বোমা সরবরাহ স্থগিত রাখলেও ইসরায়েলকে আরও ১০০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র দিতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এ ব্যাপারে তিনি ইতোমধ্যে কংগ্রেসের অনুমোদন চেয়েছেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সহায়তার আওতায় ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র যেসব অস্ত্র দিতে চাচ্ছে তার মধ্যে ট্যাংক খাতে রয়েছে ৭০০ মিলিয়ন ডলার, আরও ৫০০ মিলিয়ন ডলার রয়েছে কৌশলগত যানবাহনে এবং ৬০ মিলিয়ন ডলার রয়েছে মর্টার শেলে।
গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে শেষ হয়ে আসা ইসরায়েলি অস্ত্রভাণ্ডার পূর্ণ করতে এসব অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। অবশ্য, সবকিছু ইসরায়েলে পৌঁছাতে কয়েক বছর লেগে যাবে।
সম্প্রতি ইসরায়েলে বড় আকারের বোমা সরবরাহ স্থগিত রেখেছে বাইডেন প্রশাসন। গাজার রাফায় এসব বোমা ব্যবহৃত হতে পারে এমন আশঙ্কায় ওইসব তা সরবরাহ স্থগিত রেখেছে আমেরিকা।
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট, সিএনএন, ফক্স নিউজ, সিবিএস নিউজ, এপি
যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত চীন, তাইওয়ান যদি স্বাধীনতা ঘোষণা করে
তাইওয়ান স্বাধীনতা ঘোষণা করলে চীন যুদ্ধ শুরু করতে দ্বিধা করবে না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে শুক্রবার চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেঙ্গহি সাক্ষাতে এই সতর্কবার্তা দেন।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরে নিরাপত্তা সম্মেলন ‘সাংগ্রি–লা ডায়ালগের’ ফাঁকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা বৈঠকে বসেন। বৈঠকের পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উ কিয়ান মন্ত্রীর বরাতে বলেন, অস্টিনকে সতর্ক করে ওয়েই বলেছেন, চীন থেকে তাইওয়ানকে কেউ যদি বিভক্ত করার সাহস করে, তাহলে চীনের সেনাবাহিনী যুদ্ধ শুরু করতে দ্বিধা করবে না। সেটা যেকোনো মূল্যেই হোক না কেন।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বেইজিং তাইওয়ানের স্বাধীনতার যেকোনো চক্রান্ত নস্যাৎ করবে এবং মাতৃভূমির একত্রকরণকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করবে। তাইওয়ান চীনের তাইওয়ান। একে ব্যবহার করে চীনকে দমন করার বিষয়টি কখনোই জয়ী হবে না।
অন্যদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের মতে, অস্টিনের পক্ষ থেকে তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করা হয়। অস্টিন তাইওয়ানের স্থিতাবস্থায় একতরফা পরিবর্তনের বিরোধিতা করে তাইওয়ানের প্রতি আরও অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বেইজিংকে আহ্বান জানান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত মাসে জাপান সফরের সময় এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, চীন যদি তাইওয়ান আক্রমণ করে, তবে ওয়াশিংটন তাদের রক্ষা করবে।
আপনার মন্তব্য লিখুন