতে, মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসনের পাঁচটিতে, উত্তরাখণ্ডের সবকটি অর্থাৎ পাঁচটিতে কাল ভোটগ্রহণ হবে।
এছাড়া আসামের ১৪টি আসনের ৫টিতে, বিহারের ৪০টি আসনের চারটিতে, পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের ৩টিতে ভোট হবে। অরুণাচল প্রদেশ, মনিপুর ও মেঘালয়ে দুটি করে আসন। এই তিন প্রদেশের ৬ আসনেই নির্বাচন হবে কাল। ছত্তিসগড়ের ১১টি আসনের একটিতে নির্বাচন হবে কাল।
মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও সিকিমে একটি করে আসন। আগামীকাল এই তিন আসনেই নির্বাচন হবে। ত্রিপুরায় দুটি আসনের একটিতে নির্বাচন হবে। এছাড়া ইউনিয়ন টেরিটরি আন্দামান ও নিকোবারা দ্বীপপুঞ্জ, লাক্ষাদ্বীপ, পুডুচেরিতে ভোটগ্রহণ হবে আগামীকাল।
পশ্চিমবঙ্গ : লোকসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী যারা
লোকসভা ভোটের আগে বড় চমক। এই প্রথমবার ব্রিগেডে জনসভা থেকে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা তৃণমূলের। রবিবাসরীয় ব্রিগেডে প্রার্থী তালিকায় বড় চমক। দেখে নিন ৪২টি আসনে তৃণমূলের প্রার্থী কারা।
দার্জিলিং: গোপাল লামা
আলিপুরদুয়ার: প্রকাশ চিক বরাইক
কোচবিহার: জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়া
জলপাইগুড়ি: নির্মলচন্দ্র রায়
বালুরঘাট: বিপ্লব মিত্র
রায়গঞ্জ: কৃষ্ণ কল্যাণী
মালদহ উত্তর: প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়
মালদহ দক্ষিণ: শানওয়াজ আলি রহমান
মুর্শিদাবাদ: আবু তাহের খান
জঙ্গিপুর: খলিলুর রহমান
বহরমপুর: ইউসুফ পাঠান
কৃষ্ণনগর: মহুয়া মৈত্র
রানাঘাট: মুকুটমণি অধিকারী
বনগাঁ: বিশ্বজিৎ দাস
বসিরহাট: হাজি নুরুল ইসলাম
বারাসত: ডঃ কাকলী ঘোষ দস্তিদার
বারাকপুর: পার্থ ভৌমিক
দমদম: সৌগত রায়
হাওড়া: প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়
উলুবেড়িয়া: সাজদা আহমেদ
হুগলি: রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়
আরামবাগ: মিতালী বাগ
শ্রীরামপুর: কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা উত্তর: সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা দক্ষিণ: মালা রায়
যাদবপুর: সায়নী ঘোষ
ডায়মন্ড হারবার: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
জয়নগর: প্রতিমা মণ্ডল
মথুরাপুর: বাপি হালদার
তমলুক: দেবাংশু ভট্টাচার্য
কাঁথি: উত্তম বারিক
মেদিনীপুর: জুন মালিয়া
ঘাটাল: দেব
বীরভূম: শতাব্দী রায়
বোলপুর: অসিত মাল
বাঁকুড়া: অরূপ চক্রবর্তী
বিষ্ণুপুর: সুজাতা খাঁ
পুরুলিয়া: শান্তিরাম মাহাতো
ঝাড়গ্রাম: কালীপদ সোরেন
বর্ধমান পূর্ব: ডঃ শর্মিলা সরকার
বর্ধমান দুর্গাপুর: কীর্তি আজাদ
আসানসোল: শত্রুঘ্ন সিনহা
পঞ্চায়েত ভোটে সহিংসতা ৭০০ বুথে আবার নির্বাচন আজ
রাত পোহালে সোমবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ৬৯৬ টি বুথে পুনঃনির্বাচন হবে। সকাল সাতটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। ভোট নেওয়া হবে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে।
গত ৮ জুলাই রাজ্যটির ২২টি জেলার মধ্যে ২০টি জেলায় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত (গ্রাম সভা, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ) ভোট হয়। বাকি দুই জেলা- দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত (গ্রাম সভা, পঞ্চায়েত সমিতি) ভোট হয়। কিন্তু ওই নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক সহিংসতা দেখা যায় অধিকাংশ জেলায়। ছাপ্পা ভোট, ভোট লুট, ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেওয়া, ভোটারদের প্রভাবিত করা, ভয় দেখানো, মারধর, বোমা, গুলি চালানোর মতো ঘটনা ঘটে। কেবল ভোটের দিনই মৃত্যু হয় ভোট সহিংসতায় মৃত্যু হয় ১৫ জনের। সেই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত।
রবিবার রাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মুর্শিদাবাদ জেলায় সবচেয়ে বেশি ১৭৫ টি বুথে ভোট নেওয়া হবে। এছাড়া মালদহে (১০৯), নদীয়া (৮৯), কোচবিহার (৫৩) উত্তর চব্বিশ পরগনা (৪৬), উত্তর দিনাজপুর (৪২), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৩৬), পূর্ব মেদিনীপুর (৩১), হুগলি (২৯), দক্ষিণ দিনাজপুর (১৮), জলপাইগুড়ি (১৪), বীরভূম (১৪), পশ্চিম মেদিনীপুর (১০), বাঁকুড়া (৮), হাওড়া (৮), পশ্চিম বর্ধমান (৬), পুরুলিয়া (৪), পূর্ব বর্ধমান (৩), এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় ১ টি মাত্র বুথে পুনরায় ভোট নেওয়া হবে। প্রতিটি বুথে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর চারজন জওয়ান।
উল্লেখ্য, শেষবার ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনেকে ঘিরে ব্যাপক সহিংসতা দেখেছিল রাজ্যবাসী। মৃত্যু হয়েছিল ২৩ জনের। এছাড়া ভোট লুট, ছাপ্পা ভোট, ভোটারদের প্রভাবিত করা, ভয় দেখানোসহ একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই ওই বছর ৫৭৪টি বুথে পুনঃনির্বাচন নেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু পাঁচ বছর আগের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে রাজ্যে ভোট কেন্দ্রিক যে সহিংসতা কিংবা মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল তাকে ছাপিয়ে যায় এবার। চলতি বছরের গত ৮ জুন পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে গত এক মাস ধরে নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতায় সেই মৃত্যুর সংখ্যা ছুঁয়েছে ৩২ এ।
আপনার মন্তব্য লিখুন