রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ জন্য একটি ‘সমন্বিত পরিকল্পনা’ তৈরি করছেন তিনি।
কিয়েভের একটি সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধ থামাতে আমরা কূটনৈতিক উপায়ে কাজ করছি।
যুদ্ধ বন্ধ করার কথা বললেও ইউক্রেনের রাশিয়ার সাথে বর্তমানে কোনো আলোচনা চলছে না।
কিয়েভ শান্তি চুক্তির জন্য নানা শর্ত দিয়েছে। বিশেষ করা জেলেনস্কিরা বারবার বলছে, ইউক্রেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অঞ্চলগুলো থেকে রাশিয়াকে অবশ্যই সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া উপদ্বীপও আছে।
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ বাহিনী আরও অগ্রগতি অর্জন করেছে। তার ভাষ্যমতে, রাশিয়ার অভিযানের মুখে ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে আরও এলাকা ছেড়ে গেছেন ইউক্রেনের সেনারা। মূলত সেখানে আত্মসমর্পণ করেছে কিয়েভ। ওই এলাকাগুলো বর্তমানে রুশ বাহিনীর দখলে রয়েছে।
বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় ২৫ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। এছাড়া ২০২২ সালে দেশটির চারটি অঞ্চল বিতর্কিত গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
পশ্চিমারা রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে এখন শান্তিচুক্তি নিয়ে ভাবছে
যুদ্ধের ময়দানে ইউক্রেনের সেনারা ব্যর্থ হওয়ায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে এখন শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি গতকাল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
শান্তিচুক্তি হলে রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনের কী কী দিয়ে দিতে হবে- সে ব্যাপারেও এখন চলছে আলোচনা। এনবিসি জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনকে যেসব দেশ সহায়তা করেছে সেগুলোর মধ্যে ন্যাটো সদস্যভুক্তসহ ৫০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধি গত মাসে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমারা এখন এ যুদ্ধ নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ যুদ্ধ অনেকটাই থমকে গেছে এবং ইউক্রেনও তাদের বহুল কাক্সিক্ষত পাল্টা আক্রমণে বড় কোনো ব্রেকথ্রু পায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছেন, এ যুদ্ধে যারা যতদিন বেশি টিকে থাকতে পারবে তারাই জিততে পারবে। শীতের আগে এখন দুই দেশের সেনারাই পরিখা খনন করে অবস্থান নিচ্ছেন।
যার অর্থ- যে কোনো ধরনের বড় সাফল্য এখন আর সম্ভব নয়। অপরদিকে ইউক্রেন সেনাবাহিনীতে নতুন সদস্য যুক্ত করতে হিমশিম খাচ্ছে। যেখানে রাশিয়ার জনসংখ্যা বেশি। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং ইউক্রেনে যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে বৈদেশিক সহায়তা যে আরও বেশি প্রয়োজন সে বিষয়টি নিয়ে
আলোচনা করেছেন তারা। এনবিসিকে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা ইউক্রেনকে জানিয়ে দিয়েছেন
তাদের কাছে এ বছরের শেষ পর্যন্ত সময় আছে। এরপর তাদের ওপর শান্তি আলোচনার জন্য চাপ বাড়বে। গতকাল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তাসংস্থা এএফপি। এতে মুদ্রি (ছদ্মনাম) নামের এক সেনার সঙ্গে কথা বলে সংস্থাটি। তার বক্তব্যে উঠে এসেছে বর্তমানে ভালো অবস্থানে নেই ইউক্রেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি গত কয়েকদিন ধরে বলছি।