নতুন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা বলতে গেলে ছিলই না। তাই যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ডের ২০২৮ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজক হওয়াটাকে অবধারিত বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু আকস্মিকভাবে আয়োজক হওয়ার লড়াইয়ে নেমে পড়েছে রাশিয়া।
গত বুধবার শেষ হয়েছে ইউরো আয়োজনের জন্য লড়াই করার সময়সীমা। এদিনই উয়েফা নিশ্চিত করেছে, তুরস্কের সঙ্গে রাশিয়া ২০২৮ অথবা ২০৩২ সালের ইউরো টুর্নামেন্ট আয়োজনে তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার সকল ক্লাব ও জাতীয় দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ফিফা ও উয়েফা। ফলে ইউরোতে দেশটির জন্য লড়াই করা অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তবে ইউরোপীয় ফুটবলের গভর্নিং বডিও নিশ্চিত করেছে, যে রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও টুর্নামেন্টের জন্য লড়াই করা থেকে তাদের বিরত রাখার জন্য বর্তমানে কোনো নিয়ম নেই। তবে নতুন নিষেধাজ্ঞা এখনো প্রয়োগ করা যেতে পারে।
যুক্তরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত চার দেশ ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, নর্থ আয়ারল্যান্ড, ওয়েলস এবং আয়ারল্যান্ড আয়োজক হিসেবে ফাঁকা মাঠেই গোল দিতে বসেছিল। ইউরোপ মহাদেশের সবচেয়ে বড় ফুটবল আসর আয়োজনে প্রতিপক্ষ হিসেবে এবার তাদের রাশিয়া বাধা পার হতে হবে।
কোনো কারণে ২০২৮ সালের ইউরোর আয়োজক হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে এমন চিন্তা থেকেই ২০৩২ সালের জন্যও রাশিয়ান ফুটবল ইউনিয়ন (আরএফইউ) লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতালি ইউরো ২০৩২ সালে ইউরোক আয়োজক হওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করবে বলে আশা হচ্ছে। তাদেরও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে বলে মনে হয়নি। এখানেও তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারে রাশিয়া।
একইদিন গত বুধবার আরএফইউ নির্বাহী কমিটির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে আরএফইউ বোর্ডের সদস্য সের্গেই আনোখিন একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা ২০২৮ এবং ২০৩২ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের জন্য লড়াই করতে যাচ্ছি।’
আপনার মন্তব্য লিখুন