ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে। বিজেপি যখন রাজ্য সরকারকে কৌশলে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে তখনই দেখা গেলো মুকুল রায়কে কালীঘাটের বাড়িতে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠক করতে। আর তাতে বিজেপি বেশ চাপে পড়ে গেছে।
কারণ, বিজেপি জানে মুকুল রায় যদি আবার হাল ধরেন তাহলে বড় পরাজয় গেরুয়া শিবিরের কাছে শুধু সময়ের অপেক্ষা। বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এই মমতা–মুকুল বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। উঠছে প্রশ্ন, তাহলে তৃণমূল সুপ্রিমো কি পুরনো নেতাকেই মাঠে নামাচ্ছেন?
সূত্রের খবর, দ্বাদশীর দিন বিজয়া সারতে মুখ্যমন্ত্রী মমতার কালীঘাটের বাড়িতে যান মুকুল রায়। এটা সকলকে বলা হচ্ছে। কিন্তু সেখানে শুক্রবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় বৈঠক হয় মমতা-মুকুলের। এমনকী এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্বয়ং মুকুল রায়। তাতে আরও গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। এই বৈঠক নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক।
তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন প্রায় একমাসের জন্য দেশের বাইরে গেছেন। আর ঠিক সেই সময়েই মমতা–মুকুল দীর্ঘ বৈঠক বিশেষ কারণেই হয়েছে।
গত রবিবার হঠাৎ মুকুলের সল্টলেকের বাড়িতে যান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আবার শনিবার মুকুলের সঙ্গে তার কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে দেখা করতে যান সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তারপরই দলনেত্রীর সঙ্গে মুকুলের বৈঠক হয়। সুতরাং গোটা বিষয়টি নিয়ে উত্তাপ বেড়েছে রাজ্যরাজনীতিতে।
সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে গেছেন। আর দল এবং সরকার- সব পদ থেকেই তাকে সরানো হয়েছে। কিন্তু মহাসচিব পদটি বিলুপ্ত হয়নি। মুকুল রায়কে ওই পদে বসিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ক্যারিশ্মা দেখাতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস।
তাই এই দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে মুকুল-মমতার মধ্যে। দুর্গাপুজোর আগে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে দলের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য মমতা ফোন করেছিলেন মুকুল রায়কে। তার পরদিন তৃণমূল ভবনে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল মুকুল রায়ের। তারপর এবার দ্বাদশীর বৈঠক।
আপনার মন্তব্য লিখুন