বহুল প্রত্যাশিত ডাকসু নির্বাচন আজ। ১৯২১ সালের ১ জুলাই প্রতিষ্ঠার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) এটি ৩৮তম নির্বাচন। সারা দেশের মানুষের দৃষ্টি এখন ডাকসু নির্বাচনের দিকে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
নির্বাচনে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী ভোট দিয়ে ডাকসুতে তাদের ছাত্র প্রতিনিধি বেছে নেবে। এ নির্বাচনে ২৮টি পদে ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ভিপি প্রার্থী ৪৫ জন এবং জিএস প্রার্থী ১৯ জন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান এক ভিডিও বার্তায় নির্ভয়ে ভোট দিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
চব্বিশের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এই নির্বাচনে অতীতের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রার্থীদের। অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবার প্রার্থীরা নির্বাচনি প্রচার কাজ চালিয়েছেন। নির্বাচনি প্রচারণায় প্রার্থীদের একে অপরের মধ্যে সালাম বিনিময়-কোলাকুলিসহ সামাজিক রীতির এক অনুপম দৃশ্য সবাইকে মুগ্ধ করেছে। অবশ্য ভোট উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যেও এক ধরনের উৎকণ্ঠা রয়েছে। নানা ধরনের নাশকতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে।
সব ধরনের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলেছে, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তায় সেনাবাহিনী বর্তমানে মাঠে দায়িত্ব পালন করলেও তারা থাকছে না ডাকসু নির্বাচনে। এদিকে দেশের ‘দ্বিতীয় সংসদখ্যাত’ ডাকসুর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশবাসীর মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হতে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ এ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রতি রাজনৈতিক দলসহ সবার দৃষ্টি রয়েছে।
দীর্ঘ ৬ বছর পর হতে যাওয়া এই ডাকসু নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ডাকসু ও হল সংসদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ক্যাম্পাসের আট কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে ভোট গ্রহণ হবে।
ডাকসু নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এবার মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯৫৯ জন এবং ছাত্র ২০ হাজার ৯১৫। প্রতি ভোটার ভোট দেবেন ৪১টি করে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৮টি, হল সংসদে ১৩টি। কেন্দ্রীয় সংসদে ২৮টি পদের বিপরীতে মোট প্রার্থী ৪৭১ জন।
ভোট শুরুর আগেই কেন্দ্রগুলোতে উপস্থিত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীভোট শুরুর আগেই কেন্দ্রগুলোতে উপস্থিত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী
এর মধ্যে পুরুষ প্রার্থী ৪০৯ জন ও নারী প্রার্থী ৬২ জন। ভিপি পদে ৪৫ জন, জিএস পদে ১৯ জন, এজিএস পদে ২৫ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে ১১ জন, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে ১৫ জন এবং ১৩ সদস্য পদের বিপরীতে ২১৭ জন প্রার্থী লড়বেন। নির্বাচন কমিশন আশা প্রকাশ করেছে ভোট গ্রহণের চার ঘণ্টার মধ্যেই তারা ফল ঘোষণা করতে পারবেন।
- হল সংসদ নির্বাচন
১৮টি আবাসিক হলে মোট পদ ২৩৪টি। প্রতি হলে পদ সংখ্যা ১৩টি করে। ১৮ হলে মোট প্রার্থী ১ হাজার ৩৫ জন। ১৩ ছাত্র হলের প্রার্থী সংখ্যা ৮৫০ জন। ৫ ছাত্রী হলের প্রার্থী সংখ্যা ১৮৫ জন।
ওএমআরে ভোট, গণনা মেশিনে
সাত পৃষ্ঠার অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন বা ওএমআর ফর্মে গ্রহণ করা হবে ডাকসু ও হল সংসদের ভোট। ডাকসুর ওএমআর শিট হবে ৬ পাতার। প্রতিটি হল সংসদের ওএমআর শিট-১ পাতার হবে। ব্যালটে থাকবে পদের নাম, ব্যালট নম্বর, প্রার্থীর নাম এবং ভোট চিহ্ন দেওয়ার ঘর। আটটি কেন্দ্রে ১৪ মেশিনে ভোট গণনা হবে। ফল ঘোষণা করা হবে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে।
- যাতায়াতের সুবিধায় বিশেষ শাটল সার্ভিস
ভোটের দিন শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে শাহবাগ থেকে ভোট কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ শাটল সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে ঢাবি প্রশাসন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী জানান, ভোট প্রদানের সুবিধার্থে ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টা ৪৫ মিনিট থেকে বিকাল ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত শাহবাগ থেকে আটটি ভোটকেন্দ্রে শাটল সার্ভিস চলমান থাকবে।
