বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহণ চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এছাড়া নির্বাচন নিয়ে তারা নিজেরা কোনো মন্তব্য না করে জনগণের মতামতে এই নির্বাচন বিশ্লেষণ করতে আগ্রহী বলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর চার্লস হোয়াইটলি.
শনিবার সকালে গুলশানে অনুষ্ঠিত সেন্টার ফর গর্ভন্যান্স স্টাডিজের একটি সম্মেলনে একথা জানান ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর।
চার্লস হোয়াইটলি বলেন, আগামী দশকে বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনৈতিক যোগাযোগ বাড়াতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। একইসঙ্গে একটি স্বতন্ত্র দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে পরামর্শ দেওয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইইউ অ্যাম্বাসেডর বলেন, এদেশের আঞ্চলিক অস্থিরতা নিয়ে শঙ্কা আছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের। অস্থিরতা নিরসনে সার্ক ও বিমসটেক কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে। যদিও এই অঞ্চলে সকলের অবস্থান শক্ত করতে ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্রাটেজিকে গুরুত্ব দিচ্ছে ইইউ।
হোয়াইটলি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আইসিজে, আইসিসি যদিও সংকট সমাধানে কাজ করছে তবুও আমরা সবসময়ই বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করে যেতে চাই। ইউক্রেনে পরিস্থিতির কারণে শরণার্থীর সংখ্যা পুরো বিশ্বেই বেড়ে যাচ্ছে। তারপরও আমরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তরিকভাবেই কাজ করে যেতে চাই।
ইইউ অ্যাম্বাসেডর বলেন, আরএমজি সেক্টর বাদেও অন্যান্য ক্ষেত্রেও উন্নয়ন করছে বাংলাদেশ। সেসব দিকেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিনিয়োগে আগ্রহী। বাংলাদেশসহ ৮টি দেশ জিএসপি সুবিধা পাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি পদক্ষপে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েই আগোনো উচিত।
আপনার মন্তব্য লিখুন