ঋতুস্রাবের সময় প্রায় প্রতিটি মেয়েরই শরীরে নানা ধরনের ব্যথা হয়৷ আর সেসব ব্যথা লাঘবের জন্য তাঁরা নানা ঔষুধও সেবন করে থাকেন৷ তবে ওষুধ ছাড়াও কিন্তু সেই সময়ে সুস্থ থাকার বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে৷ জেনে নিন সে উপায়গুলো৷

মাসিকের সময় কিংবা কারো কারো ক্ষেত্রে তার আগেই তলেপেটে, মাথায়, কোমরে বা পায়ে ব্যথা হয়ে থাকে, যা খুবই স্বাভাবিক৷ তাছাড়া কারো কারো বমিভাবও৷ সব মিলিয়ে শরীরে হয় এক অস্বস্তিকরভাব৷ অনেকেই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ট্যবলেট সেবন করেন৷ তবে নিয়মিত ট্যবলেট সেবনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে৷

উষ্ণভাব বা কুসুমগরম পানি জরায়ুর পেশীগুলোকে একটু ঢিলা করতে সাহায্য করে। তাই বাথটবে কুসুম গরম পানিতে ল্যাভেন্ডার ফুলের পাপড়ি ছেড়ে দিন। এবার টবে ২০ মিনটের একটি বাথ নিন, এতে যে শুধু পেট ব্যথাই কমবে, তা নয়, কোমর ব্যথাও পালিয়ে যাবে।

চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার বালিশ নিয়ে সেটাকে হাঁটুর নীচে দিয়ে পেট এবং নাভির ওপর ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কয়েকবার মাসাজ করুন।

মাসিকের ব্যথায় গোলাপ ফুলের তেলের উপকারিতার কথা অনেকেই জানেন না। ৩ থেকে ৪ ফোঁটা গোলাপের তেল মেখে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে দিন। এতে ধীরে ধীরে বমিভাব দূর হয়ে মন-মেজাজ ভালো করে দেবে। কারণ, পিরিয়ডের সময় বা তার আগে ও পরে হরমোনজনিত কারণে নানা ব্যথার সময়ে মেজাজ যে খিটখিটে থাকে তা বলাই বাহুল্য।

শিশুদের মতো হামাগুড়ি দেয়ার মতো করুন। এবার নিতম্ব পায়ের গোড়ালিতে রেখে কপাল রাখুন মেঝেতে। হাতদুটো সামনের দিকে সোজা করে ৩০ সেকেন্ড রাখুন। এভাবে কয়েকবার করলে পুরো শরীরেই অনেক আরাম বোধ হবে।

শরীরের ম্যাগনেশিয়ামের অভাবেও অনেক সময় নানা রকম ব্যথা হয়ে থাকে। তাই ম্যাগনেশিয়ামের অভাব পূরণ করতে কলা, সূর্যমূখী ফুলের বিচি এবং শষ্যদানা সমেত নুডলস খেতে পারেন।