আন্তর্জাতিক আইন ও সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে ইসরাইল ইরানে চালানো বর্বরোচিত আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।
শুক্রবার সংগঠনের আহ্বায়ক খোমেনী ইহসান ও সদস্য সচিব হাসান আরিফ এক যৌথ বিবৃতিতে নিন্দা জানিয়ে বলেন, এখন আর নীরব থাকার সুযোগ নেই।
বিবৃতিতে নেতারা ইসরাইলের কাপুরুষোচিত হামলায় ইরানের সেনাপ্রধানসহ জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী এবং নারী-শিশুসহ নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
সংগঠনের সহকারী সদস্য সচিব আবদুস সালামের পাঠানো বিবৃতিতে তারা বলেন, ইসরাইলের এ নগ্ন হামলা কেবল ইরানের সার্বভৌমত্বের ওপরই আঘাত নয়, বরং এটি আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং সব মানবিক নীতির চরম লঙ্ঘন। এ ধরনের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য এক মারাত্মক হুমকি।
বছরের পর বছর ধরে ফিলিস্তিনসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশে ইসরাইলের চালানো হত্যাযজ্ঞ ও আগ্রাসনের বিচার না হওয়ায় তারা আজ আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে জানান তারা।
জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ অবিলম্বে জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের জরুরি বৈঠক আহ্বান করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে।
ওই দুই নেতা বলেন, বিশ্বশান্তি রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে নিরাপত্তা কাউন্সিলকে অবশ্যই ইসরাইলের এ আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক ও সামরিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। কোনো দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর এভাবে হামলা চালিয়ে পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
বিবৃতিতে মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, এখন আর নীরব থাকার সুযোগ নেই। মুসলিম উম্মাহকে সব ভেদাভেদ ভুলে ইসরাইলি জায়নবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সীসা ঢালা প্রাচীরের মতো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মুসলিম দেশগুলোর সম্মিলিত শক্তিই পারে এ অন্যায় ও জুলুমের অবসান ঘটাতে।
তারা আরও বলেন, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ ইরানের সরকার ও শোকসন্তপ্ত জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং তাদের এ দুঃসময়ে পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। আমরা বিশ্বাস করি, সত্য ও ন্যায়ের বিজয় অবশ্যম্ভাবী।