আন্তঃসরকার সংস্থা সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশনে (এসসিও) যোগ দিতে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, আগামী ১৫ ও ১৬ অক্টোবর ইসলামাদে এসসিও’র সম্মেলন হবে। সেই সম্মেলনে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের পর জয়শঙ্করই ভারতের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী যিনি পাকিস্তানে যাচ্ছেন। ২০১৫ সালে পাকিস্তান সফর করেন সুষমা স্বরাজ।
প্রসঙ্গত, এসসিও বিশ্বের বৃহত্তম আঞ্চলিক আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংস্থা। ভারত-পাকিস্তান ছাড়াও এই সংস্থার সদস্যের তালিকায় রয়েছে রাশিয়া, চীন, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং তাজিকিস্তান। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এসসিও।
পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়ায় পেন্টাগনের উপর নাখোশ দিল্লী
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইসলামাবাদকে যে সামরিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে ভারতের উদ্বেগ উপেক্ষা করার অভিযোগ উঠেছে।
জো বাইডেন সরকার পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান আধুনিকীকরণের সরঞ্জাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা নিয়ে মার্কিন মুলুকে থেকেই কড়া সমালোচনা করলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
অসন্তোষ এবং হতাশার কথা জানিয়ে পেন্টাগনের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা আমাদের বোকা বানানোর চেষ্টা করবেন না। এই সিদ্ধান্ত আমেরিকার ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ নীতির পরিপন্থী।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তা করতেই পাকিস্তানকে আধুনিক এফ-১৬ দেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বাইডেন সরকারের যুক্তিও খারিজ করেছেন এস জয়শঙ্কর। তার মন্তব্য, সকলেই জানেন, ওই যুদ্ধবিমান কাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে। বাইডেন সরকারের সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রও উপকৃত হবে না বলে দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বালাকোট-কাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া শর্ত লঙ্ঘন করে ভারতের বিরুদ্ধে এফ-১৬ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল পাকিস্তান বিমানবাহিনীর বিরুদ্ধে। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে বাইডেনের ডোমোক্র্যাট পূর্বসূরি বারাক ওবামার আমলে পাকিস্তানকে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়েছিল ওয়াশিংটন।
সম্প্রতি, পেন্টাগনের তরফে ইসলামাবাদের জন্য যে সামরিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে তাতে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য’ ওই যুদ্ধবিমানগুলোর আধুনিকীকরণে সহায়তার বিষয়টি রয়েছে।
আপনার মন্তব্য লিখুন