- নিরাপত্তা ব্যবস্থা
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে ভোটের দিন তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী। এছাড়া প্রবেশমুখে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ৭টি পয়েন্টে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জানা যায়, প্রথম স্তরে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর-এর ২০০-এর বেশি সদস্য থাকবেন। প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরাও থাকবেন। আর দ্বিতীয় স্তরে কেন্দ্রগুলোতে মোতায়েন থাকবে পুলিশ। তৃতীয় স্তরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭টি প্রবেশমুখে অবস্থান করবেন। এমনকি অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে ৫ মিনিটের মধ্যে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কেন্দ্রে প্রবেশ করবেন সেনা সদস্যরা। ভোট গ্রহণ শেষ হলে কেন্দ্রগুলো নিরাপত্তা বেষ্টনিতে ঘিরে রাখবে সেনা সদস্যরা। এমনকি ফলাফল না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থান করবেন।
নির্বাচন কমিশন প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, নির্বাচন ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। তবে শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে দুটি বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন। প্রথমত, হলের বাইরে ভোট হতে হবে। আমরা সেটা আমলে নিয়েছি। শিক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ভোটের সময় আট ঘণ্টা (সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত) করা হয়েছে। এমনকি ৪টার সময় যদি কেউ ভোট কেন্দ্রের আঙিনায় থাকে, তাদের ভোট গ্রহণ করতে যদি পাঁচটাও বাজে, আমরা তাদের সেই অধিকার দেব।
- রাত থেকেই নিরাপত্তা জোরদার, ৩৪ ঘণ্টা ক্যাম্পাস বন্ধ
ডাকসু নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সোমবার রাত ৮টা থেকে ৩৪ ঘণ্টার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি প্রধান প্রবেশপথ বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকাল রাত ৮টা থেকেই শাহবাগ, পলাশী, দোয়েল চত্বর, শিববাড়ি ক্রসিং, ফুলার রোড, উদয়ন স্কুল ও নীলক্ষেতের ক্যাম্পাস গেটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব গেট বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ সময় বৈধ ঢাবি পরিচয়পত্রধারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া কেউ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না। গাড়ি প্রবেশ কঠোরভাবে সীমিত করা হয়েছে। শুধু ঢাবির স্টিকারযুক্ত যানবাহন এবং জরুরি সেবার জন্য ব্যবহৃত অ্যাম্বুলেন্স, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিক ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলোই প্রবেশ করতে পারবে।
- ভোট গণনা
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ করতে নানা উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটগ্রহণের আগে খালি বাক্স সিলগালা করা হবে সংবাদমাধ্যমকর্মীদের সামনে। পরে কেন্দ্রের সামনে ভোট গণনা সরাসরি দেখানো হবে এলইডি স্ক্রিনে। ডাকসু ভোটের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন আলাদা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এক বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন কমিশন বলেছেÑব্যাগ, মোবাইল ফোন, স্মার্ট ওয়াচ, যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, পানির বোতল ও তরল-জাতীয় কোনো পদার্থ নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।
- নির্বাচনে যত প্যানেল
এবার ডাকসুতে লড়ছে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’, ছাত্রদলের প্যানেল, ছাত্রশিবিরের ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’, উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে ‘স্বতন্ত্র ঐক্যজোট’, বামপন্থি শিক্ষার্থীদের ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’, ছাত্র অধিকার পরিষদের ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকারের স্বতন্ত্র প্যানেল ‘ডিইউ ফার্স্ট’ এবং তিনটি বাম জোটের ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ প্যানেলসহ অন্যান্য স্বতন্ত্র প্যানেল ও প্রার্থীরা।
