একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও তার পূর্ণ সার্বভৌমত্বকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করবে চীন। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এ কথা বলেছেন। এছাড়া জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষাকেও বেইজিং সমর্থন করে বলে জানিয়েছেন শি জিনপিং।
চীনের নেতা অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনে জরুরি যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায়বিচার চিরকালের জন্য অনুপস্থিত থাকতে পারে না।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বেইজিংয়ে চীন-আরব রাষ্ট্র সহযোগিতা ফোরামে আরব নেতাদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে শি জিনপিং এসব কথা বলেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, মধ্যপ্রাচ্য হলো উন্নয়নের বিস্তৃত সম্ভাবনার একটি ভূমি। ন্যায়বিচার চিরকালের জন্য সেখানে অনুপস্থিত থাকতে পারে না। ইসরাইলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বিরোধ সমাধানের জন্য একটি বিস্তৃত শান্তি সম্মেলনের প্রয়োজন।
তিনি আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে তার গভীর সখ্যতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে ওই অঞ্চলের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
শি জিনপিং বলেন, যতবারই আমি আরব বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করি, আমি গভীর সম্পর্কের অনুভূতি অনুভব করি।
তিনি আরব প্রতিনিধিদের বলেন, চীন ও চীনা জনগণ এবং আরব দেশ ও জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব প্রাচীন সিল্ক রোডের মাধ্যমে বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদান থেকে উদ্ভূত।
বেইজিং আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতা আরও গভীর করার চেষ্টা করবে বলেও জানান শি জিনপিং। তিনি বলেন, চীন তেল ও গ্যাসের বিষয়ে আরব পক্ষের সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতা আরও বাড়াবে এবং বাজারের নিরাপত্তার সঙ্গে সরবরাহ নিরাপত্তাকে একীভূত করবে। চীন নতুন জ্বালানি প্রযুক্তি এবং সরঞ্জাম উৎপাদনে আরব পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।
গাজা অবরোধকে লেনিনগ্রাদ অবরোধের সঙ্গে তুলনা করল পুতিন
অধিকৃত গাজা উপত্যকার ওপর ইসরায়েলের কঠোর অবরোধ আরোপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি এ অবরোধকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যায়িত করে বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি বাহিনী লেনিনগ্রাদের ওপর এরকম অবরোধ আরোপ করেছিল।
কিরগিজিস্তান সফরকারী পুতিন স্থানীয় সময় শনিবার দেশটির রাজধানী বিশকেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ইসরায়েল এখন যা করছে তাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লেনিনগ্রাদের ওপর জার্মান নাৎসি বাহিনীর অবরোধ আরোপের সঙ্গে তুলনা করা যায়। আমার দৃষ্টিতে এটি অগ্রহণযোগ্য।
গাজা উপত্যকার বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করার ব্যাপারেও ইসরায়েলকে সতর্ক করে দেন পুতিন। তিনি বলেন, গাজার ওপর ইসরায়েলি অবরোধের সঙ্গে কেউই একমত হতে পারবে না কারণ এর ফলে বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি হচ্ছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজায় ইসরায়েল স্থল অভিযান চালাবে বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি সম্ভাব্য এ অভিযানকেও ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ বর্ণনা করে বলেন, বেসামরিক এলাকায় এ ধরনের অভিযানে জানমালের অপূরণীয় ক্ষতি হবে।
তিনি যুদ্ধ বন্ধ করে আলোচনার মাধ্যমে ফিলিস্তিন সংকট নিরসনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে যে রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে সহাবস্থান করবে। তিনি হামাসের অভিযানের জবাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়াকে ‘চরম নৃশংস পদ্ধতি’ বলে বর্ণনা করেন।
আপনার মন্তব্য লিখুন