জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বিবিসি জানিয়েছে, এর আগে আজ পশ্চিম জাপানের নারা শহরে শিনজো আবেকে গুলি করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার স্থানের পার্শ্ববর্তী একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল শিনজে আবের। সেখানেই তিনি মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতারা।
৬৭ বছর বয়সী শিনজো আবে জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বক্তৃতা দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে পরে মারা গেলেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, শিনজো আবেকে গুলি করার ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জাপানের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ প্রচার কর্মসূচিতে বক্তব্য দেওয়ার সময় শিনজো আবেকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
নারা শহরে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর লুটিয়ে পড়েছিলেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তার হার্ট অ্যাটাকও হয়েছিল।
জাপানি সংবাদমাধ্যম কিয়োদো জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর জাপানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী অচেতন অবস্থায় ছিলেন।
সূত্র: বিবিসি।
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গুলিবিদ্ধ: বিশ্ব নেতাদের নিন্দা । WB
নির্বাচনী প্রচারণায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন।
শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় নারা শহরে বক্তৃতা দেওয়ার সময় হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।
শিনজো আবে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিশ্ব নেতারা।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রাহম ইমানুয়েল বলেন, শিনজো আবে জাপানের একজন অসাধারণ নেতা । তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অটল একজন মিত্র ছিলেন। শিনজো আবে, তার পরিবার ও জাপানের জনগণের মঙ্গল কামনা করছে মার্কিন জনগণ।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ টুইটে লিখেছেন, জাপান থেকে হতাশাজনক খবর- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে-কে গুলি করা হয়েছে। এ সময়ে তার পরিবার ও জাপানের জনগণের জন্য আমাদের প্রার্থনা।
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি বলেছেন, জি২০ ভুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের পক্ষ থেকে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সহানুভূতি জানানো হয়েছে।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেন, আমার মনে হয় এ খবরে আমার মতো সবাই বিস্মিত ও বেদনাহত হয়েছেন। তাইওয়ান ও জাপান উভয়েই আইনের শাসন দিয়ে পরিচালিত দুটি গণতান্ত্রিক দেশ। আমার সরকারের পক্ষে ভয়াবহ সহিংসতা ও বেআইনি কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে শুধু আমারই একজন ভাল বন্ধু নন, একই সঙ্গে তাইওয়ানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাইওয়ানকে তিনি বহু বছর ধরে সমর্থন দিয়ে আসছেন।
সূত্র: আল-জাজিরা
আপনার মন্তব্য লিখুন