ছাত্রদল থেকে ভিপি পদে নির্বাচন করছেন আবিদুল ইসলাম খান। তিনি ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। জিএস পদে লড়ছেন কবি জসীম উদ্দীন হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শেখ তানভীর বারী হামিম। এ ছাড়া এজিএস পদে প্রার্থী বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ।
ছাত্রদলের প্যানেলে সদস্য প্রার্থী হিসেবে একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে রেখেছে সংগঠনটি। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ওই শিক্ষার্থীর নাম ইবনু আহমেদ। এছাড়া সংগঠনটির প্যানেলে ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনয়ন পেয়েছেন চিম চিম্যা চাকমা।
অন্যদিকে ডাকসু নির্বাচনে সাদিক কায়েমকে ভিপি ও এসএম ফরহাদকে জিএস পদে প্রার্থী করে ২৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করে ইসলামী ছাত্রশিবির। এই প্যানেলে এজিএস পদে মহিউদ্দিন খান নির্বাচন করবেন। প্যানেলে দলীয় নেতাকর্মীদের বাইরে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, চারজন নারী, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থী, আপ বাংলাদেশ এবং ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীদের রাখা হয়েছে। এই প্যানেলে চমক হিসেবে রয়েছে সর্ব মিত্র চাকমার অন্তর্ভুক্তি।
‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল থেকে ভিপি পদে আব্দুল কাদের, জিএস পদে আবু বাকের মজুমদার এবং এজিএস পদে আশরেফা খাতুন নির্বাচন করবেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ নামে প্যানেল ঘোষণা করেছেন। এই প্যানেল থেকে ভিপি পদে উমামা ফাতেমা, জিএস পদে ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি আল সাদী ভূইয়া এবং এজিএস পদে জাহিদ হোসেন লড়বেন।
অন্যদিকে ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ নামে বাম জোটের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল থেকে ভিপি পদে ইতি আফরোজ ইমি, জিএস পদে মেঘমল্লার বসু এবং এজিএস পদে জাবির আহমেদ জুবেল নির্বাচন করছেন।
এছাড়া ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’ নামে প্যানেল ঘোষণা করে ছাত্র অধিকার পরিষদ। এই প্যানেলে ভিপি পদে বিন ইয়ামিন মোল্লা, জিএস পদে সাবিনা ইয়াসমিন এবং এজিএস পদে রাকিবুল ইসলাম নির্বাচন করছেন।
‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’ নামের প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত নির্বাচনে ভিপি পদে, জিএস পদে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক খায়রুল আহসান মারজান এবং ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন এজিএস পদে লড়বেন।
শেষ মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার : অনেকের ফেসবুক ডিজঅ্যাবল
আনুষ্ঠানিক প্রচার শেষ হওয়ার পর সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে চলছে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারকাজ। তবে ছাত্রদল ও শিবির সমর্থিত প্যানেলের কয়েক প্রার্থী তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিজঅ্যাবল করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী, শিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থীসহ কয়েকজনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ কেউ তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেট করে রেখেছেন বলেও জানা গেছে। আবার রোববার রাত থেকে ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে প্রচুর রিপোর্ট মারা হচ্ছে বলে অভিযোগ উমামা ফাতেমার।
গতকাল দুপুরের দিকে ফেসবুক সার্চ করে ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান, জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামীম ও সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী তানভীর আল হাদীর অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি। ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েমের ফেসবুক অ্যাকাউন্টও খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে আবার শেখ তানভীর বারী হামিমের ফেসবুক আইডি সচল দেখা গেলেও আবিদুল ইসলাম খান ও তানভীর আল হাদীর আইডি খুঁজে পাওয়া যায়নি।